নাবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাহায্য - সমর্থন করার একশত উপায়

নাবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাহায্য - সমর্থন করার একশত উপায়


সকল প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। নবী ও রাসূলদের শ্রেষ্ঠতম সত্বা, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , তাঁর সাথী-সঙ্গী এবং পরিবার-পরিজনের প্রতি সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক।
ইসলামের মূলভিত্তি সমূহের একটি হল:
এ কথার ঘোষণা দেয়া যেঃ~ আল্লাহ তাআলা ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত সত্যিকার কোন মাবুদ নেই ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল। 
ইসলামের এ মহান দু’টো ঘোষণার দ্বিতীয়টি হল:~ মুহাম্মাদ [সা:] আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।

নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে এ ঘোষণার বাস্তবায়ন করা যায়ঃ
প্রথমতঃ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা সত্য বলে মেনে নেয়া। তিনি মানব ও জ্বিনসহ সকলের জন্য প্রেরিত। তার প্রধান মিশন হল আল-কুরআন ও সুন্নাহ। এ দু’টো বাদ দিয়ে কোন ধর্ম আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
দ্বিতীয়তঃ তার আনুগত্য করা, তার হুকুমে সন্তুষ্ট থাকা। তার সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ সম্পূর্ণভাবে মেনে নেয়া, তার সুন্নাত ও আদর্শের অনুসরণ করা। এবং এর বাহিরে যা আছে তা প্রত্যাখ্যান করা।
তৃতীয়তঃ নিজের চেয়ে, নিজের মাতা-পিতা ও পরিবার-পরিজনের চেয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বেশী মুহাব্বত করা-ভালবাসা। এ ভালবাসার যথার্থ রূপ হচ্ছে তাকে সম্মান করা, মর্যাদা দেয়া, সাহায্য করা এবং তার পক্ষ সমর্থন করা।

সকল মুসলিমের কর্তব্য হলঃ এ বিষয়গুলো বাস্তবে রূপদানের চেষ্টা করা। এতে তার ঈমান পরিশুদ্ধ হবে, কালেমায়ে তাওহীদের দ্বিতীয় ঘোষণা সঠিক বলে গৃহীত হবে। শুধু মুখে স্বাক্ষ্য দেয়ার নাম ঈমান নয়। যেমনটি করে মুনাফিকরা।
আল্লাহ বলেনঃ মুনাফিকরা বলে, আমরা স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল। আল্লাহও জানেন নিশ্চয়ই আপনি তাঁর রাসূল। কিন্তু আল্লাহ স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী। (সূরা আল-মুনাফিকুনঃ ১)
কেন মুনাফিকদের এ ঘোষণা কাজে আসেনি ? কারণ তারা এ ঘোষণার বাস্তবায়নে কাজ করেনি।
এ প্রসঙ্গে আমরা আপনার খেদমতে এমন কিছু বিষয় পেশ করছি যা দিয়ে আপনি আল্লাহর রাসূলকে মুহাব্বত ও ভালবাসার পরিচয় দিতে পারবেন। বিশেষ করে বর্তমানের এ সংকটময় সময়ে তার মুহাব্বত ও ভালবাসার প্রমাণ দেয়া অনেক জরুরী হয়ে পড়েছে। ঈমানের দাবীতে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেকে যার যার সামর্থ অনুযায়ী মুহাব্বতের দাবীর প্রমাণ দিবেন। নিজে এর দায়িত্ব বহন করবেন।

ব্যক্তি হিসাবে দায়িত্বঃ~ 

[১ ]~ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নবুওয়তের অকাট্য প্রমাণাদির ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা, যা দিয়ে প্রমাণ হয় যে, তিনি মহান রাব্বুল আলামীনের রাসূল। এ সকল প্রমাণের মূল হল আল-কুরআন। এতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নবুওয়তের সত্যতার বিষয়ে যে সকল বানী এসেছে তা অনুধাবন করা ও তাতে চিন্তা-গবেষণা করা।
[২]~ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনুগত্য ও অনুসরণ যে অবশ্য কর্তব্য এবং তার সকল নির্দেশ পালন করা যে অপরিহার্য, এ বিষয়ে কুরআন,সুন্নাহ ও ইজমার প্রমাণাদিগুলো শিক্ষা করা।
[৩]~ মহান আল্লাহ তাআলা যে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ সংরক্ষণ করেছেন সে ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করা এবং সঠিক ধারণা লাভ করা। আর সেটি সম্পন্ন হয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও অক্লান্ত চেষ্টা-মেহনতের মাধ্যমে যেমন আমরা দেখি উম্মাতের হাদীস বিশারদগন অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দূর্বল হাদীস, সহীহ হাদীস, বানোয়াট হাদীস চি‎িহ্নত করেছেন। এবং এগুলো নিরূপনের অত্যান্ত সূক্ষ্ম ও গ্রহনযোগ্য কিছু মূলনীতি প্রনয়ন করেছেন। এটা শুধু এ উম্মাতে মুহাম্মদীই করেছে এবং করছে। অন্য কোন জাতি তাদের নবীর আদর্শ সংরক্ষণের বিষয়ে এমন ভূমিকা অতীতে রাখেনি।
[৪]~ অন্তরে আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুহাব্বতের অনুভূতি জাগ্রত করার চেষ্টা করা। এটা তার অনুপম স্বভাব, চরিত্র, আচার-আচারণ ও বিশেষ বৈশিষ্ট মন্ডিত অবয়ব-আকৃতি সম্পর্কে অধ্যয়ন ও তার সীরাত পাঠের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।
[৫]~ আমাদের প্রত্যেকের প্রতি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যে ইহসান ও অনুগ্রহ আছে তা সদা অনুভব করা। তিনি কত সুন্দরভাবে আল্লাহর দীন আমাদের কাছে পৌছে দিয়েছেন, আমানত আদায় করেছেন, নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন ও উম্মাতের কল্যাণ কামনা করেছেন।
[৬]~ আল্লাহ তাআলার নেয়ামত ও অনুগ্রহের পর আমাদের উপর তার অনুগ্রহ সবচে বেশী। তিনিই আমাদের আল্লাহর দিকে ও তার জীবন বিধানের দিকে পথ দেখিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলের পক্ষ থেকে তাকে উত্তম প্রতিদানে সম্মানিত করুন! যে প্রতিদান হবে সকল নবীকে তাদের উম্মাতের পক্ষ থেকে দেয়া প্রতিদানের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর।
[৭]~ অনুভব করা যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন তার উম্মাতের প্রতি সবচেয়ে দয়াদ্র, করুণাময়। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ 
“নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা ঘনিষ্টতর।” (সূরা আল-আহযাব : ৬)
অর্থ্যাৎ একজন ঘনিষ্ট ও আপন ব্যক্তি তার আরেক ঘনিষ্ট ব্যক্তিকে যত আপন ভাবে, যত আন্তরিক হতে পারে, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মাতের জন্য এর চেয়ে বেশী ঘনিষ্ট।

[৮]~  যে সকল আয়াত ও হাদীস আল্লাহর কাছে তার শ্রেষ্ঠত্ব, তার প্রতি আল্লাহর ভালবাসা , তাকে আল্লাহর সম্মান প্রদর্শন বিষয়ে প্রমাণ বহন করে তা জানা ও সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা।
[৯]~ আল্লাহ তাআলা তাঁর নবীকে ভালবাসতে আমাদের যে নির্দেশ দিয়েছেন তা কঠোরভাবে পালন করা।বরং তাকে নিজের চেয়েও বেশী ভালবাসা। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“তোমাদের কেহ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার প্রাণের চেয়ে, সন্তানের চেয়ে, মাতা-পিতার চেয়ে ও সকল মানুষের চেয়ে অধিকতর প্রিয় না হব।”
[১০]~ আল্লাহ তাআলা তার সাথে যে আদব-কায়দা, শিষ্ঠাচার অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন তা কাঠোরভাবে পালন করা।
যেমন তিনি বলেছেনঃ
হে ঈমানদারগন! তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চস্বরে কথা বল তার সাথে সে রকম উচ্চস্বরে কথা বলো না; কারণ এতে তোমাদের কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে তোমাদের অজ্ঞাতসারে। যারা আল্লাহর রাসূলের সামনে নিজেদের কণ্ঠস্বর নীচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। (সূরা আল-হুজুরাত : ২-৩)
আল্লাহ আরো বলেনঃ
“রাসূলকে ডাক দেয়ার ক্ষেত্রে তোমরা একে অপরের ডাকের মত গণ্য করো না।” (সূরা আন-নূর : ৬৩)

[১১]~ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পক্ষে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করার বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশ পালনে যত্নবান হওয়া। যেমন আল্লাহ বলেছেনঃ
“যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন এবং রাসূলকে সাহায্য কর ও সম্মান কর।” (সূরা আল-ফাতহ: ৯)
[১২]~ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সাহায্য করার জন্য আন্তরিক নিয়্যত ও সংকল্প অব্যাহত ভাবে ধারণ করা তার পক্ষে প্রতিরোধ করা।
[১৩]~ বিশ্বাস করা, যে ব্যক্তি সঠিকভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণ করবে, তাকে ভালবাসবে তার জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার, জান্নাতে সে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহর সাথে থাকবে। যেমন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, আমি আপনাকে ভালবাসি। রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ
“তুমি যাকে ভালবাস তার সাথে থাকবে।”

[১৪]~ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দরুদ পেশ করার ব্যাপারে আগ্রহী হওয়া। যখনই তাঁর নাম উচ্চারণ হয়, আজানের পরে, জুমআর দিনে তার প্রতি বেশী করে দরুদ পাঠ করা।
[১৫]~ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঠিক ও বিশুদ্ধ সীরাতগ্রন্থ পাঠ করা। তার সকল ঘটনাবলী থেকে নিজের জীবন গঠনের উপাদান সংগ্রহ করে নেয়া। নিজে জীবনে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা-সাধনা করা।
[১৬]~ রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]- এর সুন্নাহর জ্ঞান অর্জন করা। তার সহীহ হাদীসমূহ অধ্যায়ন করা, ভালভাবে অনুধাবন করতে চেষ্টা করা। তাতে যে সকল বিষয় উন্নত চরিত্র গঠন সম্পর্কে, এক আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ হওয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে সেগুলো সুন্দরভাবে অনুসরণ করা।
[১৭]~ তাঁর [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর সকল সুন্নতের অনুসরণ করা। এ ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বপূর্ণগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া।
[১৮]~ মুস্তাহাব বিষয়গুলোর ক্ষেত্রেও আগ্রহভরে তাঁর অনুসরণ করার চেষ্টা করে যাওয়া। এমনকি পূর্ণ জীবনে অন্তত একবারের জন্যেও যদি হয়। যাতে জীবনের যাবতীয় পর্বে – প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর অনুসরণ সম্পন্ন হয়।
[১৯]~ তাঁর রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর যে কোন সুন্নত ও আদর্শ নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা।
[২০]~ মানুষের মাঝে তাঁর রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর আদর্শের অনুশীলন ও প্রসার দেখলে আনন্দিত হওয়া।
[২১]~ মানুষের মধ্যে তাঁর আদর্শের চর্চা ও আমলের অনুপস্থিতির কারণে ব্যথিত ও মর্মাহত হওয়া।
[২২]~ নবীজী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর বা তাঁর আদর্শের সমালোচনা-ছিদ্রান্বেষণকারীর প্রতি বিদ্বেষ ও ঘৃণা পোষন করা।
[২৩]~ তাঁর পরিবারস্থ লোকজন যথা সন্তান-সন্ততি ও সহধর্মিণী প্রমুখদের ভালবাসা। ইসলাম ও নবীজীর আত্মীয়তার সূত্রধরে তাদেরকে মুহাব্বতকরে আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য অর্জন করা।তাঁর আত্মীয়ের মধ্যে যারা অমুসলিম বা পাপি তাদের হেদায়াত কামনা করা। কেননা নবীজীর নিকট অন্যদের তুলনায় এদের হেদায়াতই ছিল সবচে প্রিয় ও কাঙ্খিত। বিষয়টি আমরা উমর বিন খাত্তাব [রা]-এর নিম্নোক্ত উক্তি থেকে স্পষ্টকরে বুঝতে পারব, যখন তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর চাচা আব্বাস [রা] আনহুকে সম্মোদন করে বলেছিলেন।
( হে আব্বাস! ইসলাম গ্রহন করার জন্য আপনাকে অশেষ মুবারকবাদ।যেদিন আপনি ইসলাম গ্রহন করেছিলেন সেদিন আপনার ইসলাম গ্রহন আমার নিকট পিতা খাত্তাবের ইসলাম গ্রহন অপেক্ষা অধিক প্রিয় ও কাঙ্খিত ছিল। তার কারণ হচ্ছে : আমি জানতে পেরেছিলাম যে রাসুলুল্লার [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর নিকট আপনার মুসলমার হওয়াটা খাত্তাবের মুসলমান হওয়া অপেক্ষা অধিক কাঙ্খিত ও প্রিয় ছিল।

[২৪]~ আহলে বাইত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর অসিয়ত পালন করা। কারণ নবীজী বলেছেন:“আমার পরিবার সর্ম্পকে আমি তোমাদেরকে আল¬াহর কথা স্মরণ করিয়ে যাচ্ছি” একথাটি তিনি পরপর তিন বার বলেছেন।
[২৫]~ নবীজীর সাহাবীদের মুহাব্বত করা ,তাঁদের সম্মান করা এবং তাদের পরে আগত সকল উম্মত অপেক্ষা এলম,আমল এবং আল্লাহ্‌ তা’লার নিকট তাদের অবস্থান ইত্যাদি বিবেচনায় তাদের মর্যাদা বেশী বলে বিশ্বাস পোষন করা।
[২৬]~ আলেম-উলামাদের মুহাব্বত করা, তাঁদের সম্মান করা।নবুওয়াতী উত্তরাধিকার তথা এলমের সাথে তাদের সম্পর্ক ও অবস্থানগত উচ্চতার কারণে।উলামারাই হচ্ছেন নবীদের উত্তরসূরী।সুতরাং উম্মতের উপর নবীজীর অধিকারের ভিত্তিতে তাদের (উলামা) মুহাব্বত ও সম্মান পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

পরিবার ও সামাজিক ক্ষেত্রে:~

[২৭]~ রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর মুহাব্বতের উপর সন্তানদের প্রশিক্ষন দান করা।
[২৮]~ জীবনের যাবতীয় ক্ষেত্রে তাদেরকে (সন্তান) নবীজীর আদর্শের অনুসরণের প্রশিক্ষন দান করা।
[২৯]~ তাদেরকে নবীজীর [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর জীবন-চরিত সম্পর্কীয় বই-পুস্তক সংগ্রহ করে দেয়া । এই লিংক থেকে ডাউনলোড করুন।
[৩০]~ তাঁর জীবন-চরিতধর্মী ক্যাসেট সংগ্রহ করা।
[৩১]~ প্রশিক্ষন দানের ক্ষেত্রে পরিষ্কার ও বোধগম্য কারিকুলাম সম্পন্ন কার্টুন ছবি বাছাই করে দেয়া।
[৩২]~ নিজ ঘরে পরিবারস্থ লোকদের নিয়ে সাপ্তাহে এক বা একাধিক সীরতের দরসের আয়োজন করা।
[৩৩]~ গৃহ:স্বামীকে পরিবারস্থ লোকজনদের সাথে চাল-চলন উঠা-বসার ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর অনুসরণ করা।
[৩৪]~ সন্তানদেরকে রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]- কর্তৃক বর্ণিত দোআসমূহ মুখস্থ করানো এবং প্রাত্যহিক জীবনে তা বাস্তবায়ন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা।
[৩৫]~ সন্তানদেরকে তাদের প্রাত্যহিক ব্যয়ের একটি অংশ হাদীসের নির্দেশনা অনুসারে ব্যয়ের জন্য উৎসাহী করা।
যেমন ইয়াতীমকে সহযোগিতা করা, খাদ্য প্রদান, প্রয়োজনগ্রস্তকে সহযোগিতা করা।
[৩৬]~ হাদীসে বর্ণিত উপমাগুলো বাস্তবায়নে সন্তানদের অভ্যস্ত করে তোলা ; যেমন ‘মুমিন বিচক্ষণ এবং চতুর’, ‘মুমিন এক গর্তে দুবার পা দেয় না’, ‘সহজ করে দেও, কঠিন কর না’ ইত্যাদি।
[৩৭]~ সীরাত সম্পর্কিত পারিবারিক প্রতিযোগিতার আয়োজন।
[৩৮]~ ‘রাসূলের গৃহে একদিন’ এই শিরোনামে রাসূলের জীবনীর সংশ্লেষে মুসলিম পরিবারের পরিচয় প্রদান।

শিক্ষা ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট লোকদের ক্ষেত্রেঃ~

[৩৯]~  উম্মতের উপর রাসূলের হক বর্ণনা করে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে রাসূলের মুহাব্বাতের বীজ বপন।
[৪০]~  অধিকহারে আলোচনা সভার আয়োজন করা, যাতে রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর ব্যক্তিত্ব ও জীবনের সংশ্লিষ্ট সার্বিক আলোচনা উত্থাপন করা হবে।
[৪১]~  শিক্ষা সিলেবাসে এবং ইসলামিক ডিপ্লোমা শাখাগুলোতে সীরাতুন নবীর বিষয় আকারে সংযোজনের জন্য শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করা।
[৪২]~  পশ্চিমা প্রসিদ্ধ ভার্সিটিগুলোতে সীরাত পাঠের জন্য স্বতন্ত্র ডিপার্টমেন্ট খোলার জন্য অর্থায়নের তৎপরতা চালানো।
[৪৩]~  সীরাত সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং সীরাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণার জন্য গবেষকদের উৎসাহ প্রদান।
[৪৪]~  স্কুল এবং ভার্সিটিতে সীরাতের প্রদর্শনীর কার্যক্রম গ্রহণ, যাতে ইসলামের অভ্যুদয়কালিন ভৌগলিক কাঠামো বানানো হবে এবং রাসূলের সীরাত ও রেসালাতের পরিচয় প্রদান করা হবে।
[৪৫]~  লাইব্রেরীগুলোর নির্দিষ্ট একটি অংশ বিশিষ্ট করে দেয়া হবে, যাতে রাসূলের সাথে সংশ্লিষ্ট সবকিছু থাকবে, এবং তা স্থাপিত হবে প্রকাশ্য কোন স্থানে।
[৪৬]~  সীরাতুন নবী বিষয়ে বিশ্বকোষধর্মী কোন কাজ হাতে নেয়া হবে, এবং তাকে রেফারেন্সের মানে উন্নীত করতে হবে, ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বের অন্যান্য ভাষায়।
[৪৭]~  ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বাৎসরিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে, তাতে উপস্থাপিত হবে সীরাতুন নবীর সর্বোত্তম আলোচনা-গবেষণাটি। এবং মূল্যবান পুরস্কারে গবেষককে ভূষিত করা হবে।
[৪৮]~  যুবকদেরকে নিয়ে ওয়ার্কশপ করা এবং তাদেরকে বাস্তব কর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট করে তাদের অন্তরে রাসূলের মুহাব্বাত এবং তার সুন্নতের সাথে সম্পৃক্ত করা।
[৪৯]~  রাসূলের অনুসারী নেতৃত্ব গঠনে বিশেষ অনুশীলনমূলক কর্মশালার আয়োজন।

ইমাম, দায়ী ও তালেবুল ইলমদের ক্ষেত্রেঃ~

[৫০]~  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াত ও রেসালাতের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা। তিনি উদার ও বিশুদ্ধতম সত্য নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন এবং তার দাওয়াতের মৌল নীতি হচ্ছে তাবৎ মানব শ্রেণিকে মানুষের প্রতিপালকের নিরঙ্কুশ ইবাদতের প্রতি হেদায়েত করা—সাথে সাথে এ বিষয়টিরও স্পষ্টিকরণ।
[৫১]~  গোত্র, শ্রেণি নির্ভেদেমানুষকে দাওয়াত এবং এই দীনের প্রতি তাদেরকে হেদায়েতের নিমেত্তে কর্মতৎপরতা চালানো।
[৫২]~  রাসূলের চারিত্রিক ও স্বভাবগত সিফাত সমূহ—রিসালাতের পূর্বের ও পরের—বর্ণনা।
[৫৩]~  উপভোগ্য শৈলী ব্যবহার করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফযীলত এবং তার উম্মতের বৈশিষ্ট্য সমূহ বর্ণনা।
[৫৪]~  পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী এবং সাহাবীদের সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ নীতিমালা বর্ণনা।
[৫৫]~  আহলে কিতাব, পৌত্তলিক এবং মুনাফিকদের সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ পদ্ধতির বর্ণনা।
[৫৬]~  রাসূলের প্রাত্যহিক জীবনের নীতিমালা সংক্রান্ত বর্ণনা।
[৫৭]~  কিছু কিছু জুমার দ্বিতীয় খুতবা রাসূলের সীরাত বিষয়ক আলোচনা দ্বারা বিশিষ্ট করা, পুরো খুতবা জুড়ে এ আলোচনার প্রয়োজন নেই।
[৫৮]~  কুরআনের যে সমস্ত আয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, সালাতে পাঠ করা হলে সে প্রসঙ্গে সালাতের পূর্বে অনুর্ধ্বে পাঁচ মিনিট সার আলোচনা করা।
[৫৯]~  মসজিদ কেন্দ্রিক তাহফীজুল কুরআনের হলকার পাশাপাশি সীরাতুননবীর অনুশীলনের হলকার সংযোজন।
[৬০]~  রাসূলের সীরাত সংক্রান্ত যে সমস্ত বিভ্রান্তি সাধারণ মানুষের ভাবনায় ছড়িয়ে আছে সেগুলোর অপনয়োন এবং বিশুদ্ধ করণ। এবং রাসূলের পক্ষ যা বিশুদ্ধভাবে বর্ণিত হয়েছে, তা আকড়ে ধরার জন্য সুবিস্তৃত এবং স্পষ্ট ভাষায় সকলকে আহ্বান জানান।
[৬১]~  রাসূলের বিরোধিতায় যে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে, আঘাত করেছে তার মর্যাদায়, তার ব্যাপারে উলামায়ে উম্মতের ফতোয়া বর্ণনা করা, এবং যারা এ বিষয়ে লিপ্ত, তাদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করা এবং তাদের কর্মকান্ড হতে নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করা ওয়াজিব—এ বিষয়টি সবিশেষ উল্লেখ করা।
[৬২]~  রাসূলের দাওয়াতী নীতিমালার সবিস্তার উল্লেখের মাধ্যমে মানুষকে তাদের ধর্মের প্রতি প্রত্যবর্তনের লক্ষ্যে কর্মতৎপরতা চালানো।
[৬৩]~  রাসূলের ব্যাপারে অতিরঞ্জন পরিহারের লক্ষ্যে টিভি, রিডিও এবং প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে সতর্কবাণী প্রচার করা। অতিরঞ্জন সংক্রান্ত কুরআনের আয়াতগুলো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দেয়া যেমন কুরআনে এসেছে—
তোমরা তোমাদের দীনের ব্যাপারে অতিরঞ্জন কর না।
এবং এ ব্যাপারে রাসূলের বিশেষ হাদীসগুলো বর্ণনা করা, যেমন হাদীসে এসেছে—
তোমরা আমার অনর্থক স্তুতি কর না, যেমন খ্রিস্টানরা ইবনে মারইয়ামের সাথে করেছে। সাথে সাথে এ বিষয়টিও বর্ণনা করে দেয়া যে, বিশুদ্ধ মুহাব্বাত একমাত্র তার অনুসরণেই নিহিত।
[৬৪]~  সীরাতের মৌলিক উৎসগুলো হতে রাসূলের জীবনী অধ্যয়নে সকলকে উৎসাহী করা, এবং সে উৎসগুলো সম্পর্কে তাদেরকে ওয়াকিবহাল করানো।
[৬৫]~  রাসূল ও তার সীরাত সম্পর্কে যে সকল বিভ্রান্তি, সংশয় ছড়িয়ে আছে সেগুলো দূর করা।

সংকৃতিবান, চিন্তাবিদ, মিডিয়াকর্মী এবং সংবাদকর্মীদের ক্ষেত্রেঃ~

[৬৬]~ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যক্তিত্ব, তার উম্মতের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি প্রচার প্রসার এবং মিডিয়া এবং কালচারাল বিভিন্ন ফাংশনে সে সংক্রান্ত আলোচনার সূত্রপাত।
[৬৭]~  এমন কোন বিষয়ের উল্লেখ হতে বিরত থাকা, যাতে রাসূলের সুন্নতের সামান্যতম বিচ্যুতি ঘটে।
[৬৮]~ পশ্চিমা ও ইহুদি প্রপাগান্ডার মুকাবেলা করা ; তারা আমাদের ধর্ম ও নবী সম্পর্কে যে সমস্ত সংশয় ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে তার যথপোযুক্ত প্রতিরোধ করা।
[৬৯]~  অমুসলিমদের উদার শ্রেণিকে নিয়ে কালচারাল ও তথ্যের আদান-প্রদান সূচক সম্মিলনীর আয়োজন এবং রাসূল ও তার রেসালাত সম্পর্কিত আলোচনার উত্থাপন।
[৭০]~  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে অমুসলিমদের উদার ও ন্যয়নিষ্ঠ শ্রেণি যা বলেছে, লিখেছে, সেগুলো প্রচার করা।
[৭১]~  রাসূলের নীতিমালা, পদ্ধতি, সীরাত এবং তার আচরিত নীতিমালার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরার লক্ষ্যে কালচারাল সেমিনার-সিম্পেজিয়ামের আয়োজন।
[৭২]~  রাসূলের সীরাত নিয়ে মিডিয়া প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং এ জন্য মূল্যবান পুরস্কার নির্ধারণ।
[৭৩]~  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার জীবনী নিয়ে প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প এবং ছোট ছোট পুস্তিকা প্রণয়ন।
[৭৪]~  পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকীর সম্পাদকদের নিয়ে পরামর্শ সভা ও বৈঠকীর আয়োজন করা, যাতে কুরআন ও হাদীসের সে আয়াত ও বর্ণনাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে, যা প্রমাণ করে রাসূলের মুহাব্বাত ওয়াজিব, তার মুহাব্বাত সন্তান-সন্ততি, পিতা-মাতা ও সকল মানুষের মুহাব্বাতের চেয়ে অগ্রগামী, এমনকি তা অগ্রগামী নিজের প্রতি মুহাব্বাতের চেয়েও। এবং এই মুহাব্বাতের অনস্বীকার্য দাবী হচ্ছে তার প্রতি সম্মান জ্ঞাপন, তার অনুসরণ এবং পৃথিবীর যে কারো কথার তুলনায় তার কথাকে অধিক অগ্রাধিকার প্রদান।
[৭৫]~  রাসূলের সীরাত, স্ত্রী-পরিজন-সাহাবী এমনকি শত্র“দের সাথে আচরণ নীতিমালা ও তার চারিত্রিক ও স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য সংক্রান্ত বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য বিভিন্ন চ্যানেলের কর্ণধারদের সাথে বৈঠক করা।
[৭৬]~  ভিজ্যুয়াল কোম্পানীগুলোকে রাসূলের সীরাত সংক্রান্ত ভিডিও ক্যাসেট প্রকাশ করার জন্য তাদেরকে উৎসাহ প্রদান।
[৭৭]~  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুণ-বৈশিষ্ট্য, এবং সুন্নতে নববীর কিছু গল্প নিয়ে কার্টুন নির্মাণের জন্য টেলিভিশন এবং চ্যানেল কোম্পানী ও সংস্থাগুলোকে উৎসাহ প্রদান।

দাতব্য ও দাওয়াতী প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্ষেত্রেঃ~

[৭৮]~  বিভিন্ন কমিটি গঠন বা ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহায্য-সহযোগিতার ঝান্ডা বহন করবে।
[৭৯]~  নবীজীর বৈশিষ্ট্য সম্বলিত অডিও, ভিডিও, ক্যাসেট ও বিভিন্ন বই পুস্তক প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন প্রদর্শনী স্থানসমূহ ও মেলায় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারগুলোতে স্টল বরাদ্দ নেয়া।
[৮০]~  রাসূলের সীরাত সংক্রান্ত ক্যাসেট, পুস্তক, ও প্রকাশনা পরিবেশনের জন্য শো রুম প্রতিষ্ঠা।
[৮১]~  সুন্নাত এবং সীরাতের সর্বোত্তম সেবাকারীকে সালাফের অনুসৃত নীতিমালার মাপকাঠিতে নির্ধারিত পুরস্কার প্রদান এবং বার্ষিক সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন, যাতে বড় বড় ব্যক্তিত্বদের নিমন্ত্রণ জানানো হবে।
[৮২]~  অন্যান্য ভাষায় রাসূলের সীরাত প্রকাশের এবং বিশ্বব্যাপী প্রকাশনা কেন্দ্র এবং মাকতাবাগুলোতে পরিবেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ।
[৮৩]~  রাসূলের পবিত্র সীরাত সংক্রান্ত আলোচনা, ইসলাম ধর্মের শিক্ষা, উম্মতের বৈশিষ্ট্যবলী এবং আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনিত এ ধর্মের সৌন্দর্য বর্ণনা সম্বলিত পত্রিকা বা সাময়িকীর বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা।
[৮৪]~  রাসূলের নুসরতে নিয়োজিত কর্মীদের এবং সীরাত সংক্রান্ত রচনা, অনুবাদ এবং সাইট নির্মাণে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা।

সাইট কর্মকর্তা এবং কর্ণধারদের ক্ষেত্রেঃ~

[৮৫]~  সম্মেলনের আয়োজন, যাতে ইসলাম ধর্মের বৈশিষ্ট্য, সকল নবীর ক্ষেত্রে একই মুহাব্বাতের অনুবর্তনে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
[৮৬]~  সাইট নির্মাণ কিংবা সংস্থা গঠন। অথবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সীরাত, তার বৈশ্বিক রেসালাতের বর্ণনা সম্বলিত সাইটের একটি অংশ নির্ধারণ করে দেয়া।
[৮৭]~  অমুসলিমদের হেদায়েতের লক্ষ্যে তাদের সাথে আলোচনা-বৈঠকে অংশগ্রহণ, তাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর ব্যক্তিত্ব এবং তার আনিত ধর্মের পাঠে উৎসাহ প্রদান।
[৮৮]~  বিশেষ কোন হাদীস বা নববী বাণী সমৃদ্ধ বিশেষ ”গ্রপ” মেইল করা।
[৮৯]~  এখন থেকে শেষ পর্যন্ত সমকালিনতার সাথে প্রাসঙ্গিক করে রাসূলের ব্যক্তিত্ব, তার দাওয়াত সংক্রান্ত বিশেষ ইন্টারনেট প্রচারণা।
[৯০]~  বিভিন্ন উপলক্ষ্যে মিডিয়া পুস্তক ও গবেষণার যে তালিকা বের হয়, তাতে সীরাত সংক্রান্ত গবেষণাগুলো সংযোজন করা।

বিত্তবান এবং ইসলামী হুকুমাতের ক্ষেত্রেঃ~

[৯১]~  সীরাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মতৎপরতার পৃষ্ঠপোষকতা করা।
[৯২]~  হাদিস ও ওয়াজ সম্বলিত বিভিন্ন লিফলেট ছাপানো.
[৯৩]~  বিভিন্ন ভাষায় বিশেষ করে ইংরেজী ভাষায় ইসলাম ও নবিজী সম্পর্কে আলোচনা করে, প্রোগ্রাম পরিচালনা করে এমন চ্যানেল প্রতিষ্টা করা ও ম্যাগাজিন প্রকাশ করার কাজে অংশগ্রহন করা।
[৯৪]~  ইসলাম ও নবিজী সম্পর্কে বিভিন্ন প্রবন্ধ উপস্থাপনার জন্য বিদেশী বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সময় বরাদ্দ নেয়া ও ভাড়া নেয়া।
[৯৫]~  নবিজীর সীরাত গবেষণা ও বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করার জন্য বিভিন্ন কেন্দ্র বা সেন্টার প্রতিষ্টা করা।
[৯৬]~  নবিজীর সীরাত কীর্তি সম্বলিত বিভিন্ন পাঠাগার ও যাদুগার প্রতিষ্টা করা।
[৯৭]~  নবিজীর সীরাত সম্বলিত বিভিন্ন ওয়েবসাইট নির্মান করা।
[৯৮]~  বিভিন্ন ভাষায় বিশেষ করে ইংরেজী ভাষায় এমন বই পুস্তক ছাপানো ও প্রকাশ করা, বা ক্যাসেট বের করা ও মিড়িয়া প্রোগ্রামসমূহের আয়োজন করা যা নবীজী আনিত ইসলাম ধর্মের চমৎকার দিকগুলো ফুটিয়ে তুলে, মহানবীর উৎকৃষ্ট চরিত্রের বিভিন্ন দিকসমূহ গতিময় উপস্থাপনার মাধ্যমে মানুষের সম্মুখে পেশ করে।
[৯৯]~  সীরাত সংক্রান্ত বিভিন্ন দাওয়াতী প্রতিযোগীতায় সাহায্য করা। উৎসাহ ব্যাঞ্জক পুরস্কার ঘোষনা করা।
[১০০]~  নবীজীর সাহায্য-সমর্থন করার ক্ষেত্রে বৈধ পন্থা অবলম্বন করা এবং বিদআত ও কুসংস্কার সহ সর্বপ্রকার সুন্নাহ পরিপন্থি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা।
ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ ইবন গাফফার
ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ