সর্বোচ্চ শান্তি ও সুরক্ষা লাভের উপায়
বিশিষ্ট সাহাবী আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করিম (সা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (সা) বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা সাত ধরনের ব্যক্তিকে তাঁর আরশের ছায়া দ্বারা আচ্ছাদিত করবেন যেদিন ঐ ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না। ১. ন্যায়পরায়ণ শাসক, ২. ঐ যুবক যে আল্লাহ্ তায়ালার ইবাদাতে বেড়ে ওঠে, ৩. এমন ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহ্ তায়ালাকে স্মরণ করে এবং তার নয়নযুগল অশ্রুসিক্ত হয়, ৪. ঐ ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সাথে ঝুলন্ত থাকে, ৫. এমন দুই ব্যক্তি যারা একে অন্যকে শুধুমাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের আশায় ভালোবাসে, ৬. এমন ব্যক্তি যাকে কোন প্রভাবশালী সুন্দরী রমণী কুপ্রস্তাব দেয় আর সে উত্তরে বলে আমি আল্লাহ্কে ভয় করি, ৭. ঐ ব্যক্তি যে নিজের দানকে এমনভাবে গোপন করে যে তার বাঁ হাত জানতে পারে না ডান হাত দ্বারা কী দান করল।
(সহীহ বুখারী, ষষ্ঠ খন্ড, পৃ. ২৪৯৬, হাদিস নম্বর ৬৪২১)
(সহীহ বুখারী, ষষ্ঠ খন্ড, পৃ. ২৪৯৬, হাদিস নম্বর ৬৪২১)
রাবি পরিচিতি
আবু হুরায়রা উপনামে সর্বাধিক পরিচিত। নাম ও পিতার নাম নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। তবে প্রসিদ্ধ মতে জাহেলি যুগে তাঁর নাম আবদে শামস বা আবদে আমর এবং ইসলাম গ্রহণের পর আবদুল্লাহ বা আবদুর রহমান এবং পিতার নাম সাখর। তিনি দাওস গোত্রের লোক ছিলেন। আবু হুরায়রা (রা) একদা জামার আস্তিনের ভেতরে বিড়াল বহন করে রাসূলুল্লাহ সা:-এর দরবারে হাজির হলেন, রাসূলুল্লাহ সা: জানতে চাইলেন জামার আস্তিনের ভেতের কী? উত্তরে তিনি বললেন বিড়াল। তখন থেকেই রাসূলুল্লাহ (সা:) তাকে আবু হুরায়রা উপনামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন। জীবনী লেখকগণ তাঁর নাম ‘উপনাম অধ্যায়ে’ উল্লেখ করেন এবং আবু হুরায়রা হিসেবেই তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। সপ্তম হিজরিতে খায়বার যুদ্ধের সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি সর্বদা রাসূলুল্লাহ সা:-এর সংস্পর্শেই থাকতেন এবং এ কারণে তিনিই সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবীর মর্যাদা লাভ করেন। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে ভুলে যাওয়ার অভিযোগ করলে তিনি তাকে চাদর বিছাতে বললেন, অতঃপর চাদর বিছালে রাসূলুল্লাহ সা: তাতে হাত ভর্তি করে দান করলেন এবং চাদর গুটিয়ে নিতে বললেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি চাদর গুটিয়ে নিলাম এবং এর পর থেকে আর কোন কিছু ভুলিনি। ইমাম বুখারী (রহ) বলেন, সাহাবা ও তাবেয়ি মিলে আটশত জনের বেশি লোক আবু হুরায়রা (রা.) থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। উমর ইবনে খাত্তার (রা.) এর জামানায় তাঁকে বাহরাইনের শাসনকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছিল এবং পরে সেখান থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়। ৭৮ বছর বয়সে আবু হুরায়রা (রা.) ঊনষাট হিজরি সালে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। কারো কারো মতে তিনি সাতান্ন মতান্তরে আটান্ন হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। মদিনার তৎকালীন আমির ওয়ালিদ ইবনে উকবা তাঁর জানাজায় ইমামতি করেন।
আবু হুরায়রা উপনামে সর্বাধিক পরিচিত। নাম ও পিতার নাম নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। তবে প্রসিদ্ধ মতে জাহেলি যুগে তাঁর নাম আবদে শামস বা আবদে আমর এবং ইসলাম গ্রহণের পর আবদুল্লাহ বা আবদুর রহমান এবং পিতার নাম সাখর। তিনি দাওস গোত্রের লোক ছিলেন। আবু হুরায়রা (রা) একদা জামার আস্তিনের ভেতরে বিড়াল বহন করে রাসূলুল্লাহ সা:-এর দরবারে হাজির হলেন, রাসূলুল্লাহ সা: জানতে চাইলেন জামার আস্তিনের ভেতের কী? উত্তরে তিনি বললেন বিড়াল। তখন থেকেই রাসূলুল্লাহ (সা:) তাকে আবু হুরায়রা উপনামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন। জীবনী লেখকগণ তাঁর নাম ‘উপনাম অধ্যায়ে’ উল্লেখ করেন এবং আবু হুরায়রা হিসেবেই তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। সপ্তম হিজরিতে খায়বার যুদ্ধের সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি সর্বদা রাসূলুল্লাহ সা:-এর সংস্পর্শেই থাকতেন এবং এ কারণে তিনিই সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবীর মর্যাদা লাভ করেন। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে ভুলে যাওয়ার অভিযোগ করলে তিনি তাকে চাদর বিছাতে বললেন, অতঃপর চাদর বিছালে রাসূলুল্লাহ সা: তাতে হাত ভর্তি করে দান করলেন এবং চাদর গুটিয়ে নিতে বললেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি চাদর গুটিয়ে নিলাম এবং এর পর থেকে আর কোন কিছু ভুলিনি। ইমাম বুখারী (রহ) বলেন, সাহাবা ও তাবেয়ি মিলে আটশত জনের বেশি লোক আবু হুরায়রা (রা.) থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। উমর ইবনে খাত্তার (রা.) এর জামানায় তাঁকে বাহরাইনের শাসনকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছিল এবং পরে সেখান থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়। ৭৮ বছর বয়সে আবু হুরায়রা (রা.) ঊনষাট হিজরি সালে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। কারো কারো মতে তিনি সাতান্ন মতান্তরে আটান্ন হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। মদিনার তৎকালীন আমির ওয়ালিদ ইবনে উকবা তাঁর জানাজায় ইমামতি করেন।
হাদিসের ব্যাখ্যা
আলোচ্য হাদিসে কিয়ামত দিবসের ভয়াবহ সময়ে যখন মানুষ দিগি¦দিক ছোটাছুটি করবে একটু ছায়ার সন্ধানে তখন উপরোক্ত বিশেষণে বিশেষিত ব্যক্তিবর্গ আল্লাহ তায়ালার বিশেষ কৃপা লাভ করবেন এবং তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় পাবেন। এখানে আল্লাহর ছায়া দ্বারা কারো কারো মতে আল্লাহ্ তায়ালার বিশেষ তত্ত্বাবধান ও সুরক্ষাদানকে বুঝানো হয়েছে। অধিকাংশ মুহাদ্দিসের মতে আরশের ছায়াকে বুঝানো হয়েছে যা অন্য সূত্রে বর্ণিত হাদিস দ্বারা সমর্থিত। হাদিসে বর্ণিত
সাত ব্যক্তির বর্ণনা নিম্নে সবিস্তারে উল্লেখ করা হলো :
১ . ন্যায়পরায়ণ বাদশা বা শাসক। হাফিয ইবনে হাজার আসকালানির (রহ) মতে এখানে শাসক দ্বারা কোন দেশ বা এলাকার নির্বাহী প্রধানকে বুঝানো হয়েছে। তবে মুসলমানদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত যে সকল লোক ন্যায়ানুগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তাদের ক্ষেত্রেও উক্ত বিধান প্রযোজ্য হবে। ন্যায়পরায়ণতা বলতে প্রত্যেককে তার প্রাপ্য অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে আল্লাহ্ তায়ালার বিধান অনুসরণ করাকে বুঝানো হয়েছে। ন্যায়ের বিপরীত হলো অত্যাচার বা অনাচার। আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে বলেন : আর যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করবে ন্যায়পরায়ণতার সাথে করবে। (সূরা নিসা : ৫৮)
২. যে যুবক আল্লাহ্ তায়ালার ইবাদতের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠে। এখানে যুবককে বিশেষিত করা হয়েছে এ কারণে যে, যৌবনকালে মানুষ প্রবৃত্তি দ্বারা বেশি তাড়িত হয়ে থাকে। তাই প্রবৃত্তিকে দমন করে আল্লাহভীতিকে প্রাধান্য দিয়ে যে যুবক আল্লাহর ইবাদতে আত্মনিয়োগ করে তার জন্য এ মহান পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
৩. যে ব্যক্তির অন্তর মসজিদের সাথে ঝুলন্ত থাকে। অর্থাৎ মসজিদের বাইরে অবস্থান করলেও মসজিদের সাথে মন লেগে থাকে এবং অপেক্ষায় থাকে আবার কখন মসজিদে প্রবেশ করবে। এমনিভাবে যেকোনো কাজেই থাকুক না কেন আজানের সময়ের অপেক্ষায় থাকবে এবং যথাসময়ে মসজিদে প্রবেশ করবে। কেউ কেউ এর দ্বারা মসজিদের প্রতি মহব্বত বা ভালোবাসাকে বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ মসজিদ থেকে বের হয়ে পুনরায় মসজিদে প্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত এর সাথে ভালোবাসা পোষণ করা। কেননা পানির মধ্যে মাছ যেমন প্রশান্তি পায় মু’মিন তেমনি মসজিদে প্রশান্তি পায়। আর খাঁচার মধ্যে পাখি যেমন ছটফট করে মুনাফিক তেমনি মসজিদের মধ্যে ছটফট করে।
৪. এমন দুই ব্যক্তি যারা একে অন্যকে আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় ভালোবাসে। উল্লেখ্য যে, এই ভালোবাসা বাহ্যিকভাবে হলে হবে না বরং তা প্রকৃতপক্ষেই ভালোবাসা হতে হবে। দু’জনে একত্রে থাকুক বা আলাদা থাকুক এই ভালোবাসায় কোন ঘাটতি হবে না। সাহাবা-তাবেঈন, সালফে সালেহিনদের মাঝে এই ভালোবাসার বহু নজির বা দৃষ্টান্ত রয়েছে। মুতার যুদ্ধের সেই তিন যোদ্ধা- যারা পিপাসার্ত অবস্থায় হাতের নাগালে পানি পেয়েও অন্য ভাইয়ের জন্য উৎসর্গ করেছেন এবং শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেছেন- এই ঈমানী ভ্রাতৃত্বের মূর্তপ্রতীক। অন্য হাদিসে আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্য শত্রুতা পোষণ করাকে ঈমানের অংশ বলে অভিহিত করা হয়েছে। হাফিয ইবনে হাজারের (রহ) মতে এই ভালোবাসা এমন হতে হবে যে, দুনিয়াবি কোনো কারণে তা বিঘিœত হবে না এবং উপস্থিত অনুপস্থিত সর্বাবস্থায়ই বলবৎ থাকবে যতক্ষণ না মৃত্যু তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটায়।
৫. যে ব্যক্তি লৌকিকতা পরিহার করে নির্জনে আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করে-মুখে হোক বা অন্তরে হোক- এবং তার দু’নয়ন অশ্রুসিক্ত হয়। সকল মানুষ যখন নিদ্রায় মগ্ন থাকে তখন নির্জনে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকাকে জান্নাত লাভের অন্যতম পাথেয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে অন্য হাদিসে।
৬. এমন ব্যক্তি যাকে কোন সুন্দরী, বংশীয় ও প্রভাবশালী রমণী ব্যভিচারের দিকে আহবান করে তখন সে বলে আমি আল্লাহকে ভয় করি। অর্থাৎ আল্লাহ্ তায়ালার ভয়ে ঐ রমণীর আহবানকে প্রত্যাখ্যান করে যদিও তাতে কোন দুনিয়াবি শাস্তির আশঙ্কা থাকে। আল্লাহর নবী হযরত ইউসুফ (আ) মিসরের আযীয পতœী যুলায়খার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে জেলখানাকে উত্তম বাসস্থান হিসেবে গ্রহণ করেছেন যা পবিত্র কুরআনের সূরা ইউসুফে বিধৃত হয়েছে।
৭. এমন ব্যক্তি যিনি তার দানকে এমনভাবে গোপন রাখেন যেন ডান হাত কী দান করল বাম হাত জানতে পারল না। এখানে বাহ্যিকভাবে সকল প্রকার দানকে বুঝানো হলেও আল্লামা নববী (রহ) বিশেষজ্ঞ আলিমগণের বরাতে বলেছেন যে, ফরয দান গোপনে করার চাইতে প্রকাশ্যে করাই উত্তম। ইবনে মালেক বলেন: এই গোপনীয়তা নফল দানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, কারণ জাকাত প্রকাশ্যে দেয়া উত্তম। স্মর্তব্য যে, উপরোক্ত হাদিসে কিয়ামাত দিবসে আরশের নিচে ছায়া প্রাপ্য যে সাত শ্রেণীর লোকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতেই সীমাবদ্ধ নয়। হাফিয ইবনে হাজার আসকালানী (রহ) অনুসন্ধান চালিয়ে আরো অনেক বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পেয়েছেন যেগুলো আরশের নিচে ছায়া প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এবং এ বিষয়ে তিনি স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন। এতে বুঝা গেল যে, উপরোক্ত হাদিসের সাত সংখ্যাটি মুখ্য নয়।
হাদিসের শিক্ষা:
উপরোক্ত হাদিস থেকে শিক্ষণীয় বিষয়গুলো নিম্নরূপ :
ক. ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয়সহ সকল পর্যায়ে ন্যায়নীতি ও ইনসাফ অবলম্বন করা সর্বোত্তম ইবাদত। এর বিপরীতে রয়েছে অন্যায়, অনাচার, অত্যাচার যা জঘন্য অপরাধ এবং পরলোকে তা শুধুই অন্ধকার আর অন্ধকার।
খ. ইবাদত জীবনের সকল স্তরে গুরুত্বপূর্ণ হলেও যৌবন কালের ইবাদতের মর্যাদা বেশি। কারণ এ সময়ে মানুষের কুরিপু এবং প্রবৃত্তি দমন অন্য বয়সের তুলনায় কষ্টসাধ্য।
গ. মু’মিনের অবস্থান যেখানেই হোক, যে কাজেই সে লিপ্ত থাকুক তার অন্তর সর্বদা মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে এবং মসজিদই হবে তার আত্মার ঠিকানা।
ঘ. মু’মিনদের পারস্পরিক ভালোবাসা, বিদ্বেষ, হাদিয়া প্রদান, হাদিয়া গ্রহণ, সুসম্পর্ক বজায় রাখা, পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়ানো ইত্যাদি সকল কর্মই হবে আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। এ সকল বৈশিষ্ট্য ঈমানের পূর্ণতার লক্ষণ।
ঙ. আল্লাহ্ তায়ালার নৈকট্য লাভের জন্য নির্জনতা সর্বোত্তম কৌশল এবং মু’মিনের চোখের পানি আল্লাহ্ তায়ালার কাছে অত্যন্ত মূল্যবান ও প্রিয়।
চ. প্রতিকূল পরিবেশে প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিজের সম্ভ্রম বজায় রাখা সর্বোত্তম ইবাদত।
ছ. নফল দান খয়রাত করার সময় সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা ও আত্মপ্রচার থেকে নিজেকে দূরে রাখা মু’মিন চরিত্রের সর্বোত্তম ভূষণ।
পরিশেষে কিয়ামত দিবসের ভয়াবহতা থেকে পরিত্রাণ লাভ এবং সুখী সমৃদ্ধ জাতি গঠনে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ দ্বারা মু’মিনদের চরিত্র গঠনে আল্লাহ্ তায়ালার অনুকম্পা লাভের প্রত্যাশায় মুনাজাত করছি। আমিন ! ছুম্মা আমিন !
ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ
লেখক : প্রফেসর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া