গুলশান
হত্যাকাণ্ড পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) সম্পর্কে মুখ খুললেন ইসলামবিষয়ক বক্তা
জাকির নায়েক। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ আমাকে চেনেন। এই
অবস্থায় জঙ্গিরা যদি আমায় চেনে তাহলে কি আমার খুব বেশি অবাক হওয়ার কথা?
গুলশানের
জঙ্গিদের কয়েকজন জাকির নায়েকের বক্তব্য দ্বারা অনুপ্রাণিত -এমন খবর
প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন জাকির নায়েক।
আজ
মঙ্গলবার সকালে জাকির নায়েকের বক্তব্য নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি সংবাদ
প্রকাশ করে। সেখানে জাকির নায়েকের মন্তব্য, ‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক
অ্যান্ড সিরিয়া (আইএস) নামটিই অনৈসলামিক।’
জাকির
নায়েক এই মুহূর্তে সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছেন। সেখানেই তিনি শুনেছেন
গুলশানের হত্যাকারীরা তাঁর অনুসারী এমন একটি বক্তব্য। সেই বক্তব্যটিকে
মিথ্যা হিসেবে উল্লেখ করে আজ সকালে তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আমার
ফেসবুক ফলোয়ারের বড় অংশই বাংলাদেশি। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি
অঞ্চলের মানুষই বাংলায় প্রচারিত পিসটিভিতে আমাকে দেখেন। ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি
আমাকে চেনেন। প্রবীণ রাজনীতিক থেকে সাধারণ মানুষ, ছাত্র, শিক্ষকরা রয়েছেন
সেই তালিকায়। আর এই বিপুল মানুষের পঞ্চাশ শতাংশ আমার গুণমুগ্ধ। এই অবস্থায়
জঙ্গিরা যদি আমায় চেনে তাহলে কি আমার খুব বেশি অবাক হওয়ার কথা? না।’
তবে
যত যা হোক, জাকির নায়েক জঙ্গি আক্রমণ কোনোভাবেই সমর্থন করেন না বলে সাফ
জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হত্যাকারীরা আমার বক্তব্যের সঙ্গে পরিচিত হতেই
পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় আমি তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছি। আমি সাধারণত
ধর্মীয় বই অনুসারে বক্তব্য দেই। আমার বক্তব্য শুনে তারা যদি সঠিক ইসলামকে
বুঝতে না পারে সেটা তাদের দুর্ভাগ্য।’
মুম্বাইভিত্তিক
একটি ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক জাকির নায়েক বলেন, ‘ইসলামিক স্টেট
(আইএস) নামটি ব্যবহার করে আমরা আসলে ইসলামের নিন্দা করছি।’ তিনি এই জঙ্গি
সংগঠনটিকে ‘এন্টি ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’ নামে অভিহিত করেন।
আইএস নামটি ইসলামের শত্রুদের দেওয়া বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারত
ও দুবাইভিত্তকি পিস টিভিতে প্রতিদিনের টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ইসলামের নানা
বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন নায়েক। মুসলিম বিশ্বে তিনি একজন জনপ্রিয় বক্তা।
ফেসবুকে তাঁর এক কোটি ৪০ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় বিশ্বের ২০ কোটি
মানুষ টিভিতে তাঁর অনুষ্ঠান দেখে।