সত্যি
বলতে আমি science এর একজন student হতে পেরে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। বিশেষ
করে আমি যতই biological science পড়েছি ততই বিস্মিত হয়েছি। আর আল্লাহ
তায়ালার প্রজ্ঞার সামনে আমার মাথাকে অবনত করে দিয়েছে। আমার সেই প্রাক্তন
জ্ঞানের ছোট একটি বিষয় তুলে ধরছি। প্রায় ৪ বছর আগে physiology বইয়ে body
temperature নামক একটা অধ্যায় পরেছিলাম।
physiology এর ভাষায় BMR বলে একটা টার্ম আছে। এর পুরো
অর্থ Basal Metabolism Rate। এটা মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের অনেক বেশি। তাই
ছেলেদের শরীরে বেশি সংখ্যক মেটাবলিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। আর এই বিক্রিয়ার
ফলে শক্তির পাশাপাশি উৎপন্ন হয় প্রচুর পরিমান তাপ। অন্যদিকে মেয়েদের BMR
কম। তাই তাদের শরীরে কম তাপ উৎপাদন হয়। এ অবস্থায় স্বাভাবিক ফিজিওলজিক্যাল
কন্ডিশন ধরে রাখতে হলে ছেলেদের শরীর থেকে অধিক পরিমাণ তাপ বিকিরণ হওয়া
প্রয়োজন। নতুবা উৎপন্ন অত্যধিক তাপে তাদের thermostat set point অনেক বেড়ে
যাবে যা তাদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু মেয়েদের শরীরে তুলনামূলকভাবে
অনেক কম তাপ উৎপাদন হয়। তাই তাদের ক্ষেত্রে অত বেশি তাপ বিকিরণের দরকার
নেই।
আমাদের শরীরের physiological system গুলো আপনি বা আমি
নির্ধারণ করিনি, অন্যকেউও নির্ধারণ করেনি। বরং তা নির্ধারণ করেছেন আমাদের
স্রষ্টা মহান আল্লাহ। তিনি জানেন ছেলেদের জন্য কাপড়-চোপড় দিয়ে নিজেদের আবৃত
করে রাখা অপেক্ষাকৃত বেশি কঠিন। তাই তিনি ছেলেদের পর্দার পরিসীমা নির্ধারণ
করলেন হাঁটু থেকে নাভি পর্যন্ত। অন্যদিকে মেয়েদের সতর হলো মুখ ও হাত
ব্যতীত সমস্ত শরীর। এই পর্দার সীমা নির্ধারণ করে আল্লাহ তায়ালা মেয়েদের উপর
কোনরূপ অবিচার করেননি। বরং এই কাজ করাকে মেয়েদের জন্য তিনি সহজ করে
দিয়েছেন। তিনিই তো মেয়েদের BMRকে কম করে সৃষ্টি করেছেন যেন তাদের শরীরকে কম
তাপ উৎপাদন হয় এবং গরমের সময়ও তাদের জন্য পর্দা করতে কম কষ্ট হয়। সুবহান
আল্লাহ ।
সত্যি আল্লাহ তায়ালা প্রজ্ঞাময়। আল্লাহর নির্ধারিত
প্রতিটি বিধান এবং তার সৃষ্টিকার্যের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে আল্লাহ তায়ালার
প্রজ্ঞার নিদর্শন। কিন্তু আমরাই অধম বান্দা যে তার নিদর্শনকে বুঝতে পারি
না, দেখতে পাই না। অথবা দেখেও চোখ বন্ধ করে রাখি বা দেখেও না দেখার ভান
করি; আল্লাহর বিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলি—অথচ চিন্তাও করি না, তিনি আমাদের
স্রষ্টা, তার জ্ঞান অসীম আর আমরা তারই সৃষ্ট অজ্ঞ-মূর্খ বান্দা।
– সানজিদা শারমিন