এক সময় আমরা রমজানের অপেক্ষা করেছি, এখন আমরা রমজানকে বিদায় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এভাবেই আমাদের জীবন একদিন শেষ হয়ে যাবে। মানুষ বলতেই কয়েকটি দিনের সমষ্টি। একটি দিন অতিবাহিত হয় তার জীবনের একটি অংশ ঘষে পড়ে। এ রমজানও চলে যাবে, যেমন আসতে ছিল। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি রাত-দিন, মাস-বছর অতিবাহিত করেন। এতে রয়েছে মুত্তাকিদের নসিহত, উপদেশ গ্রহণকারীর জন্য উপদেশ।
এ রমজানও অন্যান্য বছরের ন্যায় চলে যাবে। সে তার আমল নামা বন্ধ করে ফেলবে, যা কিয়ামতের দিন ছাড়া খোলা হবে না। আমাগী রমজান পাব কিনা আমরাও তা জানি না। আল্লাহ সাহায্যকারী।
রমজানের জন্য কাঁদা উচিত। একজন মুমিন রমজানের জন্য কিভাবে না কাঁদবে, অথচ এ রমজানে জান্নাতের দরজাসমূহ উম্মুক্ত করা হয়। একজন গোনাগার কি জন্য রমজানের জন্য আফসোস না করবে, অথচ রমজানে জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়। কেন শয়তান রমজানের কারণে জ্বলেপুড়ে না মরবে, অথচ তাতে সে আবদ্ধ থাকে। হে আল্লাহর বান্দাগণ, তোমরা এতে কাদোঁ। হে মুত্তাকিগণ, তোমরা এতে উপার্জন কর।
রমজানে নেককারদের অবস্থা :
রমজানে তারা আল্লাহর দরবারে দণ্ডায়মান থাকে, তার শাস্তিকে ভয় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
তারা আল্লাহর এবাদতে নিমগ্ন থাকে, দুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাদের অন্তরে আল্লাহর চিন্তা ভিন্ন কোন চিন্তা বিরাজ করে না। তারা প্রকৃত পক্ষে দাউদ তায়ীর বাণীর অনুকরণ করে। একদিন তিনি আল্লাহর সঙ্গে কথপোকথনে বলতে ছিলেন, ‘তোমার চিন্তা আমার সমস্ত চিন্তা দূর করে দিয়েছে। তোমার চিন্তা আমার আনন্দ-বিনোদন শেষ করে দিয়েছে। তোমার সাক্ষাত ইচ্ছা আমার স্বাদ বিস্বাদ করে দিয়েছে এবং প্রবৃত্তির আড়াল হয়ে গেছে।‘ (লাতায়েফুল মাআরেফ : ৩৪৮)﴿ يَحْذَرُ الْآخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ ﴾ [الزمر:9]
‘তারা আখেরাতকে ভয় করে এবং নিজ রবের রহমত প্রত্যাশা করে।‘ (জুমার : ৯)
এ হচ্ছে রোজাদেরর অবস্থা। তাদের স্থান মসজিদ ও লক্ষ নির্জনতা। তারা লম্বা কেরাত পড়ে, কুরআন তিলাওয়াত করে, আল্লাহর সামনে রোনাজারি করে। তারা আল্লাহ মুখি হওয়ার প্রতিজ্ঞা করে এবং রহমানের সঙ্গে মোনাজাত করে। অথচ অন্যরা তখন শয়তানের আসরে বসে থাকে, গোনাগারদের সঙ্গে আড্ডা দেয়।
তারা কি জন্য আমল করে ?
তারা কেন আমল করে? কি তাদের উদ্দেশ? কেন তাদের এতো লম্বা কেরাত? কেন তাদের এতো রাত জাগা ও পরিশ্রম করা? উত্তর : তারা লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করে। যে রাত হাজার রাতের তুলনায় উত্তম। যদি মসজিদের মুখ থাকতো, সে বলে উঠত, হে লাইলাতুল কদর, তোমায় এবাদতকারীদের দেখে নাও। হে সালাত আদায়কারী, তুমি রুকু কর, সেজদা কর। হে প্রার্থনাকারী, এ রাতে তুমি খুব প্রার্থনা কর।‘ (লাতায়েফ : ৩৪৯)
এ রমজান চলে যাবে, তবে এর রাতসমূহ এতে ক্রন্দনকারী, তওবাকারী, ইস্তেগফাকারী, তিলাওয়াতকারী ও সদকাকারীদের চেনে নেবে। তারা আল্লাহর রহমত প্রত্যাশা করে, তারা জানে যে, আল্লাহ ক্ষমাকারী, তাই তারা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে।
গোনাহগাররা যদি আল্লাহর মাগফেরাত সম্পর্কে না জানতো, তবে তাদের অন্তর জ্বলে যেত, তারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ে যেত। কিন্ত তারা যখন আল্লাহর ক্ষমার কথা স্বরণ করে, তাদের অন্তর তৃপ্তিতে ভরে যায়। তাদের কেউ বলেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের গোনাহ অনেক, কিন্তু তোমার মাগফেরাত খুব বড়। হে আল্লাহ, আমার গোনাহ ও তোমার মাগফেরাতের মধ্যে তুলনা করে দেখ।‘ (লাতায়েফ : ৩৭০)
এ হচ্ছে নেককারদের দোয়া। তারা এভাবেই রমজান অতিবাহিত করেন। তাদেরই শোভা পায় এর সমাপ্তিতে ক্রন্দন করা। কারণ, এর মর্যাদা তারা বুঝে। এতদ সত্বেও তারা ভীত থাকে, কবুল না হওয়ার ভয়ে সঙ্কীত থাকে। তারা জানে আসল বিষয় হচ্ছে কবুল হওয়া, পরিশ্রম করা নয়। অন্তরের পবিত্রতাই আসল পবিত্রতা, শরীরের পবিত্রতা নয়।
মাহরুম কত রাত জাগরণকারী, মাহরুম কত ঘুমন্ত ব্যক্তি। কত ঘুমন্ত অন্তর আল্লাহর জিকিরে মশগুল, কত জাগ্রত অন্তর আল্লাহর অপরাধে লিপ্ত। কিন্তু বান্দাদের উচিত নেককাজের জন্য চেষ্টা করা এবং তার কবুলের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করা। এটাই নেককারদের অভ্যাস।
ইয়াহইয়া ইবনে কাসির বলেছেন, ‘আল্লাহর কতক নেক বান্দাদের দোয়া ছিল, ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে রমজানের নিকট সোপর্দ কর ও রমজানকে আমার নিকট সোপর্দ কর। এবং রমজানকে আমার কাছ থেকে কবুল করে নাও।‘ (হুলইয়াতুল আউলিয়া : ৩/৬৯)
ইবনে দিনার বলেন, ‘কবুল না হওয়ার ভয়, আমল করার চেয়েও বেশি কষ্টের।‘
আব্দুল আজিজ আবুদাউদ বলেন, ‘আমি তাদের খুব আমল করতে দেখেছি, তবুও আমল শেষে তারা কবুল না হওয়ার শঙ্কায় ভীত থাকত।‘ (লাতায়েফ : ৩৭৫)
আমল কবুল হওয়ার আলামত :
রমজানের পরেও ধারাবাহিক আমল করে যাওয়া আমল কবুল হওয়ার সব চেয়ে বড় আলামত। কেউ বলেছেন, ‘নেকির সওয়াব হচ্ছে, নেকির পর নেকি করা। এক নেক আমলের পর দ্বিতীয় নেক আমল করা, প্রথম আমলটি কবুল হওয়ার আলামত। যেমন নেক আমল করার পর গোনা করা, নেক আমল কবুল না হওয়ার আলামত।‘
রমজান পেয়ে ও তাতে সিয়াম-কিয়াম করে, রমজানের পর গোনা করা, মূলত আল্লাহর নিয়ামতকে গোনাহের মোকাবেলায় দাঁড় করা। যদি কেউ রমজানেই রমজান পরিবর্তী গোনা করার ইচ্ছা করে থাকে, তবে তার রোজা তার ওপরই পতিত হবে এবং তওবা না করা পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দরজা বন্ধ থাকবে।
কত সুন্দর! গোনার পর নেকি করা, তাতে গোনা মিটে যায়, আর নেকির পর নেকি করা আরো সুন্দর! খুবই খারাপ নেকির পর গোনা করা, যার কারণে নেকি নষ্ট হয়ে যায়। তওবা করার পর একটি গোনা করা, তওবার পূর্বে সত্তুরটি গোনার চেয়েও খারাপ। তওবার করার পর তাওবা ভঙ্গ করা খুবই খারাপ। এবাদতের সম্মান লাভ করে গোনার অসম্মান মাথায় নেয়া বড়ই লজ্জাকর।
হে তওবাকারীরা, রমজানের পর তোমরা গোনাতে ফিরে যেয়ো না। তোমরা ঈমানের স্বাদের ওপর গোনার প্রবৃত্তি প্রধান্য দিয়ো না। তোমরা আল্লাহর জন্য ধৈর্য ধারণ কর। তিনি তোমাদের উত্তম জিনিস দান করবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
হে এবাদত গোজার বান্দারা, যে সব এবাদতের মাধ্যমে তোমরা রমজানে আল্লাহর এবাদত করেছো, সে এবাদত এখনো বিদ্যমান। রমজানের সঙ্গে সঙ্গে তা চলে যায়নি। হয়তো তোমরা তা পুরোপুরি করতে পারবে না, কিন্তু একেবারে ছেড়ে দিয়ো না। বিশর হাফিকে বলা হয়েছে, ‘কতক লোক রযেছে, যারা রমজানে খুব এবাদত ও পরিশ্রম করে। তিনি বলেন, তারা খুবই খারাপ, যারা রমজান ছাড়া আল্লাহকে চিনে না। নেককার সে ব্যক্তি যে সব সময় আল্লাহর এবাদত করে। (লাতায়েফ : ৩৯৬)﴿ إِن يَعْلَمِ اللّهُ فِي قُلُوبِكُمْ خَيْراً يُؤْتِكُمْ خَيْراً مِّمَّا أُخِذَ مِنكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ﴾ [الأنفال:70].
‘যদি আল্লাহ তোমাদের অন্তরে কোন কল্যাণ আছে বলে জানেন, তাহলে তোমাদের থেকে যা নেয়া হয়েছে, তার চেয়ে উত্তম কিছু দেবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন, আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।‘ (আনফাল : ৭০)
এ নীতিই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জারি করে গেছেন। তিনি বলেন,
আয়েশা রা. বলেন,{ أحب الأعمال إلى الله أدومها وإن قل } [رواه البخاري;43 ومسلم:782]،
‘কম হলেও, ধারাবাহিক আমল আল্লাহর নিকট বেশি প্রিয়।‘ (বুখারি : ৪৩, মুসলিম : ৭৮২)
রমজানের রব, সব মাসেরই রব, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুমিনের আমলের শেষ নেই। হাসান রহ. বলেন,{ وكان أحب الدين إليه ما داوم عليه صاحبة } [رواه البخاري:43].
‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ধারাবাহিক আমলই বেশি প্রিয় ছিল।‘ (বুখারি : ৪৩)
‘আল্লাহ তাআলা মৃত্যু ছাড়া মুমিনদের আমলের জন্য কোন সময় নির্ধারণ করেননি।‘ আল্লাহ তাআলা বলেন,
তাদের কি লজ্জা হয় না, রমজানের সঙ্গে সঙ্গে তারা মসজিদ, কুরআন তিলাওয়াত ত্যাগ করে দেয় এবং পুনরায় গোনাতে লিপ্ত হয়। আল্লাহ, তোমার কাছে পানাহ চাই। আমাদেরকে তাদের অন্তরভুক্ত করো না। এ উপদেশ হচ্ছে তাদের জন্য যারা রমজানে রোজা রাখে ও এবাদত করে অতিবাহিত করেছে, কিন্তু যারা রমজান পেয়েও গান-বাদ্য এবং আল্লাহর অবাধ্যতায় অতিবাহিত করেছে, তাদের জন্য কি বলব?﴿ وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّى يَأْتِيَكَ الْيَقِينُ ﴾ [الحجر:99] [اللطائف:398].
‘মৃত্যু আসার আগ পর্যন্ত তুমি তোমার রবের এবাদত কর।‘ (হিজর : ৯৯) লাতায়েফ : ৩৯৮)
এর চেয়ে ভাল কথা আর তাদের বলতে পারি না যে, তোমরা তোমাদের রবের নিকট তওবা কর। আল্লাহ তাআলা বলেন,
তুমি রমজান নষ্ট করেছ, তাই তোমার পুরো জীবন তুমি নষ্ট কর না। তওবা কর, আল্লাহ তোমার মঙ্গল করতে পারেন। কখনো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।﴿ قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ ﴾ [الزمر:35].
‘বল, হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (জুমার : ৫৩)
আমরা কিভাবে রমজানকে বিদায় জানাবো?
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহ. তার গভর্নদের লিখে পাঠান যে, তোমরা রমজান মাস ইস্তেগফার ও সদকার মাধ্যমে খতম কর। কারণ, সদকা রোজাদারের জন্য পবিত্রতা স্বরূপ আর ইস্তেগফার রোজার জন্য পবিত্রতা স্বরূপ। আর এ জন্য কেউ বলেছেন, ‘সদকাতুল ফিতর হচ্ছে সেজদায়ে সাহুর ন্যায়।‘ আব্দুল আজিজ তার পত্রে বলেন, ‘তোমরা আবু বকরের ন্যায় বল,
(লাতায়েফ : ৩৮৭)﴿ رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ ﴾ [الأعراف:23]
তারা বলল, হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুলক করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। (আরাফ : ২৩)
﴿ وَإِلاَّ تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُن مِّنَ الْخَاسِرِينَ ﴾ [هود:47]
আর যদি আপনি আমাকে মাফ না করেন এবং আমার প্রতি দয়া না করেন, তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। (হুদ : ৪৭)
﴿ وَالَّذِي أَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ ﴾ [الشعراء:83]
আর যিনি আশা করি, বিচার বিদসে আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দেবেন। (শুআরা : ৮২)
﴿ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي ﴾ [القصص:16]
হে আল্লাহ, আমি আমার ওপর যুলক করেছি, তুমি আমাকে ক্ষমা কর।‘ (কাসাস : ১৬)
﴿ لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ ﴾ [الأنبياء:87] ) [اللطائف:387].
আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয় আমি ছিলাম যালিম। (আম্বিয়া : ৮৭)
ঈদের রাতের আমল :
রমজানের মাগফেরাত যেহেতু রোজা ও কিয়ামের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তাই আল্লাহ তাআলা রমজান শেষে তার শুকরিয়া আদায় ও তাকবির বলার নির্দেশ দিচ্ছেন। তিনি বলেন,
এর ব্যাখ্যায় ইবনে মাসউদ বলেন, আল্লাহর পরিপূর্ণ তাওয়া অর্জন করা। অর্থাৎ তার এবাদত করা গোনা না করা। তার স্বরণ করা তাকে না ভুলা এবং তার শুকরিয়া আদায় করা তার কুফরি না করা।‘ (তাফসিরে ইবনে আবি হাতেম : ২/৪৪৬) ঈদের দিনের সূর্যাস্ত থেকে ঈদের সালাত আদায় পর্যন্ত তাকবির বলা বিধেয়। পুরুষরা মসজিদে, বাজারে ও ঘরে জোড়ে জোড়ে তাকবির বলবে।﴿ وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ﴾ [البقرة:185]
‘তার জন্য তোমরা আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর। (বাকারা : ১৮৫)
ঈদের দিনের সুন্নত :
সালাতে যাওয়ার আগে ঈদের দিন খেজুর খাওয়া। বেজোড় সংখ্যায় খেজুর খাওয়া সুন্নত। আনাস রা. বলেন,
নারীরাও তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে ঈগগাহে যাবে। তারা সালাতে ও জিকিরে অংশ গ্রহণ করবে।{ كان رسول الله – صلى الله عليه وسلم – لا يغدو يوم الفطر حتى يأكل تمرات ويأكلهن وتراً } [أخرجه البخاري:953].
‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর না খেয়ে ঈদের সালাতের জন্য বের হতেন না, তিনি বিজোর সংখ্যায় খেজুর খেতেন।‘ (বুখারি : ৯৫৩)
আমাদের অনেকেই নিজ সন্তানদের পোষাক আশাকের ক্ষেত্রে উদাসীন থাকি, এটা মোটেও ঠিক নয়। বরং তাদের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পোশাক-আষাক পড়তে বাধ্য করা।
আবার অনেককে দেখা যায়, ঈদ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বের হয়ে যায়, গান-বাদ্যতে রাত কাটিয়ে দেয়, এটা কখনো ঠিক নয়। বরং এবাদত, ইস্তেগফার ইত্যাদির মাধ্যম ঈদ অতিবাহিত করা। আল্লাহ আমাদের সকলকে তওফিক দান করুন।
সমাপ্ত