রংপুর জেলা পরিচিতি

রংপুর জেলার পটভূমিঃ

রংপুর জেলা ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। রংপুর জেলার নামকরনের পেছনে রয়েছে একটা চমৎকার ইতিহাস। শোনা যায় 'রঙ্গপুর' থেকেই কালক্রমে নামটি হয়েছে রংপুর। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি যে এই উপমহাদেশে ইংরেজরা প্রচুর নীল চাষ করত। আর স্থানীয় লোকজন নীল কে রঙ্গ বলেই জানত। আর সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথেই সেই রঙ্গ থেকেই 'রঙ্গপুর' যা আজকে আমাদের কাছে রংপুর নামে পরিচিতি।

রংপুর জেলার অপর নাম ছিল জঙ্গপুর। মালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব থাকায় কেও জঙ্গপুর কে যমপুর বলেও ডাকতো।  ইতিহাস থেকেই জানা যায় প্রাচীনকাল থেকেই রংপুর আন্দলনের মুল কেন্দ্র বিন্দু ছিল আর তাই জঙ্গপুর কেই রংপুরের আদি নাম হিসেবে ধরা হয়। জঙ্গ অর্থ যুদ্ধ আর পুর অর্থ শহর বা নগর। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগে রংপুর জেলায় যে ভাবে কৃষক আন্দলন যে ভাবে বিকাশ লাভ করেছিল সে কারনে রংপুর কে লাল রংপুর হিসেবে আখ্যায়িতও করা হয়েছিল।

সীমানা রেখাঃ

৮টি উপজেলা, ৩৮টি ইউনিয়ন, ১৪৫৫টি মৌজা, ৩টি পৌরসভা নিয়ে রংপুর জেলা গঠিত। রংপুর জেলার উত্তরে লালমনিরহাট ও তিস্তা নদী, দক্ষিনে গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলা, পূর্বে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট এবং পশ্চিমে দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা অবস্থিত। বর্তমানে রংপুর জেলার মোট আয়তন ২৩৬৭.৮৪ বর্গ কি. মি.। রংপুর শহরের আয়তন ৪৩ বর্গ কি. মি. ।

রংপুর জেলার উপজেলা সমুহঃ

রংপুর জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। এগুলো হলঃ
  • রংপুর সদর উপজেলা
  • বদরগঞ্জ উপজেলা
  • গঙ্গাছড়া উপজেলা
  • কাউনিয়া উপজেলা
  • মিঠাপুকুর উপজেলা
  • পীরগাছা উপজেলা
  • পিরগঞ্জ উপজেলা এবং
  • তারাগঞ্জ উপজেলা

শিল্প ও প্রতিষ্ঠানঃ

রংপুর জেলার কেল্লাবন্দ নামক স্থানে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান যেমনঃ আর এফ এল লিঃ, মিল্ক ভিটা বাংলাদেশ ও বিভিন্ন ধরনের কোল্ড স্টোরেজ। এছাড়া হারাগাছা নামক স্থানে সিগারেট তৈরির একাধিক কারাখানা রয়েছে। বদরগঞ্জ উপজেলার শামপুর নামক স্থানে গড়ে উঠেছে শামপুর চিনিকল লিঃ, রংপুর ডিস্টিলারিজ এন্ড কেমিক্যাল কোঃ লিঃ। 

প্রধান নদনদী সমুহঃ 

বৃহত্তর রংপুর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা, ঘাঘট, করতোয়া, দুধকুমার, মানাস, বাঙালি, সংকশ, আখিরা, গাজারিয়া ও টেপা।

আমাদের পরবর্তী পোস্টে রংপুর জেলার দর্শনীয় স্থান ও বিশিষ্ট লোকদের নিয়ে আলোকপাত করা হবে। ধন্যবাদ।