হিসনুল মুসলিম বা কুরআন ও হাদীস থেকে সংকলিত দৈনন্দিন যিকর ও দোআর সমাহার (২য় পর্ব)

হিসনুল মুসলিম বা কুরআন ও হাদীস থেকে সংকলিত দৈনন্দিন যিকর ও দোআর সমাহার (২য় পর্ব)


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
৩৪. দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়ার দো

120-(1) «اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ، ابْنُ عَبْدِكَ، ابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُــــلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ القُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَنُورَ صَدْرِي، وَجَلاَءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّي».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আবদুকা ইবনু আবদিকা ইবনু আমাতিকানা-সিয়াতী বিয়াদিকামা-দ্বিন ফিয়্যা হুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়্যা কাদ্বা-য়ুকাআসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন্ হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহি নাফসাকাআও আনযালতাহু ফী কিতা-বিকা আও আল্লামতাহু আহাদাম্-মিন খালক্বিকা আও ইস্তাসারতা বিহী ফী ‘ইলমিল গাইবি ইনদাকা, আন্ তাজআলাল কুরআ-না রবীআ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্‌রী, ওয়া জালা’আ হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী)।
১২০-(১) হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনারই এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর; আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার প্রতিটি নামের উসীলায়; যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন অথবা আপনার আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকেও শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন—আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তিআমার বক্ষের জ্যোতিআমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী।[162]

121-(2) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্নি আঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানিওয়াল আজযি ওয়াল কাসালিওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনিওয়া দালাইদ দ্বাইনে ওয়া গালাবাতির রিজা-লি)
১২১-(২) হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকেঅপারগতা ও অলসতা থেকেকৃপণতা ও ভীরুতা থেকেঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।[163]
৩৫. দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দো

122-(1) «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ».
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ‘আযীমূল হালীম। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম। লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু রব্বুস সামা-ওয়া-তি ওয়া রব্বুল আরদ্বি ওয়া রব্বুল আরশিল কারীম)।
১২২-(১) আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেইতিনি মহান ও সহিষ্ণু। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেইতিনি মহান আরশের রব্ব। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেইতিনি আসমানসমূহের রব্ব, যমীনের রব্ব এবং সম্মানিত আরশের রব্ব।[164]
123-(2) «اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ».
(আল্লা-হুম্মা রহ্‌মাতাকা আরজু ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা)।
১২৩-(২) হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।[165]
124-(3) «لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمِينَ».
 (লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায-যা-লিমীন)।
১২৪-(৩) আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেইআপনি পবিত্র-মহান, নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।[166]
125-(4) «اللَّهُ اللَّهُ رَبِّي لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْئاً».
 (আল্লাহু আল্লাহু, রব্বী, লা উশরিকু বিহী শাই’আন)।
১২৫-(৪) আল্লাহ! আল্লাহ! (তিনি) আমার রব্ব! আমি তাঁর সাথে কোনো কিছু শরীক করি না।[167]
৩৬. শত্রু এবং শক্তিধর ব্যক্তির সাক্ষাতকালে দো

126-(1) «اللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِم، وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্না নাজ্‘আলুকা ফী নুহূরিহিম ওয়া না‘উযু বিকা মিন শুরূরিহিম)।
১২৬-(১) হে আল্লাহ! আমরা আপনাকে তাদের গলদেশে রাখছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।[168]
127-(2) «اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِي، وَأَنْتَ نَصِيرِي، بِكَ أَحُولُ وَبِكَ أَصُولُ، وَبِكَ أُقاتِلُ».
 (আল্লহুম্মা আনতা ‘আদ্বুদীওয়া আনতা নাসীরীবিকা আহূলুওয়া বিকা আসূলুওয়া বিকা উক্বা-তিলু)।
১২৭-(২) হে আল্লাহ! আপনি আমার শক্তি এবং আপনি আমার সাহায্যকারী; আপনারই সাহায্যে আমি বিচরণ করি, আপনারই সাহায্যে আমি আক্রমন করি এবং আপনারই সাহায্যে আমি যুদ্ধ করি।[169]
128-(3) «حَسْبُنا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ».
 (হাসবুনাল্লা-হু ওয়া নিমাল ওয়াকীল)।
১২৮-(৩) আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক[170]
৩৭. শাসকের অত্যাচারের ভয় করলে পড়ার দো‘আ

129-(1) «اللَّهُمَّ ربَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ، وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، كُنْ لِي جَاراً مِنْ فُلاَنِ بْنِ فُلاَنٍ، وَأَحْزَابِهِ مِنْ خَلاَئِقِكَ، أَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ أَوْ يَطْغَى، عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ».
 (আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামা-ওয়া-তিস সাবওয়া রব্বাল আরশিল আযীম। কুন লী জারান মিন্ ফুলানিবনি ফুলানিনওয়া আহযাবিহী মিন খালায়েক্বিকাআঁই ইয়াফরুত্বা আলাইয়্যা আহাদুম মিনহুম আও ইয়াত্বগাআয্যা জা-রুকাওয়া জাল্লা সানা-উকাওয়া লা ইলা-হা ইল্লা আনতা)।
১২৯-(১) হে আল্লাহ, সাত আসমানের রব্ব! মহান আরশের রব্ব! আপনার সৃষ্টিকুলের মধ্য থেকে অমুকের পুত্র অমুকের বিপক্ষে এবং তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আপনি আমার আশ্রয়দানকারী হোন; যাতে তাদের কেউ আমার উপর দ্রুত আক্রমণ বা সীমালঙ্ঘন করতে না পারে। আপনার আশ্রিত তো শক্তিশালীআপনার প্রশংসা তো অতি মহান। আর আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।[171]
130-(2) «اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعَزُّ مِنْ خَلْقِهِ جَمِيعاً، اللَّهُ أَعَزُّ مِمَّا أَخَافُ وَأَحْذَرُ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ، الْمُمْسِكِ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ أَنْ يَقَعْنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلاَنٍ، وَجُنُودِهِ وَأَتْبَاعِهِ وَأَشْيَاعِهِ، مِنْ الْجِنِّ وَالإِنْسِ، اللَّهُمَّ كُنْ لِي جَاراً مِنْ شَرِّهِمْ، جَلَّ ثَنَاؤُكَ وَعَزَّ جَارُكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ».(৩ বার)
 (আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আ‘আয্যু মিন খালক্বিহী জামীআন। আল্লাহু আ‘আয্যু মিম্মা আখা-ফু ওয়া আহযারু। আউযু বিল্লা-হিল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল মুমসিকুস্ সামা-ওয়া-তিস সাব‘ঈ, আন ইয়াকা‘না আলাল্ আরদ্বি ইল্লা বিইযনিহী, মিন শাররি আবদিকা ফুলা-নিন, ওয়া জুনূদিহী ওয়া আতবা‘ইহী ওয়া আশইয়া‘ইহী মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনসি। আল্লা-হুম্মা কুন লী জা-রান মিন শাররিহিম, জাল্লা সানা-উকা ওয়া ‘আয্যা জা-রুকা ওয়াতাবা-রকাসমুকা ওয়া লা ইলা-হা গাইরুকা)। (৩ বার)
১৩০-(২) আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে মহামর্যাদাবান। আমি যা থেকে ভীত ও শঙ্কিত তার চেয়ে আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী। আমি আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাই, যিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেইযিনি সাত আসমানের ধারণকারী, তার অনুমতি ব্যতীত পৃথিবীর উপর পতিত হওয়া থেকে— (আশ্রয় চাই) তাঁর অমুক বান্দা, তার সৈন্য-সামন্ততার অনুসারী ও তার অনুগামী জিন ও ইনসানের অনিষ্ট থেকে। হে আল্লাহ! তাদের ক্ষতি থেকে আপনি আমার জন্য আশ্রয়দানকারী হোন। আপনার গুণগান অতি মহানআপনার আশ্রিত প্রবল শক্তিশালীআপনার নাম অতি বরকতময়। আর আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।[172] (৩ বার)
৩৮. শত্রুর উপর বদ-দো

131- «اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيعَ الْحِسَابِ، اهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللَّهُمَّ اهزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ».
 (আল্লা-হুম্মা মুনযিলাল কিতা-বি সারীআল হিসা-বি ইহযিমিল আহযা-ব। আল্লা-হুম্মাহযিমহুম ওয়া যালযিলহুম)।
১৩১- হে আল্লাহ, কিতাব নাযিলকারীদ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন।[173]
৩৯. কোনো সম্প্রদায়কে ভয় করলে যা বলবে

132- «اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ».
 (আল্লা-হুম্মাকফিনীহিম বিমা শিতা)।
১৩২- হে আল্লাহ! আপনি যা ইচ্ছে তা দ্বারাই এদের মোকাবিলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন।[174]
৪০. ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির দো

১৩৩-(১) আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে (আঊযু বিল্লা-হ’ বলবে)।[175]
(২) যে সন্দেহে নিপতিত হয়েছে তা দূর করবে।[176]
১৩৪- (৩) বলবে,
 «آمَنْتُ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ».
(-মানতু বিল্লা-হি ওয়া রুসুলিহি)
আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান আনলাম।[177]
১৩৫-(৪) আল্লাহ্‌ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী পড়বে,
« ﴿هُوَ الْأوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظّاهِرُ وَالْباطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ».
(হুয়াল আউওয়ালু ওয়াল আ-খিরু ওয়ায্যা-হিরু ওয়াল-বা-ত্বিনু ওয়া হুয়া বিকুল্লি শাই’ইন ‘আলীম)।
তিনিই সর্বপ্রথমতিনিই সর্বশেষতিনিই সকলের উপরেতিনিই সকলের নিকটে এবং তিনি সব কিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞ।[178]
৪১. ঋণ মুক্তির জন্য দো

136-(1) «اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ».
 (আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়া-ক)।
১৩৬-(১) হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হালাল দ্বারা পরিতুষ্ট করে আপনার হারাম থেকে ফিরিয়ে রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্য সকলের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিন।[179]
137-(2) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আঊযু বিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল)।
১৩৭-(২) হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকেঅপারগতা ও অলসতা থেকেকৃপণতা ও ভীরুতা থেকেঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।[180]
৪২. সালাতে ও কেরাআতে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তির দো

138- «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرَّجِيمِ».
১৩৮-(আঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম)
“বিতাড়িত শয়তান থেকে আমি আল্লাহ্‌র আশ্রয় নিচ্ছি।”
অতঃপর বাম দিকে তিনবার থুতু ফেলবে[181]
৪৩. কঠিন কাজে পতিত ব্যক্তির দো

139- «اللَّهُمَّ لاَ سَهْلَ إِلاَّ مَا جَعَلْتَهُ سَهْلاً، وَأَنْتَ تَجْعَلُ الْحَزْنَ إِذَا شِئْتَ سَهْلاً».
 (আল্লা-হুম্মা লা সাহ্‌লা ইল্লা মা জাআলতাহু সাহ্‌লানওয়া আনতা তাজ্আলুল হাযনা ইযা শিতা সাহ্‌লান)।
১৩৯- হে আল্লাহ! আপনি যা সহজ করেছেন তা ছাড়া কোনো কিছুই সহজ নয়। আর যখন আপনি ইচ্ছা করেন তখন কঠিনকেও সহজ করে দেন।[182]
৪৪. পাপ করে ফেললে যা বলবে এবং যা করবে

১৪০- “যদি কোনো বান্দা কোনো পাপ কাজ করে ফেলে, অতঃপর সে উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে এবং দাঁড়িয়ে যায় ও দু রাক‘আত সালাত আদায় করে, তারপর আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।”[183]
৪৫. শয়তান ও তার কুমন্ত্রণা দূর করার দো

১৪১-(১) ‘তার থেকে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে’[184]   (অর্থাৎ ঊযু বিল্লাহ পড়বে)।
১৪২-(২) ‘আযান দিবে।’[185]
১৪৩-(৩) ‘যিক্‌র করবে এবং কুরআন পড়বে।’[186]
৪৬. যখন অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটেবা যা করতে চায় তাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন পড়ার দো‘আ

144- «قَدَرُ اللَّه وَمَا شَاءَ فَعَلَ».
 (কাদারুল্লা-হ, ওয়ামা শা-আ ফাআলা)
১৪৪- এটি আল্লাহ্‌র ফয়সালাআর তিনি যা ইচ্ছা করেছেন।[187]
৪৭. সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দন ও তার জবাব

145- «بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي الْمَوْهُوبِ لَكَ، وَشَكَرْتَ الْوَاهِبَ، وَبَلَغَ أَشُدَّهُ، وَرُزِقْتَ بِرَّهُ».
(বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফিল মাউহুবি লাকওয়া শাকারতাল ওয়া-হিবাওয়া বালাগা আশুদ্দাহুওয়া রুযিক্তা বিররাহু)।
১৪৫- আল্লাহ আপনাকে যা দিয়েছেন তাতে আপনার জন্য বরকত দান করুনসন্তান দানকারীর শুকরিয়া আদায় করুনসন্তানটি পরিপূর্ণ বয়সে পদার্পণ করুক এবং তার সদ্ব্যবহার প্রাপ্ত হোন।[188]
অভিনন্দনের জবাবে বলবে
«بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ، وَجَزَاكَ اللَّهُ خَيْراً، وَرَزَقَكَ اللَّهُ مِثْلَهُ، وَأَجْزَلَ ثَوَابَكَ».
(বা-রাকাল্লা-হু লাকা ওয়া বা-রাকা আলাইকাওয়া জাযা-কাল্লা-হু খাইরানওয়া রাযাক্বাকাল্লা-হু মিসলাহু ওয়া আজযালা সাওয়া-বাকা)।
আল্লাহ আপনাকে বরকত দান করুনআর আপনার উপর বরকত নাযিল করুন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিনআর আপনাকেও অনুরূপ দান করুন এবং আপনার সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি করুন।[189]
৪৮. যা দ্বারা শিশুদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়

১৪৬- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা-এর জন্য এই বলে (আল্লাহ্‌র) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-
146- «أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ».
 (উইযুকুমা বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিওঁয়া হা-ম্মাহ্‌ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্‌)।
আমি তোমাদের দুজনকে আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের আশ্রয়ে নিচ্ছি যাবতীয় শয়তান ও বিষধর জন্তু থেকে এবং যাবতীয় ক্ষতিকর চক্ষু (বদনযর) থেকে।[190]
৪৯. রোগী দেখতে গিয়ে তার জন্য দো

147-(1) «لاَ بأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ».
 (লা বাসা তুহুরুন ইন শা-আল্লা-হ)।
১৪৭-(১) কোনো ক্ষতি নেইআল্লাহ যদি চান তো (রোগটি গুনাহ থেকে) পবিত্রকারী হবে।[191]
148-(2) «أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفيَكَ» (সাতবার)
 (আসআলুল্লা-হাল আযীমরব্বাল আরশিল আযীমআঁই ইয়াশফিয়াকা)। (সাতবার)
১৪৮-(২) আমি মহান আল্লাহ্‌র কাছে চাচ্ছিযিনি মহান আরশের রবতিনি যেন আপনাকে রোগমুক্তি প্রদান করেন।[192] (সাতবার)
৫০. রোগী দেখতে যাওয়ার ফযীলত

১৪৯- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কোনো লোক তার মুসলিম ভাইকে দেখতে যায়, তখন সে না বসা পর্যন্ত যেন জান্নাতে ফল আহরণে বিচরণ করতে থাকে। অতঃপর যখন সে (রোগীর পাশে) বসে, (আল্লাহ্‌র) রহমত তাকে ঢেকে ফেলে। সময়টা যদি সকাল বেলা হয় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য ক্ষমা ও কল্যাণের দোআ করতে থাকে বিকাল হওয়া পর্যন্ত। আর যতি সময়টা বিকাল বেলা হয় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য রহমতের দোআ করতে থাকে সকাল হওয়া পর্যন্ত।[193]
৫১. জীবনের আশা ছেড়ে দেওয়া রোগীর দো

150-(1) «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الْأَعْلَى».
(আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়া আলহিক্বনী বির রফীক্বিল আলা)।
১৫০-(১) হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুনআমার প্রতি দয়া করুন এবং আমাকে সর্বোচ্চ বন্ধুর সঙ্গ পাইয়ে দিন।[194]
১৫১-(২) “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর সময় তাঁর দুহাত পানিতে প্রবেশ করিয়ে তা দিয়ে তাঁর চেহারা মুছছিলেন এবং বলছিলেন,
 « لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتٍ».
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হইন্না লিল মাওতি সাকারা-তিন)
আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেইনিশ্চয় মৃত্যুর রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভয়াবহ কষ্ট।[195]
152-(3) «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ».
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুআল্লা-হু আকবারলা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহুলা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহুলা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদুলা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ)
১৫২-(৩) আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেইআল্লাহ মহান। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেইতাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেইযাবতীয় রাজত্ব তাঁরইতার জন্যই সকল প্রশংসাআল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেইআল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই।[196]  
৫২. মরণাপন্ন ব্যক্তিকে তালক্বীন (কালেমা স্মরণ করিয়ে দেওয়া)

১৫৩- যার শেষ কথা হবে-
« لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ».
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ)
‘আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই’— সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।[197]
৫৩. কোনো মুসিবতে পতিত ব্যক্তির দো

154- «إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرَاً مِنْهَا».
 (ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লা-হুম্মা আজুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াখলুফ লী খাইরাম মিনহা)।
১৫৪- আমরা তো আল্লাহ্‌রই। আর নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। হে আল্লাহ! আমাকে আমার বিপদে সওয়াব দিন এবং আমার জন্য তার চেয়েও উত্তম কিছু স্থলাভিষিক্ত করে দিন।[198]
৫৪. মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর দো


155- «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِفُلاَنٍ (بِاسْمِهِ) وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ، وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ، وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ

يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ، وَافْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ، وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ».
 (আল্লা-হুম্মাগফির লি ফুলা-নিন (মৃতের নাম বলবে) ওয়ারফা‘ দারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যীনওয়াখলুফহু ফী আক্বিবিহী ফিল গা-বিরীনওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রব্বাল আ-লামীন। ওয়াফসাহ্‌ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাউইর লাহু ফী-হি)।
১৫৫- হে আল্লাহ! আপনি অমুককে (মৃত ব্যক্তির নাম ধরে) ক্ষমা করুন; যারা হেদায়াত লাভ করেছেতাদের মাঝে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন; যারা রয়ে গেছে তাদের মাঝে তার বংশধরদের ক্ষেত্রে আপনি তার প্রতিনিধি হোন। হে সৃষ্টিকুলের রব! আমাদের ও তার গুনাহ মাফ করে দিন। তার জন্য তার কবরকে প্রশস্ত করে দিন এবং তার জন্য তা আলোকময় করে দিন।[199]
৫৫. মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার সালাতে দো

156-(1) «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ، وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجَاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ [وَعَذَابِ النَّارِ]».
(আল্লা-হুম্মাগফির লাহুওয়ারহামহুওয়া আ-ফিহিওয়াফু আনহুওয়া আকরিম নুযুলাহুওয়াওয়াসসি‘ মুদখালাহুওয়াগসিলহু বিলমা-য়ি ওয়াস্‌সালজি ওয়ালবারাদিওয়ানাক্বক্বিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা নাক্কাইতাস সাওবাল আবইয়াদা মিনাদদানাসিওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহিওয়া আহলান খাইরাম মিন আহলিহিওয়া যাওজান খাইরাম মিন যাওজিহিওয়া আদখিলহুল জান্নাতাওয়া আয়িযহু মিন আযা-বিল ক্বাবরি [ওয়া আযাবিন্না-র])।
১৫৬-(১) হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুনতাকে দয়া করুনতাকে পূর্ণ নিরাপত্তায় রাখুন, তাকে মাফ করে দিনতার মেহমানদারীকে মর্যাদাপূর্ণ করুন, তার প্রবেশস্থান কবরকে প্রশস্ত করে দিন। আর আপনি তাকে ধৌত করুন পানিবরফ ও শিলা দিয়েআপনি তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করুন যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করেছেন। আর তাকে তার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর, তার পরিবারের বদলে উত্তম পরিবার ও তার জোড়ের (স্ত্রী/স্বামীর) চেয়ে উত্তম জোড় প্রদান করুন।  আর আপনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান এবং তাকে কবরের আযাব [ও জাহান্নামের আযাব] থেকে রক্ষা করুন[200]
157-(2) «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَصَغِيرِنَا وَكَبيرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا. اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِسْلاَمِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الإِيمَانِ، اللَّهُمَّ لاَ تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلاَ تُضِلَّنَا بَعْدَهُ».
 (আল্লা-হুম্মাগফির লিহায়্যিনা ওয়া মায়্যিতিনা ওয়া শা-হিদিনা ওয়া গা-য়িবিনা ওয়া সগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসা-না। আল্লা-হুম্মা মান আহ্ইয়াইতাহু মিন্না ফা’আহয়িহি ‘আলাল-ইসলাম। ওয়ামান তাওয়াফ্‌ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু ‘আলাল ঈমান। আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু ওয়ালা তুদ্বিল্লান্না বাদাহু)।
১৫৭-(২) হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত ও মৃতউপস্থিত ও অনুপস্থিতছোট ও বড় এবং নর ও নারীদেরকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মধ্যে যাদের আপনি জীবিত রাখবেন তাদেরকে ইসলামের উপর জীবিত রাখুন এবং যাদেরকে মৃত্যু দান করবেন তাদেরকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করুন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে তার (মৃত্যুতে ধৈয্যধারণের) সওয়াব থেকে বঞ্চিত  করবেন না এবং তার (মৃত্যুর) পর আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবেন না।[201]
158-(3) «اللَّهُمَّ إِنَّ فُلاَنَ بْنَ فُلاَنٍ فِي ذِمَّتِكَ، وَحَبْلِ جِوَارِكَ، فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ، وَعَذَابِ النَّارِ، وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ، فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرَّحيمُ».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্না ফুলানাবনা ফুলা-নিন ফী যিম্মাতিকাওয়া হাবলি জিওয়ারিকাফাক্বিহি মিন ফিতনাতিল ক্বাবরি ওয়া আযা-বিন না-রিওয়া আনতা আহলুল ওয়াফাই ওয়াল হাক্কফাগফির লাহু ওয়ারহামহুইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম)। 
১৫৮-(৩) হে আল্লাহঅমুকের পুত্র অমুক আপনার যিম্মাদারীতেআপনার প্রতিবেশিত্বের নিরাপত্তায়; সুতরাং আপনি তাকে কবরের পরীক্ষা থেকে এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। আর আপনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণকারী এবং প্রকৃত সত্যের অধিকারী। অতএবআপনি তাকে ক্ষমা করুন এবং তার উপর দয়া করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীলদয়ালু।[202]
159-(4) «اللَّهُمَّ عَبْدُكَ وَابْنُ أَمَتِكَ احْتَاجَ إِلَى رَحْمَتِكَ، وَأَنْتَ غَنِيٌّ عَنْ عَذَابِهِ، إِنْ كَانَ مُحْسِناً فَزِدْ فِي حَسَنَاتِهِ، وَإِنْ كَانَ مُسِيئاً فَتَجَاوَزْ عَنْهُ».
 (আল্লা-হুম্মা ‘আবদুকাওয়াবনু আমাতিকা, এহতাজা ইলা রাহমাতিকাওয়া আনতা গানিয়্যুন আন আযা-বিহিইন কা-না মুহসিনান ফাযিদ ফী হাসানা-তিহিওয়া ইনকা-না মুসীআন ফা তাজা-ওয়ায ‘আনহু)
১৫৯-(৪) হে আল্লাহআপনার এক দাসআর এক দাসীর পুত্রআপনার অনুগ্রহের মুখাপেক্ষীআপনি তাকে শাস্তি দেওয়া থেকে অমুখাপেক্ষী। যদি সে নেককার বান্দা হয়তবে তার সওয়াব  আরও বাড়িয়ে দিনআর যদি বদকার বান্দা হয়তবে তার অপরাধকর্ম এড়িয়ে যান।[203]
৫৬. নাবালক শিশুদের জন্য জানাযার সালাতে দো

160-(1) «اللَّهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ».
(আল্লা-হুম্মা আয়িযহু মিন আযা-বিল ক্বাবরি)
১৬০-(১) “হে আল্লাহ! এ শিশুকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।”[204]
আর যদি নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়া হয় তবে তাও উত্তম:
«اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ فَرَطاً وَذُخْراً لِوَالِدَيْهِ، وَشَفِيعاً مُجَاباً، اللَّهُمَّ ثَقِّلْ بِهِ مَوَازِينَهُمَا، وَأَعْظِمْ بِهِ أُجورَهُمَا، وَأَلْحِقْهُ بِصَالِحِ الْمُؤْمِنِينَ، وَاجْعَلْهُ فِي كَفَالَةِ إِبْرَاهِيمَ، وَقِهِ بِرَحْمَتِكَ عَذَابَ الْجَحِيمِ، وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِنْ أَهْلِهِ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِأَسْلاَفِنَا، وَأَفْرَاطِنَا، وَمَنْ سَبَقَنَا بِالْإِيمَانِ».
(আল্লা-হুম্মাজ‘আলহু ফারাত্বান ওয়া যুখরান লিওয়লিদায়হি, ওয়াশাফী‘আন মুজাবান। আল্লা-হুম্মা সাক্কিল বিহী মাওয়াযীনাহুমাওয়াআ‘যিম বিহী উজূরাহুমাওয়া আলহিক্বহু বিসা-লিহিল মুমিনীনওয়াজআলহু ফী কাফা-লাতি ইবরাহীমাওয়াক্বিহি বিরাহমাতিকা আযা-বাল জাহীমওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরান মিন দা-রিহিওয়া আহলান খায়রান মিন আহলিহিআল্লা-হুম্মাগফির লি’আসলাফিনা ওয়া আফরাত্বিনা ওয়া মান সাবাক্বানা বিল ঈমান।)
“হে আল্লাহতাকে তার পিতা-মাতার জন্য অগ্রগামী প্রতিনিধি বা সওয়াব ও সযত্নে গচ্ছিত সওয়াব হিসেবে কবুল করুন। আর তাকে এমন শাফাআতকারী বানান, যার শাফাআত কবুল হয়। হে আল্লাহএ শিশুর দ্বারা তার পিতা মাতার ওজনসমূহ আরও ভারী করে দিন। আর এর দ্বারা তাদের দু’জনের সওয়াব আরও বাড়িয়ে দিন। আর তাকে নেককারদের সঙ্গী-সাথী বানান এবং তাকে ইবরাহীম আলাইহিসসালামের যিম্মায় রাখুন। আর আপনার রহমতের অসীলায় তাকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। তাকে তার এ বাসস্থানের পরিবর্তে উত্তম বাসস্থান প্রদান করুনএখানকার পরিবার-পরিজনের পরিবর্তে উত্তম পরিবার-পরিজন প্রদান করুন। হে আল্লাহআমাদের পূর্ববর্তী নর-নারী ও নাবালক অগ্রগামী সন্তান-সন্ততিদের মাফ করুন এবং যারা ঈমান সহকারে আমাদের পূর্বে মারা গেছে তাদেরকেও।[205]
161-(2) «اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطاً، وَسَلَفاً، وَأَجْراً».
 (আল্লা-হুম্মাজআলহু লানা ফারাত্বান ওয়া সালাফান ওয়া আজরান)
১৬১-(২) হে আল্লাহআমাদের জন্য তাকে অগ্রগামী প্রতিনিধিঅগ্রিম পূণ্য এবং সওয়াব হিসেবে নির্ধারণ করে দিন।[206]
৫৭. শোকার্তদের সান্ত্বনা দেওয়ার দো

162- «إِنَّ للَّهِ مَا أَخَذَ، وَلَهُ مَا أَعْطَى، وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمَّى... فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ».
 (ইন্না লিল্লা-হি মা আখাযাওয়ালাহু মা আতাওয়া কুল্লু শাই’ইন ‘ইনদাহু বিআজালিম মুসাম্মাফালতাসবির ওয়াল তাহতাসিব)
১৬২- “নিশ্চয় যা নিয়ে গেছেন আল্লাহ্‌ তা তাঁরইআর যা কিছু প্রদান করেছেন তাও তাঁর। তাঁর কাছে সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কাজেই সবর করা এবং সওয়াবের আশা করা উচিত।[207]
আর নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়াও ভালো:
«أَعْظَمَ اللَّهُ أَجْرَكَ، وَأَحْسَنَ عَزَاءَكَ، وَغَفَرَ لِمَيِّتِكَ».
(আযামাল্লাহু আজরাকাওয়া আহসানা আযা-’আকাওয়াগাফারা লিমাইয়্যিতিকা)
আল্লাহ আপনার সওয়াব বর্ধিত করুনআপনার (শোকার্ত মনে) সুন্দর ধৈর্য ধরার তাওফীক দিনআর আপনার মৃতকে ক্ষমা করে দিন।[208]
৫৮. মৃতকে কবরে প্রবেশ করানোর দো

163- «بِسْمِ اللَّهِ وَعَلَى سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ».
 (বিসমিল্লা-হি ওয়া আলা সুন্নাতি রাসুলিল্লা-হি)।
১৬৩- আল্লাহর নামে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিয়মে।[209]
৫৯. মৃতকে দাফন করার পর দো

164- «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ».
 (আল্লা-হুম্মাগফির লাহুআল্লা-হুম্মা সাববিতহু)।
১৬৪- হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুনহে আল্লাহ্‌ আপনি তাকে (প্রশ্নোত্তরের সময়) স্থির রাখুন।[210]

৬০. কবর যিয়ারতের দো

165- «السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ، مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، [وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتأْخِرِينَ] أَسْاَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ».
 (আস্‌সালা-মু আলাইকুম আহলাদ্দিয়ারি মিনাল মুমিনীনা ওয়াল মুসলিমীনাওয়াইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হিকুনাওয়া ইয়ারহামুল্লাহুল মুসতাক্বদিমীনা মিন্না ওয়াল মুসতাখিরীনানাসআলুল্লাহা লানা ওয়ালাকুমুল আ-ফিয়াহ)।
১৬৫- হে গৃহসমূহের অধিবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আর নিশ্চয় আমরা ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথে মিলিত হবো। [আল্লাহ আমাদের পুর্ববর্তীদের এবং পরবর্তীদের প্রতি দয়া করুন।] আমি আল্লাহ্‌র নিকট আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করি।[211]
৬১. বায়ূ প্রবাহিত হলে পড়ার দো

166-(1) «اللَّهُمَّ  إِنِّي أَسْــــــأَلُكَ خَيْرَهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাহা ওা আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহা)।
১৬৬-(১) হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণ চাই। আর আমি আপনার নিকট এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।[212]
167-(2) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস’আলুকা খাইরাহা ওয়া খা                                                                                ইরা মা-ফীহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহী। ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা-ফীহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহী)।
১৬৭-(২) হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে।[213]
৬২. মেঘের গর্জন শুনলে পড়ার দো‘আ

168- «سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلاَئِكةُ مِنْ خِيفَتِهِ».
(সুবহা-নাল্লাযী ইউসাব্বিহুর –রা‘দু বিহামদিহি ওয়াল-মালা-ইকাতু মিন খীফাতিহি)।
১৬৮- পবিত্র-মহান সেই সত্তা, রা‘দ ফেরেশ্তা যাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে, আর ফেরেশ্তাগণও তা-ই করে যাঁর ভয়ে।[214]
৬৩. বৃষ্টি চাওয়ার কিছু দো

169-(1) «اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثاً مُغِيثاً مَرِيئاً مَرِيعاً، نَافِعاً غَيْرَ ضَارٍّ، عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ».
 (আল্লা-হুম্মা আসক্বিনা গাইসান মুগীসান মারীয়ান মারীআন না-ফিআন গাইরা দ্বাররিন আ-জিলান গাইরা আ-জিলিন)।
১৬৯-(১) হে আল্লাহ! আমাদেরকে এমন বৃষ্টির পানি দান করুন যা সাহায্যকারী, সুপেয়উর্বরকারী; কল্যাণকরক্ষতিকর নয়; শীঘ্রইবিলম্বে নয়।[215]
170-(2) «اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا».
 (আল্লা-হুম্মা আগিসনা, আল্লা-হুম্মা আগিসনা, আল্লা-হুম্মা আগিসনা)।
১৭০-(২) হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন।[216]
171-(3) «اللَّهُمَّ اسْقِ عِبَادَكَ، وَبَهَائِمَكَ، وَانْشُرْ رَحْمَتَكَ، وَأَحْيِي بَلَدَكَ الْمَيِّتَ».
(আল্লা-হুম্মাসক্বি ইবা-দাকা ওয়া বাহা-ইমাকা ওয়ানশুর রহমাতাকা ওয়া আহয়ি বালাদাকাল মায়্যিতা)।
১৭১-(৩) হে আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দাগণকে ও জীব- জন্তুগুলোকে পানি পান করানআর আপনার রহমত বিস্তৃত করুন এবং আপনার মৃত শহরকে সজীব করুন।[217]
৬৪. বৃষ্টি দেখলে দো

172- «اللَّهُمَّ صَيِّباً نَافِعاً».
 (আল্লা-হুম্মা সায়্যিবান নাফিআন)।
১৭২- হে আল্লাহ! মুষলধারায় উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন।[218]

৬৫. বৃষ্টি বর্ষণের পর যিকর

173- «مُطِرْنَا بِفَضْلِ اللَّهِ وَرَحْمَتِهِ».
(মুতিরনা বিফাদলিল্লা-হি ওয়া রহমাতি-হি)।
১৭৩- আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও দয়ায় আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে।[219]

৬৬. অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য কিছু দো

174- «اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ».
 (আল্লা-হুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা। আল্লা-হুম্মা আলাল-আ-কা-মি ওয়ায্যিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি ওয়ামানা-বিতিশ শাজারি)
১৭৪- “হে আল্লাহ! আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বর্ষণ করুন), আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকার কোলে ও বনাঞ্চলে (বর্ষণ করুন)।[220]
৬৭. নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো

175- «اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ».
 (আল্লা-হু আকবারআল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্‌সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মিওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বারব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ)
১৭৫- আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তাঈমানশান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।[221]
৬৮. ইফতারের সময় রোযাদারের দো

176-(1) «ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ العُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ».
 (যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু)।
১৭৬-(১) পিপাসা মিটেছেশিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহ্‌ চান তো সওয়াব সাব্যস্ত হয়েছে।[222]
177-(2) «اللَّهُمَّ  إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিরহ্‌মাতিকাল্লাতী ওয়াসি‘আত কুল্লা শাই’ইন আন তাগফিরা লী)।
১৭৭-(২) হে আল্লাহ! আপনার যে রহমত সকল কিছু পরিব্যাপ্ত করে রেখেছে তার উসীলায় আবেদন করিআপনি আমাকে ক্ষমা করুন।[223]
৬৯. খাওয়ার পূর্বে দো

১৭৮-(১) যখন তোমাদের কেউ আহার শুরু করে তখন সে যেনো বলে,
«بِسْمِ اللَّهِ»
(বিসমিল্লাহ)
“আল্লাহর নামে।” আর শুরুতে বলতে ভুলে গেলে যেন বলে,
«بسمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ»
(বিস্‌মিল্লাহি ফী আওওয়ালিহী ওয়া আখিরিহী)
এর শুরু ও শেষ আল্লাহ্‌র নামে।[224]
১৭৯-(২) যাকে আল্লাহ কোনো খাবার খাওয়ায় সে যেন বলে,
 « اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْراً مِنْهُ».
 (আল্লা-হুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া আতইমনা খাইরাম-মিনহু)।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য আহার করান।
আর আল্লাহ্‌ কাউকে দুধ পান করালে সে যেন বলে:
«اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَزِدْنَا مِنْهُ».
 (আল্লা-হুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়াযিদনা মিনহু)।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং আমাদেরকে তা থেকে আরও বেশি দিন।[225]
৭০. আহার শেষ করার পর দো

180-(1) «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا، وَرَزَقَنِيهِ، مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ».
 (আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আতআমানী হা-যা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরি হাউলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন)।
১৮০-(১) সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি আমাকে এ আহার করালেন এবং এ রিযিক দিলেন যাতে ছিল না আমার পক্ষ থেকে কোনো উপায়, ছিল না কোনো শক্তি-সামর্থ্য।[226]
181-(2) «الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْداً كَثِيراً طَيِّباً مُبَارَكاً فِيهِ، غَيْرَ [مَكْفِيٍّ وَلاَ ] مُوَدَّعٍ، وَلاَ مُسْتَغْنَىً عَنْهُ رَبَّنَا».
 (আলহামদু লিল্লা-হি হামদান কাসীরান তায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহিগাইরা মাকফিয়্যিন ওয়ালা মুয়াদ্দাইনওয়ালা মুসতাগনান আনহু রব্বানা)।
১৮১-(২) আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা; এমন প্রশংসা যা অঢেল, পবিত্র ও যাতে রয়েছে বরকত; [যা যথেষ্ট করা হয় নি], যা বিদায় দিতে পারব না, আর যা থেকে বিমুখ হতে পারব নাহে আমাদের রব্ব![227]
৭১. আহারের আয়োজনকারীর জন্য মেহমানের দো

182- «اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُم، وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ».
 (আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্তাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম)।
১৮২- হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছেন তাতে তাদের জন্য বরকত দিন এবং তাদের গুনাহ মাফ করুন, আর তাদের প্রতি দয়া করুন।[228]
৭২. দো‘আর মাধ্যমে খাবার বা পানীয় চাওয়ার ইঙ্গিত করা

183- «اللَّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِي، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِي».
 (আল্লা-হুম্মা আত্বইম মান আত্বআমানী ওয়াসক্বি মান সাক্বা-নী)।
১৮৩- হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাবে আপনি তাদেরকে আহার করান এবং যে আমাকে পান করাবে আপনি তাদেরকে পান করান।[229]
৭৩. কোনো পরিবারের কাছে ইফতার করলে তাদের জন্য দো

184- «أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ».
 (আফত্বারা ইন্দাকুমুস সা-ইমূনওয়া আকালা ত্বাআ-মাকুমুল আবরা-রুওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালা-ইকাহ)
১৮৪- আপনাদের কাছে রোযাদাররা ইফতার করুনআপনাদের খাবার যেন সৎলোকেরা খায়আর আপনাদের জন্য ফিরিশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করুন।[230]
৭৪. রোযাদারের নিকট যদি খাবার উপস্থিত হয়আর সে রোযা না ভাঙ্গে তখন তার দো‘আ করা

১৮৫- যদি কাউকে খাবারের দাওয়াত দেওয়া হয় সে যেন তাতে সাড়া দেয়; তারপর যদি সে রোযাদার হয়তবে যেন সে তার (খাবার ওয়ালার) জন্য দোআ করেআর যদি রোযা ভঙ্গকারী হয়তবে যেন সে খায়।[231]
৭৫. রোযাদারকে কেউ গালি দিলে যা বলবে

186- «إِنِّي صَائِمٌ، إِنِّي صَائِمٌ».
 (ইন্নি সা‘ইমুনইন্নি সা’ইমুন)
১৮৬- “নিশ্চয় আমি রোযাদারনিশ্চয় আমি রোযাদার।[232]
৭৬. ফলের কলি দেখলে পড়ার দো‘আ

187- «اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي ثَمَرِنَا، وَبَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا، وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا، وَبَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا».
 (আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা ফী সামারিনাওয়াবা-রিক লানা ফী মাদীনাতিনাওয়াবা-রিক লানা ফী সাইনাওয়াবা-রিক লানা ফী মুদ্দিনা)
১৮৭- হে আল্লাহআপনি আমাদের ফল-ফলাদিতে বরকত দিনআমাদের শহরে বরকত দিনআমাদের সা‘ তথা বড় পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিনআমাদের মুদ্দ তথা ছোট পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন।[233]
৭৭. হাঁচির দো‘আ

১৮৮-(১) তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে বলবে,
 «الْحَمْدُ لِلَّهِ»
 (আলহামদু লিল্লা-হি)
সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র” এবং তার মুসলিম ভাই বা সাথী যেন অবশ্যই বলে,
 « يَرْحَمُكَ اللَّهُ »
(ইয়ারহামুকাল্লা-হ)
আল্লাহ আপনাকে রহমত করুন। যখন তাকে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা হয়তখন হাঁচিদাতা যেন তার উত্তরে বলে,
« يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ».
(ইয়াহ্‌দীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম)
আল্লাহ আপনাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের অবস্থা উন্নত করুন।[234]
৭৮. কাফের ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে তার জবাবে যা বলা হবে

189-(2) «يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ».
 (ইয়াহদীকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম)।
১৮৯- “আল্লাহ আপনাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের অবস্থা উন্নত করুন।[235]


৭৯. নব বিবাহিতের জন্য দো

190- «بَارَكَ اللَّهُ لَكَ، وَبَارَكَ عَلَيْكَ، وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ».
 (বা-রাকাল্লা-হু লাকা ওয়াবা-রাকা আলাইকা ওয়া জামাআ বাইনাকুমা ফী খাইরিন্)।
১৯০- “আল্লাহ আপনার জন্য বরকতদান করুনআপনার উপর বরকত নাযিল করুন এবং কল্যাণের সাথে আপনাদের উভয়কে একত্রিত করুন।[236]
৮০. বিবাহিত ব্যক্তির দো‘আ এবং বাহন ক্রয়ের পর দো

১৯১“যখন তোমাদের কেউ কোনো মেয়েকে বিয়ে করেঅথবা কোনো খাদেম গ্রহণ করেতখন যেন সে বলে,
191-«اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَإِذَا اشْتَرَى بَعِيراً فَلْيَأْخُذْ بِذِرْوَةِ سَنَامِهِ وَلْيَقُلْ مِثْلَ ذَلِكَ».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা ‘আলাইহিওয়া আঊযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা ‘আলাইহি)
হে আল্লাহআমি এর যত কল্যাণ রয়েছে এবং যত কল্যাণ তার স্বভাবে আপনি দিয়েছেন তা চাই। আর এর যত অকল্যাণ রয়েছে এবং যত অকল্যাণ ওর স্বভাব-চরিত্রে আপনি রেখেছেন তা থেকে আপনার আশ্রয় চাই।
“আর যখন কোনো উট তথা বাহন খরিদ করেতখন যেন সে তার কুঁজের সর্বোচ্চ স্থানে হাত রাখে এবং অনুরূপ বলে।[237]
৮১. স্ত্রী-সহবাসের পুর্বের দো

192- «بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا».
(বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রযাকতানা)।
১৯২- “আল্লাহ্‌র নামে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং আমাদেরকে আপনি যে সন্তান দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন।[238]
৮২. ক্রোধ দমনের দো

193- «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ».
(আঊযু বিল্লাহি মিনাশ্-শাইত্বা-নির রাজীম)।
১৯৩- “আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাই বিতাড়িত শয়তান থেকে।[239]
৮৩. বিপন্ন লোক দেখলে পড়ার দো

194- «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ، وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً».
 (আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আ-ফানী মিম্মাবতালা-কা বিহীওয়া ফাদ্দালানী আলা কাসীরিম মিম্মান খালাক্বা তাফদ্বীলা)।
১৯৪- “সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি আপনাকে যে পরীক্ষায় ফেলেছেন তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং তার সৃষ্টির অনেকের উপরে আমাকে অধিক সম্মানিত করেছেন।[240]
৮৪. মজলিসে যা বলতে হয়

ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনগণনা করে দেখা যেত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বৈঠক থেকে উঠে যাবার পূর্বে শতবার এই দোআ পড়তেনঃ
195- «رَبِّ اغْفِرْ لِي، وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الغَفُورُ».
 (রব্বিগফির লী ওয়াতুব আলাইয়্যাইন্নাকা আনতাত্ তাউওয়া-বুল গাফূর)।
১৯৫- “হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে মাফ করুন এবং তাওবাহ কবুল করুন; নিশ্চয় আপনিই তওবা কবুলকারী ক্ষমাশীল।[241]
৮৫. বৈঠকের কাফ্‌ফারা (ক্ষতিপূরণ)

196- «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ».
 (সুব্‌হা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা)।
১৯৬- “হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি সাক্ষ্য দেই যেআপনি ছাড়া হক্ব কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার নিকট তওবা করি।[242]
৮৬. কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন’তার জন্য দো‘আ

197- «وَلَكَ».
 (ওয়া লাকা)
১৯৭- “আর আপনাকেও।[243]
৮৭. কেউ আপনার সাথে সদাচারণ করলে তার জন্য দো

198- «جَزَاكَ اللَّهُ خَيْراً».
 (জাযা-কাল্লা-হু খাইরান)।
১৯৮- “আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।[244]
৮৮. আল্লাহ যা দ্বারা দাজ্জাল থেকে হেফাযত করবেন

১৯৯“যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে, তাকে দাজ্জাল থেকে রক্ষা করা হবে।”[245]
অনুরূপভাবে প্রতি নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর তার (দাজ্জালের) বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবার জন্য আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে।[246]
৮৯. যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র জন্য ভালোবাসি’— তার জন্য দো

200- «أَحَبَّكَ الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ».
(আহাব্বাকাল্লাযী আহ্বাবতানী লাহু)।
২০০- যাঁর জন্য আপনি আমাকে ভালোবেসেছেন, তিনি আপনাকে ভালোবাসুন।[247]
৯০. আপনাকে কেউ তার সম্পদ দান করার জন্য পেশ করলে তার জন্য দো

201- «بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ».
 (বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকা)।
২০১- আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন।[248]
৯১. কেউ ঋণ দিলে তা পরিশোধের সময় দো

202- «بارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ، إِنَّمَا جَزَاءُ السَّلَفِ الْحَمْدُ وَالأَدَاءُ».
 (বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকাইন্নামা জাযা-উস সালাফে আল-হামদু ওয়াল আদা-উ)
২০২- আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন। ঋণের প্রতিদান তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও (ঠিকভাবে) আদায়।[249]
৯২. শির্কের ভয়ে দো

203- «اللَّهُمَّ  إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আলামু ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আলামু)।
২০৩- হে আল্লাহ! আমি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে শির্ক করা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং অজ্ঞতাসারে (শির্ক) হয়ে গেলে তার জন্য ক্ষমা চাই।[250]
৯৩. কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনার উপর বরকত দিন’তার জন্য দো‘আ

204- «وَفِيكَ بَارَكَ اللَّهُ».
 (ওয়াফীকা বা-রাকাল্লা-হ)
২০৪- আর আপনার মধ্যেও আল্লাহ বরকত দিন।[251]
৯৪. অশুভ লক্ষণ গ্রহণকে অপছন্দ করে দো

205- «اللَّهُمَّ لاَ طَيْرَ إِلاَّ طَيْرُكَ، وَلاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ».
 (আল্লা-হুম্মা লা ত্বাইরা ইল্লা ত্বাইরুকা ওয়ালা খাইরা ইল্লা খাইরুকা ওয়ালা ইলা-হা গাইরুকা)।
২০৫- হে আল্লাহ! আপনার পক্ষ থেকে অশুভ মঞ্জুর না হলে অশুভ বলে কিছু নেই। আপনার কল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই। আর আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।[252]
৯৫. বাহনে আরোহণের দো

206- «بِسْمِ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ للَّهِ ﴿سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ، «الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ  إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي؛ فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ».
(বিস্‌মিল্লা-হিআলহাম্‌দু লিল্লা-হিসুব্‌হা-নাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বালিবূনআলহামদুলিল্লা-হআলহামদুলিল্লা-হআলহামদুলিল্লা-হআল্লা-হু আকবারআল্লা-হু আকবারআল্লা-হু আকবারসুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফির লী। ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা)।
২০৬- আল্লাহ্‌র নামে; আর সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি একে আমাদের জন্য বশীভূত করে দিয়েছেনঅন্যথায় আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আর আমরা অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করবো আমাদের রব্বের দিকে। সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্যসকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্যসকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়আল্লাহ সবচেয়ে বড়আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র-মহান; আমি আমার নিজের উপর যুলুম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে মাফ করে দিন। কেননা, আপনি ছাড়া গুনাহ মাফ করার আর কেউ নেই।[253]
৯৬. সফরের দো

207- اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، ﴿سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ * وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ «اللَّهُمَّ إِنّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا البِرَّ وَالتَّقْوَى، وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى، اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ، اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ، وَالْخَليفَةُ فِي الْأَهْلِ، اللَّهُمَّ  إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ، وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ، وَسُوءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالْأَهْلِ»
 (আল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার। সুব্‌হা-নাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীনা। ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বালিবূন। আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস’আলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল-বিররা ওয়াত্তাকওয়াওয়ামিনাল ‘আমালি মা তারদ্বা। আল্লা-হুম্মা হাউইন আলাইনা সাফারানা হা-যা ওয়াতউই আন্না বুদাহু। আল্লা-হুম্মা আনতাস সা-হিবু ফিস সাফারি ওয়াল-খালীফাতু ফিল আহ্‌লি। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ওয়াআসা-ইস্ সাফারি ওয়া কা’আবাতিল মানযারি ওয়া সূ-ইল মুনক্বালাবি ফিল মা-লি ওয়াল আহল)।
২০৭- “আল্লাহ সবচেয়ে বড়আল্লাহ সবচেয়ে বড়আল্লাহ সবচেয়ে বড়। পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি আমাদের জন্য একে বশীভূত করে দিয়েছেনঅন্যথায় আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আর আমরা অবশ্যই আমাদের রব্বের নিকট প্রত্যাবর্তন করব।
হে আল্লাহ! আমরা এই সফরে আপনার কাছে চাই পূণ্য ও তাকওয়া এবং এমন কাজ যা আপনি পছন্দ করেন। হে আল্লাহ! আমাদের জন্য এই সফরকে সহজ করে দিন এবং এর দুরত্বকে আমাদের জন্য কমিয়ে দিন। হে আল্লাহ্! আপনিই সফরে আমাদের সাথী এবং আমাদের পরিবার-পরিজনের তত্ত্বাবধায়ণকারী। হে আল্লাহ! আমরা আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি সফরের কষ্ট-ক্লেশ থেকেঅবাঞ্ছিত অবস্থার দৃশ্য থেকে এবং সম্পদ ও পরিবারে অনিষ্টকর প্রত্যাবর্তন থেকে।”
আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর থেকে ফেরার সময়ও তা পড়তেন এবং তাতে যোগ করতেন,
«آيِبُونَ، تائِبُونَ، عَابِدُونَ، لِرَبِّنَا حَامِدُونَ». 
(আ-ইবূনা তা-ইবূনা আ-বিদূনালিরব্বিনা হা-মিদূন)।
আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারীইবাদতকারী এবং আমাদের রব্বের প্রশংসাকারী।[254]
৯৭. গ্রাম বা শহরে প্রবেশের দো

208- «اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ، وَرَبَّ الأَرَضِينَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ، وَرَبَّ الشَّياطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا ذَرَيْنَ، أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَخَيْرَ أَهْلِهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ أَهْلِهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا».
 (আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামা-ওয়া-তিস্ সাবঈ ওয়ামা আযলালনাওয়ারব্বাল আরাদীনাস সাবঈ ওয়ামা আক্বলালনাওয়া রব্বাশ শাইয়া-তী-নি ওয়ামা আদ্বলালনাওয়া রব্বাররিয়া-হি ওয়ামা যারাইনাআস’আলুকা খাইরা হা-যিহিল কারইয়াতি ওয়া খাইরা আহলিহা ওয়া খাইরা মা ফীহা। ওয়া আঊযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি আহলিহা ওয়া শাররি মা ফীহা)।
২০৮- হে আল্লাহ! সাত আসমান এবং তা যা কিছু ছায়া দিয়ে রেখেছে তার রব্ব! সাত যমীন এবং তা যা ধারণ করে রেখেছে তার রব্ব! শয়তানদের এবং ওদের দ্বারা পথভ্রষ্টদের রব্ব! বাতাসসমূহ এবং তা যা উড়িয়ে নেয় তার রব্ব! আমি আপনার নিকট চাই এ জনপদের কল্যাণএ জনপদবাসীর কল্যাণ এবং এর মাঝে যা আছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই এ জনপদের অনিষ্ট থেকে, তাতে বসবাসকারীদের অনিষ্ট থেকে এবং এর মাঝে যা আছে তার অনিষ্ট থেকে।[255]
৯৮.বাজারে প্রবেশের দো

209- «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ حَيٌّ لاِ يَمُوتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ».
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকালাহু লাহুল-মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহঈ ওয়াইয়ুমীতু ওয়াহুয়া হায়্যুন লা ইয়ামূতু বিয়াদিহিল খাইরু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
২০৯- একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেইতাঁর কোনো শরিক নেইরাজত্ব তাঁরইপ্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মারেন। আর তিনি চিরঞ্জীবমারা যাবেন না। সকল প্রকার কল্যাণ তাঁর হাতে নিহিত। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।[256]
৯৯. বাহন হোঁচট খেলে পড়ার দো

210- «بِسْمِ اللَّهِ».
 (বিসমিল্লা-হ)
২১০- আল্লাহ্‌র নামে।[257]
১০০. মুক্বীম বা অবস্থানকারীদের জন্য মুসাফিরের দো

211- «أَسْتَوْدِعُكُمُ اللَّهَ الَّذِي لاَ تَضِيعُ وَدَائِعُهُ».
 (আস্তাউদিউ কুমুল্লা-হাল্লাযী লা তাদ্বীউ ওয়াদা-ইউহু)।
২১১- আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্‌র হেফাযতে রেখে যাচ্ছি, যাঁর কাছে রাখা আমানতসমূহ কখনও বিনষ্ট হয় না।[258]
১০১. মুসাফিরের জন্য মুক্বীম বা অবস্থানকারীর দো

212-(1) أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ، وَأَمَانَتَكَ، وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ».
(আস্তাউদিউল্লা-হা দীনাকা ওয়া আমা-নাতাকা ওয়া খাওয়া-তীমা আমালিকা)।
২১২-(১) আমি আপনার দীনআপনার আমানত (পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ) এবং আপনার সর্বশেষ আমলকে আল্লাহ্‌র হেফাযতে রাখছি।[259]  
213-(2) «زَوَّدَكَ اللَّهُ التَّقْوَى، وَغَفَرَ ذَنْبَكَ، وَيَسَّرَ لَكَ الخَيْرَ حَيْثُ ما كُنْتَ».
 (যাওয়াদাকাল্লাহুত তাক্বওয়াওয়াগাফারা যানবাকাওয়া ইয়াসসারা লাকাল খাইরা হাইসু মা কুনতা)।
২১৩-(২) আল্লাহ আপনাকে তাকওয়ার পাথেয় প্রদান করুনআপনার গুনাহ ক্ষমা করুনআর যেখানেই থাকুন না কেন আপনার জন্য কল্যাণকে সহজ করে দিন।[260] 
১০২. সফরে চলার সময় তাকবীর ও তাসবীহ

২১৪- ‘জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমরা যখন উঁচুতে আরোহণ করতাম তখন আল্লাহু আকবার’ বলতামআর যখন নীচের দিকে নামতাম তখন সুবহানাল্লাহ’ বলতাম।[261]
১০৩. রাত্রির শেষ প্রহরে মুসাফিরের দো

215- «سَمَّعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللَّهِ، وَحُسْنِ بَلاَئِهِ عَلَيْنَا، رَبَّنَا صاحِبْنَا، وَأَفْضِلْ عَلَيْنَا، عَائِذاً بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ».
(সাম্মাআ সা-মিউন বিহামদিল্লা-হওয়া হুসনি বালা-ইহী ‘আলাইনারাব্বানা সা-হিবনাওয়া আফদিল আলাইনা, ‘আ-ইযান বিল্লা-হি মিনান না-রী)  
২১৫- আমরা যে আল্লাহ্‌র প্রশংসা করলামআর আমাদের উপর তাঁর উত্তম নেয়ামতের ঘোষণা দিলাম, তা একজন শ্রোতা আমার এ কথা শুনে অন্যের কাছে পৌঁছে দিক। হে আমাদের রব! আপনি আমাদের সাথী হোনআর আমাদের উপর অনুগ্রহ বর্ষণ করুন। আগুন থেকে আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয়প্রার্থী হয়ে (এ দো‘আ করছি)।[262]
১০৪. সফরে বা অন্য অবস্থায় কোনো ঘরে নামলে পড়ার দো

216- «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ».
 (আঊযু বি কালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা খালাক্ব)
২১৬- আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।[263]
১০৫. সফর থেকে ফেরার যিক্‌র

২১৭- প্রতিটি উঁচু স্থানে তিন বার তাকবীর দিবেতারপর বলবে,
« لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، آيِبُونَ، تَائِبُونَ، عَابِدُونَ، لِرَبِّنا حَامِدُونَ، صَدَقَ اللَّهُ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزابَ وَحْدَهُ».
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহুলাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদুওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীরআ-ইবূনাতা-ইবূনা, ‘আ-বিদূনালি রাব্বিনা হা-মিদূন। সাদাক্বাল্লা-হু ওয়াদাহুওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু)
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেইতাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারীইবাদতকারী এবং আমাদের রব্বের প্রশংসাকারী। আল্লাহ তাঁর ওয়াদা বাস্তবায়ন করেছেনতিনি তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেনআর তিনি সকল বিরোধী দল-গোষ্ঠীকে একাই পরাস্ত করেছেন।[264]
১০৬. আনন্দদায়ক অথবা অপছন্দনীয় কিছুর সম্মুখীন হলে যা বলবে

২১৮- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যখন আনন্দায়ক কোনো বিষয় আসত তখন তিনি বলতেন,
«الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي بِنِعْمَتِهِ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ»
(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী বিনিমাতিহী তাতিম্মুস সা-লিহা-ত)।
আল্লাহ্‌র জন্য সমস্ত প্রশংসাযাঁর নেয়ামত দ্বারা সকল ভাল কিছু পরিপূর্ণ হয়।
আর যখন তার কাছে অপছন্দনীয় বিষয় আসত, তখন তিনি বলতেন,
«الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ».
 (আলহামদুলিল্লা-হি আলা কুল্লি হাল)
সকল অবস্থায় যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য।[265]
১০৭. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পাঠের ফযীলত

২১৯-(১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবেতার বিনিময়ে আল্লাহ্ তার উপর দশবার দরুদ পাঠ করবেন।[266]
২২০-(২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “তোমরা আমার কবরকে ঈদ তথা সম্মিলনস্থলে পরিণত করবে না, আর তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ কর; কেননা তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়তোমরা যেখানেই থাক না কেন।[267]
২২১-(৩) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “যার সামনে আমার নাম উল্লেখ করা হলো অতঃপর সে আমার উপর দরূদ পড়লো না, সে-ই কৃপণ।[268]
২২২-(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, পৃথিবীতে আল্লাহর একদল ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা রয়েছে যারা উম্মতের পক্ষ থেকে প্রেরিত সালাম আমার কাছে পৌঁছিয়ে দেয়।[269]
২২৩-(৫) রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “যখন কোনো ব্যক্তি আমাকে সালাম দেয়, তখন আল্লাহ আমার রূহ ফিরিয়ে দেনযাতে আমি সালামের জবাব দিতে পারি।[270]
১০৮. সালামের প্রসার

২২৪-(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর তোমরা পরস্পরকে না ভালোবাসা পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না।  আমি কি তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দিবো না যা করলে তোমরা পরস্পরকে ভালবাসবে? (তা হলো) তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও।[271]
২২৫-(২) তিনটি জিনিস যে ব্যক্তি একত্রিত করতে পারবে সে ঈমান একত্রিত করল, (১) নিজের ব্যাপারেও ইনসাফ করা, (২) জগতের সকলকে সালাম দেওয়া, আর (৩) অল্প সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তা থেকে ব্যয় করা।[272]
২২৬-(৩) আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিতএক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলোইসলামের কোন কাজটি শ্রেষ্ঠনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি খাবার খাওয়াবে এবং তোমার পরিচিত-অপরিচিত সকলকে সালাম দিবে।[273]
১০৯. কাফের সালাম দিলে কীভাবে জবাব দিবে

২২৭- “আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও নাসারারা যখন তোমাদেরকে সালাম দিবেতখন তোমরা বলবে,
«وَعَلَيْكُمْ»
(ওয়া ‘আলাইকুম।)
“আর তোমাদেরও উপর।”[274]
১১০. মোরগের ডাক ও গাধার স্বর শুনলে পড়ার দো

২২৮- “যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবেতখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ চাইবেকেননা সে একটি ফেরেশতা দেখেছে। আর যখন তোমরা কোনো গাধার স্বর শুনবেতখন শয়তান থেকে আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাইবে; কেননা সে শয়তান দেখেছে।”[275]
১১১. রাতের বেলায় কুকুরের ডাক শুনলে দো

২২৯- “যখন তোমরা রাত্রিবেলা কুকুরের ডাক ও গাধার স্বর শুনবেতখন তোমরা সেগুলো থেকে আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাওকেননা সেগুলো তা দেখে তোমরা যা দেখতে পাও না।”[276]
১১২. যাকে আপনি গালি দিয়েছেন তার জন্য দো

২৩০- রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
«اللَّهُمَّ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ لَهُ قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ».
 (আল্লা-হুম্মা ফাআইয়্যূমা মুমিনিন্ সাবাবতুহু ফাজ্আল যা-লিকা লাহু কুরবাতান ইলাইকা ইয়াউমাল ক্বিয়া-মাতি)।
হে আল্লাহ! যে মুমিনকেই আমি গালি দিয়েছি, তা তার জন্য কিয়ামতের দিন আপনার নৈকট্যের মাধ্যম করে দিন।[277]
১১৩. কোনো মুসলিম অপর মুসলিমকে প্রশংসা করলে যা বলবে

২৩১- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন“যখন তোমাদের মধ্যে কেউ কারো প্রশংসা করতেই হয়, তখন যেন সে বলে,
« أَحْسِبُ فُلاَناً وَاللَّهُ حَسِيبُهُ، وَلاَ أُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَداً، أَحْسِبُهُ – إِنْ كَانَ يَعْلَمُ ذَاكَ – كَذَا وَكَذَا».
অমুক প্রসঙ্গে আমি এ ধারণা রাখিআর আল্লাহই তার ব্যাপারে সঠিক হিসাবকারী, আল্লাহ্‌র উপর (তাঁর জ্ঞানের উপরে উঠে) কারও প্রশংসা করছি না। আমি মনে করিসে এ ধরনেরও ধরনের -যদি তার সম্পর্কে তা জানা থাকে-।[278]
১১৪. কোনো মুসলিমের প্রশংসা করা হলে সে যা বলবে

232- «اللَّهُمَّ لاَ تُؤَاخِذْنِي بِمَا يَقُولُونَ، وَاغْفِرْ لِي مَا لاَ يَعْلَمُونَ، [وَاجْعَلْنِي خَيْراً مِمَّا يَظُّنُّونَ]».
 (আল্লা-হুম্মা লা-তুআ-খিযনী বিমা ইয়াক্বূলূনাওয়াগফিরলী মা-লা ইয়ালামূনা[ওয়াজআলনী খাইরাম মিম্মা ইয়াযুন্নূনা])
২৩২- হে আল্লাহতারা যা বলছে তার জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন না, তারা (আমার ব্যাপারে) যা জানে না সে ব্যাপারে আমাকে ক্ষমা করুন[আর তারা যা ধারণা করে তার চাইতেও আমাকে উত্তম বানান]।[279]
১১৫. হজ্জ বা উমরায় মুহরিম ব্যক্তি কিভাবে তালবিয়াহ পড়বে

233- «لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ، وَالنِّعْمَةَ، لَكَ وَالْمُلْكَ، لاَ شَرِيكَ لَكَ».
 (লাব্বাইকাল্লা-হুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নিমাতা লাকা ওয়াল মুলকলা শারীকা লাকা)।
২৩৩- আমি আপনার দরবারে হাযিরহে আল্লাহ! আমি আপনার দরবারে উপস্থিত। আমি আপনার দরবারে হাযির, আপনার কোনো শরীক নেইআমি আপনার দরবারে উপস্থিত। নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নেয়ামত আপনার, আর রাজত্বও। আপনার কোনো শরীক নেই।[280]
১১৬. হাজরে আসওয়াদের কাছে আসলে তাকবীর বলা

২৩৪- রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের উপর আরোহণ করে কাবা ঘর তাওয়াফ করলেন; যখনই তিনি হাজরে আসওয়াদের কাছে পৌছতেনতখনই সেদিকে তার নিকটস্থ কিছু দিয়ে ইঙ্গিত করতেন এবং আল্লাহু আকবার’ বলতেন[281]
১১৭. রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদের মাঝে দো

235- «﴿ رَبَّنَآ اٰتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْاٰخِرَةِ حَسَـنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ  ٢٠١؁ ﴾».
(রব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল আ-খিরাতি হাসানাতাওঁ ওয়াকিনা ‘আযা-বান্না-র)।
২৩৫- “হে আমাদের রব্ব! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।[282]
১১৮. সাফা ও মারওয়ায় দাঁড়িয়ে যা পড়বে

২৩৬- যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফা পর্বতের নিকটবর্তী হলেনতখন এই আয়াত পড়লেনঃ
«﴿إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَآئِرِ اللَّهِ»
 (ইন্নাস্‌সাফা ওয়াল-মারওয়াতা মিন শাআ-ইরিল্লা-হ)।
নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্‌র নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
আর বলেন“আল্লাহ্‌ যেখান থেকে শুরু করেছেন আমিও সেখান থেকে শুরু করব।” অতঃপর তিনি সাফা পর্বতে আরোহণ করতে  লাগলেন যতক্ষণ না কাবা দেখলেন, অতঃপর কিবলামুখী হলেনতারপর আল্লাহ্‌র তাওহীদ (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ঘোষণা করেন এবং তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলেনঅতঃপর এই দোআ পড়েন,
«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ».
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহুলাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদুওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহুআনজাযা ওয়াদাহুওয়ানাসারা আবদাহুওয়া হাযামাল-আহযা-বা ওয়াহদাহু)।
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেইতাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেইতিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেনতিনি তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেনআর তিনি সকল বিরোধী দল-গোষ্ঠীকে একাই পরাস্ত করেছেন।” এভাবে তিনি এর মধ্যবর্তী স্থানেও দোআ করতে থাকেন। এই দোআ তিনবার পাঠ করেন।
হাদীসটিতে আরও আছে“তিনি সাফা পাহাড়ে যেমন করেছিলেন মারওয়াতেও অনুরূপ করেন।”[283]
১১৯. আরাফাতের দিনে দো

২৩৭- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন“শ্রেষ্ঠ দোআ হচ্ছে আরাফাত দিবসের দোআ। আর আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে:
237- « لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ».
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহুলাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদুওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেইতাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।[284]
১২০. মাশআরুল হারাম তথা মুযদালিফায় যিক্‌র

২৩৮- “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীতে আরোহণ করলেনঅবশেষে তিনি যখন মাশআরুল হারামে (মুযদালিফার একটি স্থানে) আসেনতখন তিনি কিবলামুখী হয়ে দোআ করেন এবং তাকবীর বলেনলা ইলাহা ইল্লাল্লাহু পাঠ করেন এবং তাঁর তাওহীদ বা একত্ব ঘোষণা করেন। তারপর তিনি (আকাশ) পূর্ণ ফর্সা না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন। অতঃপর সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বেই তিনি মুযদালিফা ত্যাগ করেন।[285]
১২১. জামরাসমূহে প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপকালে তাকবীর বলা

২৩৯- “[রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তিনটি জামরায় প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সময় আল্লাহু আকবার’ বলতেনঅতঃপর কিছুটা অগ্রসর হয়ে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াতেন এবং প্রথম জামরা ও দ্বিতীয় জামরায় দুই হাত উঁচু করে দোআ করতেন। কিন্তু জামরাতুল ‘আক্বাবায় প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সময় আল্লাহু আকবার’ বলতেন এবং সেখানে অবস্থান না করে ফিরে আসতেন।[286]
১২২. আশ্চর্যজনক ও আনন্দজনক বিষয়ের পর দো

240-(1) «سُبْحَانَ اللَّهِ!».
(সুবহা-নাল্লা-হ)
২৪০- “আল্লাহ পবিত্র-মহান।”[287]
241-(2) «اللَّهُ أَكْبَرُ!».
(আল্লা-হু আকবার)
২৪১“আল্লাহ সবচেয়ে বড়।”[288]
১২৩. আনন্দদায়ক কোনো সংবাদ আসলে যা করবে

২৪২“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোনো আনন্দদায়ক সংবাদ এলে মহান ও বরকতময় আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায়স্বরূপ সিজদায় পড়ে যেতেন।”[289]
১২৪. শরীরে কোনো ব্যথা অনুভব করলে যা করবে ও বলবে

২৪৩“আপনার দেহের যে স্থানে আপনি ব্যথা অনুভব করছেনসেখানে আপনার হাত রেখে তিনবার বলুন,
«بِسْمِ اللَّهِ»
(বিসমিল্লাহ)
“আল্লাহর নামে।” আর সাতবার বলুন,
 «أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ».
(আঊযু বিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু)।
এই যে ব্যথা আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছিতা থেকে আমি আল্লাহ্‌র এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।[290]
১২৫. কোনো কিছুর উপর নিজের চোখ লাগার ভয় থাকলে দো

২৪৪“যখন তোমাদের কেউ তার ভাইয়েরঅথবা নিজের কোনো বিষয়েঅথবা নিজের কোনো সম্পদে এমন কিছু দেখে যা তাকে চমৎকৃত করে[তখন সে যেন সেটার জন্য বরকতের দোআ করে;] কারণ, চোখ লাগার (বদ নজরের) বিষয়টি সত্য।”[291]
১২৬. ভীত অবস্থায় যা বলবে

245- «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ!».
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ !)
২৪৫- “আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব উপাস্য নেই!”[292]
১২৭. পশু যবেহ বা নাহর করার সময় যা বলবে

246- «بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ [اللَّهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ] اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي».
(বিসমিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু আকবার[আল্লা-হুম্মা মিনকা ওয়ালাকা]আল্লা-হুম্মা তাকাব্বাল মিন্নী)
২৪৬- “আল্লাহ্‌র নামেআর আল্লাহ সবচেয়ে বড়। [হে আল্লাহ! এটা আপনার নিকট থেকে প্রাপ্ত এবং আপনার জন্যই।] হে আল্লাহ! আপনি আমার তরফ থেকে তা কবুল করুন।[293]
১২৮. দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে যা বলবে

247- «أَعُوذُ بكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لاَ يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلاَ فَاجِرٌ: مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وَبَرَأَ وَذَرَأَ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فيهَا، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إِلاَّ طَارِقاً يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ».
(আঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্-তা-ম্মা-তিল্লাতী লা ইয়ুজাউইযুহুন্না বাররুন ওয়ালা ফা-জিরুম মিন শাররি মা খালাক্বাওয়া বারা’আওয়া যারা’আওয়ামিন শাররি মা ইয়ানযিলু মিনাস্ সামা-য়িওয়ামিন শাররি মা যারাআ ফিল আরদ্বিওয়ামিন শাররি মা ইয়াখরুজু মিনহাওয়ামিন শাররি ফিতানিল-লাইলি ওয়ান-নাহা-রিওয়ামিন শাররি কুল্লি ত্বা-রিকিন ইল্লা ত্বা-রিকান ইয়াত্বরুকু বিখাইরিনইয়া রহ্‌মানু)।
২৪৭- “আমি আল্লাহ্‌র ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎলোক বা অসৎলোক অতিক্রম করতে পারে না— আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে, যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে তার অনিষ্ট থেকে, দিনে-রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে, আর রাত্রিবেলা হঠাৎ করে আগত অনিষ্ট থেকে, তবে রাতে আগত যে বিষয় কল্যাণ নিয়ে আসে তা ব্যতীত; হে দয়াময়![294]
১২৯. ক্ষমাপ্রার্থনা ও তাওবা করা

২৪৮-(১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,  “আল্লাহ্‌র শপথনিশ্চয় আমি দৈনিক সত্তর -এর অধিকবার আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চাই এবং তাওবা করি।[295]
২৪৯-(২) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “হে মানুষতোমরা আল্লাহ্‌র কাছে তাওবা করনিশ্চয় আমি আল্লাহ্‌র কাছে দৈনিক একশত বার তাওবা করি।[296]
২৫০-(৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন“যে ব্যক্তি বলবে,
«أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ القَيّوُمُ وَأَتُوبُ إِلَيهِ».
(আস্তাগফিরুল্লা-হাল আযীমল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কায়্যূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি)।
‘আমি মহামহিম আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা চাইযিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি চিরস্থায়ী, সর্বসত্তার ধারক। আর আমি তাঁরই নিকট তওবা করছি।’ আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।[297]
২৫১-(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “রব একজন বান্দার সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয় রাতের শেষ প্রান্তেসুতরাং যদি তুমি যদি সে সময়ে আল্লাহ্‌র যিক্‌রকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে সক্ষম হওতবে তা-ই হও।[298]  
২৫২-(৫) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “একজন বান্দা তার রবের সবচেয়ে কাছে তখনই থাকেযখন সে সিজদায় যায়সুতরাং তোমরা তখন বেশি বেশি করে দোআ কর।[299]
২৫৩-(৬) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “নিশ্চয় আমার অন্তরেও ঢাকনা এসে পড়েআর আমি দৈনিক আল্লাহ্‌র কাছে একশত বার ক্ষমা প্রার্থনা করি।[300]
১৩০. তাসবীহতাহমীদতাহলীল ও তাকবীর -এর ফযীলত

২৫৪-(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
 «سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ».
(সুব্‌হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী)
‘আমি আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি’তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।”[301]
২৫৫-(২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেনযে ব্যক্তি নিম্নোক্ত বাণীটি ১০ বার বলবে,
 «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ».
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেইতাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” এটা তার জন্য এমন হবে যেন সে ইসমাঈলের সন্তানদের চারজনকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করল।[302] 
২৫৬-(৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা যবানে সহজমীযানের পাল্লায় ভারী এবং করুণাময় আল্লাহ্‌র নিকট অতি প্রিয়। আর তা হচ্ছে,
 «سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ».
(সুব্‌হানাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহীসুব্‌হানাল্লা-হিল আযীম)।
‘আল্লাহ্‌র প্রশংসাসহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি। মহান আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি’।[303]
২৫৭-(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “সুবহানাল্লাহআলহামদুলিল্লাহলা ইলাহা ইল্লাল্লাহআল্লাহু আকবার— সূর্য যা কিছুর উপর উদিত হয় তার চেয়ে এগুলো বলা আমার কাছে অধিক প্রিয়।[304]
২৫৮-(৫) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমাদের কেউ কি প্রতিদিন এক হাজার সওয়াব অর্জন করতে অপারগ?” তাঁর সাথীদের মধ্যে একজন প্রশ্ন করে বলল, আমাদের কেউ কী করে এক হাজার সওয়াব অর্জন করতে পারেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যে ব্যক্তি ১০০ বার সুবহানাল্লাহ’ বলবে, তার জন্য এক হাজার সওয়াব লেখা হবে অথবা তার এক হাজার পাপ মুছে ফেলা হবে।[305]
২৫৯-(৬) “যে ব্যক্তি বলবে,
 « سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ ».
(সুব্‌হানাল্লা-হিল ‘আযীম ওয়াবিহামদিহী)।
‘মহান আল্লাহর প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি’— তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হবে।”[306]
২৬০-(৭) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ওহে আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস! আমি কি জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব না?” আমি বললামনিশ্চয়ই হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন“তুমি বল,
 «لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ».
(লা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ)।
আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই।[307]
২৬১-(৮) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ্‌র নিকট সর্বাধিক প্রিয় বাক্য চারটিতার যে কোনটি দিয়েই শুরু করাতে তোমার কোনো ক্ষতি নেই। আর তা হলো,
 «سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ».
(সুবহানাল্লা-হি ওয়ালহাম্‌দু লিল্লা-হি ওয়ালা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার)।
আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।[308]
২৬২-(৯) এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলআমাকে একটি কালেমা শিক্ষা দিন যা আমি বলব। তখন রাসূল বললেন, “বল,
 «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيراً، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيراً، سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ العَالَمِينَ، لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ»
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহুআল্লা-হু আকবার কাবীরানওয়ালহামদুলিল্লা-হি কাসীরানসুবহা-নাল্লা-হি রাব্বিল আ-লামীনলা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হিল আযীযিল হাকীম।)
 “একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেইতাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়, অতীব বড়। আল্লাহ্‌র অনেক-অজস্র প্রশংসা। সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান। প্রবল পরাক্রমশীল ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই।” 
তখন বেদুঈন বললএগুলো তো আমার রবের জন্য; আমার জন্য কীতিনি বললেন: “বল,
«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَارْزُقْنِي».
 (আল্লা-হুম্মাগফির লীওয়ারহামনীওয়াহদিনী,  ওয়ারযুক্বনী)
হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুনআমার প্রতি দয়া করুনআমাকে হেদায়াত দিন এবং আমাকে রিযিক দিন।[309]
২৬৩-(১০) কোনো ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রথমে সালাত শিক্ষা দিতেন। অতঃপর এসব কথা দিয়ে দোআ করার আদেশ দিতেন,
 «اللَّهُمَّ اغْفِرِ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي».
(আল্লা-হুম্মাগফির লী ওয়ারহামনী ওয়াহদিনী ওয়া আ-ফিনী ওয়ারযুক্বনী)।
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুনআমাকে দয়া করুনআমাকে আপনি হেদায়াত দিনআমাকে নিরাপদ রাখুন এবং আমাকে রিযিক দান করুন।[310] 
২৬৪-(১১) সর্বশ্রেষ্ঠ দোআ হল,
«الْحَمْدُ لِلَّهِ»
(আলহামদু লিল্লাহ)
“সকল প্রশংসা আল্লাহরই”। আর সর্বোত্তম যিক্‌র হল,
«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ»
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ)
“আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই।[311]
২৬৫-(১২) “আল-বাকিয়াতুস সালিহাত’ তথা চিরস্থায়ী নেক আমল হচ্ছে,
«سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ».
(সুবহা-নাল্লা-হিওয়ালহামদুলিল্লা-হিওয়া লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুওয়াল্লা-হু আকবারওয়ালা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হি)
““আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই।[312] 
১৩১. কীভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাসবীহ পাঠ করতেন?

২৬৬- আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন“আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি আঙুল ভাঁজ করে তাসবীহ গুনতে”। অপর বর্ণনায় অতিরিক্ত এসেছে, “তাঁর ডান হাতে।”[313]
১৩২. বিবিধ কল্যাণ ও সামষ্টিক কিছু আদব

২৬৭- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যখন রাত্রি অন্ধকার হবে,” অথবা (বলেছেন) “তোমরা সন্ধায় উপনীত হবেতখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে আগলে রাখবে; কারণতখন শয়তানরা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তারপর যখন রাতের একটা সময় অতিবাহিত হবেতখন তাদের ছেড়ে দিবে। আর তোমরা দরজাগুলো বন্ধ করবে এবং আল্লাহ্‌র নাম নিবেকেননা শয়তান কোনো বন্ধ দরজা খুলে না। আর তোমরা তোমাদের পানপাত্রসমূহ বেঁধে রাখবে এবং আল্লাহ্‌র নাম নিবে। আর তোমরা তোমাদের থালা-বাসন ঢেকে রাখবে এবং আল্লাহ্‌র নাম নিবেযদিও সামান্য কিছু তার উপর রাখ। আর তোমরা তোমাদের ঘরের প্রদীপগুলো নিভিয়ে রাখবে।”[314]  
وَصَلَّى اللَّهُ وَسَلَّمَ وَبَارَكَ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِهِ وَأَصْحَابِهِ أَجْمَعِينَ.
আল্লাহ্ দরূদ ও সালাম এবং বরকত বর্ষণ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর বংশধর ও তাঁর সকল সাহাবীগণের উপর।






[1] আলহামদুলিল্লাহআমার উক্ত মূলগ্রন্থটি চার খণ্ডে ছাপা হয়েছে। এতে প্রতিটি হাদীসেরই বিস্তারিত তাখরীজ করা হয়েছে। গ্রন্থটির প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড জুড়ে রয়েছে হিসনুল মুসলিম।
[2] সূরা আল-বাকারাহ্‌: ১৫২
[3] সূরা আল-আহযাব: ৪১
[4] সূরা আল-আহযাব: ৩৫
[5] সূরা আল-আ‘রাফ: ২০৫।
[6] বুখারী, ফাতহুল বারীসহ ১১/২০৮, নং ৬৪০৭; মুসলিম, ১/৫৩৯, নং ৭৭৯, আর তার শব্দ হচ্ছে,
«مَثَلُ الْبَيْتِ الَّذِي يُذْكَرُ اللهُ فِيهِ، وَالْبَيْتِ الَّذِي لَا يُذْكَرُ اللهُ فِيهِ، مَثَلُ الْحَيِّ وَالْمَيِّتِ»
“যে ঘরে আল্লাহ্‌র যিক্‌র হয়, আর যে ঘরে আল্লাহ্‌র যিক্‌র হয় না— তার দৃষ্টান্ত যেন জীবিত আর মৃত।”
[7] তিরমিযী ৫/৪৫৯নং ৩৩৭৭; ইবন মাজাহ্‌ ২/১৬৪৫নং ৩৭৯০; আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্‌ ২/৩১৬; সহীহ তিরমিযী ৩/১৩৯।
[8] বুখারী ৮/১৭১নং ৭৪০৫; মুসলিম ৪/২০৬১, নং ২৬৭৫। তবে শব্দটি বুখারীর।  
[9] তিরমিযী ৫/৪৫৮নং ৩৩৭৫; ইবন মাজাহ্‌ ২/১২৪৬, নং ৩৭৯৩। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ বলেছেন। দেখুন, সহীহ আত-তিরমিযী, ৩/১৩৯; সহীহ ইবন মাজাহ্ ২/৩১৭।
[10] তিরমিযী ৫/১৭৫নং ২৯১০। শাইখ আলবানী একে সহীহ বলেছেন; দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/৯; সহীহ জামে সগীর-৫/৩৪০।
[11] মুসলিম, ১/৫৫৩; নং ৮০৩।
[12] আবূ দাউদ ৪/২৬৪, নং ৪৮৫৬ ও অন্যান্য। দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৫/৩৪২।
[13] তিরমিযী৫/৪৬১, নং ৩৩৮০। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৪০।
[14] আবূ দাউদ ৪/২৬৪নং ৪৮৫৫; আহমদ ২/৩৮৯ নং ১০৬৮০। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৫/১৭৬।
[15] বুখারী ফাতহুল বারী ১১/১১৩নং ৬৩১৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১।
[16] যে ব্যক্তি তা বলবে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। যদি সে  দো‘আ করে, তবে তার দো‘আ কবুল হবে। যদি সে উঠে ওযু করে নামায পড়ে, তবে তার নামায কবুল করা হবে। বুখারীফাতহুল বারী, ৩/৩৯, নং ১১৫৪ হাদীসের ভাষ্য ইবন মাজাহ এর অনুরূপ। দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্‌: ২/৩৩৫।
[17] তিরমিযী ৫/৪৭৩, নং ৩৪০১। দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৪৪।
[18] সূরা আলে ইমরান ১৯০-২০০; বুখারী, ফাতহুল বারীসহ ৮/৩৩৭, নং ৪৫৬৯; মুসলিম ১/৫৩০, নং ২৫৬।
[19] হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সুনান গ্রন্থকারদের সবাই সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৪০২৩; তিরমিযী, নং ৩৪৫৮; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩২৮৫। আর শাইখ আলবানী একে হাসান বলেছেন। দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, ৭/৪৭
[20] আবূ দাউদ, নং ৪০২০; তিরমিযী, নং ১৭৬৭; বাগভী, ১২/৪০; দেখুন, মুখতাসারুশ শামাইল লিল আলবানী, পৃ. ৪৭।
[21] সুনান আবি দাউদ ৪/৪১, হাদীস নং ৪০২০; দেখুন, সহীহ আবি দাউদ ২/৭৬০।
[22] সুনান ইবন মাজাহ ২/১১৭৮, নং ৩৫৫৮; বাগাওয়ী, ১২/৪১। দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ ২/২৭৫। 
[23] তিরমিযী ২/৫০৫, নং ৬০৬, ও অন্যান্য। আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, নং ৫০; সহীহুল জামে‘ ৩/২০৩
[24] বুখারী ১/৪৫নং ১৪২; মুসলিম ১/২৮৩, নং ৩৭৫। শুরুতে অতিরিক্ত ‘বিসমিল্লাহ্‌’ উদ্ধৃত করেছেন সা‘ঈদ ইবন মানসূর। দেখুন, ফাতহুল বারী, ১/২৪৪।
[25] হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সকল সুনান গ্রন্থকারই উদ্ধৃত করেছেন; তবে নাসাঈ তার ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াললাইলাহ’ গ্রন্থে (নং ৭৯) তা উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদনং ৩০; তিরমিযীনং ৭; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩০০। আর শাইখ আলবানী সহীহ সুনান আবি দাউদে ১/১৯ একে সহীহ বলেছেন।
[26] আবূ দাউদ, নং ১০১; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩৯৭; আহমাদ নং ৯৪১৮। আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল ১/১২২।
[27] মুসলিম ১/২০৯, নং ২৩৪।
[28] তিরিমিযী-১/৭৮, নং ৫৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/১৮।
[29] নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, পৃ. ১৭৩ আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, ১/১৩৫, ৩/৯৪।
[30] আবূ দাউদ ৪/৩২৫নং ৫০৯৫; তিরমিযী ৫/৪৯০, ৩৪২৬ আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫১।
[31] সুনান গ্রন্থকারগণ: আবূ দাউদ, নং ৫০৯৪; তিরমিযী, নং ৩৪২৭; নাসাঈ, নং ৫৫০১; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৮৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫২সহীহ ইবন মাজাহ্‌ ২/৩৩৬
[32] আবূ দাউদ ৪/৩২৫, ৫০৯৬। আর আল্লামা ইবন বায রহ. তার তুহফাতুল আখইয়ার গ্রন্থে পৃ. ২৮ এটার সনদকে হাসান বলেছেন। তাছাড়া সহীহ হাদীসে এসেছে, “যখন তোমাদের কেউ ঘরে প্রবেশ করে, আর প্রবেশের সময় ও খাবারের সময় আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন শয়তান (নিজ ব্যক্তিদের) বলে, তোমাদের কোনো বাসস্থান নেই, তোমাদের রাতের কোনো খাবার নেই।” মুসলিম, নং ২০১৮।
[33] এ শব্দগুলোর জন্য দেখুন, বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১১৬নং ৬৩১৬; মুসলিম ১/৫২৬, ৫২৯, ৫৩০, নং ৭৬৩।
[34] তিরমিযী ৫/৪৮৩, নং ৩৪১৯
[35] ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৬৯৫; পৃ. ২৫৮; আর আলবানী সেটার সনদকে সহীহ আদাবিল মুফরাদে সহীহ বলেছেন, নং ৫৩৬।
[36] হাফেয ইবন হাজার এটাকে তার ফতহুল বারীতে উল্লেখ করেছেন এবং ইবন আবী আসেমের ‘কিতাবুদ দো‘আ’ এর দিকে সম্পর্কিত করেছেন। দেখুন ফাতহুল বারী, ১১/১১৮। আরও বলেছেন, বিভিন্ন বর্ণনা থেকে মোট ২৫ (পঁচিশটি) বিষয় পাওয়া গেল।
[37] কারণ, আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “সুন্নাত হচ্ছে, যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন তোমার ডান পা দিয়ে ঢুকবে, আর যখন বের হবে, তখন বাম পা দিয়ে বের হবে” হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন, হাকিম ১/২১৮; এবং একে মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ বলেছেন, আর ইমাম যাহাবী সেটার সমর্থন করেছেন। আরও উদ্ধৃত করেছেন বাইহাকী, ২/৪৪২; আর শাইখ আলবানী তার সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা গ্রন্থে এটাকে হাসান বলেছেন, ৫/৬২৪; নং ২৪৭৮।
[38] আবূ দাউদ, নং ৪৬৬; আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪৫৯১।
[39] ইবনুসসুন্নি কর্তৃক উদ্ধৃত, নং ৮। আর শাইখ আলবানী তার আস-সামারুল মুস্তাতাব গ্রন্থে একে হাসান বলেছেন, পৃ. ৬০৭।
[40] আবূ দাউদ ১/১২৬; নং ৪৬৫; আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ১/৫২৮।
[41] মুসলিম ১/৪৯৪, নং ৭১৩; আর সুনান ইবন মাজায় ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীসে এসেছে,
«اللهم اغفر لي ذنوبي وافتح لي أبواب رحمتك»
“হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দ্বারসমূহ অবারিত করে দিন”। আর শাইখ আলবানী অন্যান্য শাহেদ বা সম অর্থের বর্ণনার কারণে একে সহীহ বলেছেন দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/১২৮-১২৯।
[42] আল-হাকিম, ১/২১৮; বাইহাকী, ২/৪৪২, আর শাইখ আলবানী তার সিলসিলাতুস সহীহায় একে হাসান হাদীস বলেছেন, ৫/৬২৪, নং ২৪৭৮। আর সেটার তাখরীজ পূর্বে গত হয়েছে।
[43] মসজিদে প্রবেশের দো‘আয় পূর্বে বর্ণিত হাদীসের রেওয়ায়েতসমূহের তাখরীজ দেখুন, (২০ নং) আর “হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন” এ বাড়তি অংশের তাখরীজ দেখুন, ইবন মাজাহ্‌ ১/১২৯
[44] বুখারী, ১/১৫২, নং ৬১১, ৬১৩; মুসলিম, ১/২৮৮, নং ৩৮৩।
[45] মুসলিম ১/২৯০নং ৩৮৬।
[46] ইবন খুযাইমা, ১/২২০।
[47] মুসলিম ১/২৮৮, নং ৩৮৪
[48] বুখারী ১/২৫২, নং ৬১৪; আর দুই ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ উদ্ধৃত করেছেন, বায়হাকী ১/৪১০ আর আল্লামা আবদুল আযীয ইবন বায রাহেমাহুল্লাহ তার ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ গ্রন্থে এটার সনদকে হাসান বলেছেন, পৃ. ৩৮। 
[49] তিরমিযীনং ৩৫৯৪; আবূ দাউদ, নং ৫২৫; আহমাদ, নং ১২২০০; আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, ১/২৬২
[50] বুখারী ১/১৮১নং ৭৪৪; মুসলিম ১/৪১৯, নং ৫৯৮
[51] মুসলিম, নং ৩৯৯; আর সুনান গ্রন্থকার চারজন। আবু দাউদ, নং ৭৭৫; তিরমিযী, নং ২৪৩; ইবন মাজাহ্‌, নং ৮০৬; নাসাঈ, নং ৮৯৯। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৭৭; সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/১৩৫। 
[52] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭১।
[53] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭০।
[54] আবূ দাউদ ১/২০৩নং ৭৬৪; ইবন মাজাহ্‌ ১/২৬৫৮০৭; আহমাদআহমাদ ৪/৮৫, নং ১৬৭৩৯। শাইখ শু‘আইব আল-আরনাউত তার মুসনাদের তাহকীকে এ হাদীসের সনদকে হাসান লি-গাইরিহি বলেছেন। আর আব্দুল কাদের আরনাউত ইবন তাইমিয়্যার ‘আল-কালেমুত তাইয়্যেব’ গ্রন্থের নং ৭৮, এর তাহকীক বলেন, এটি তার শাওয়াহেদ বা সমার্থবোধক হাদীসের দ্বারা সহীহ লি-গাইরিহী প্রমাণিত হয়। আর আলবানী তার সহীহুল কালেমিত তাইয়্যেব এর ৬২ নং এ হাদিসটি উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া ইমাম মুসলিম ইবন উমর থেকে অনুরূপ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন, তবে সেখানে একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। ১/৪২০, নং ৬০১।
[55] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আটি রাতে উঠে তাহাজ্জুদের সালাত পড়ার সময় বলতেন।
[56] বুখারী(ফাতহুল বারীসহ) ৩/৩১১/১১৬১৩/৩৭১, ৪২৩৪৬৫, নং ১১২০, ৬৩১৭, ৭৩৮৫, ৭৪৪২, ৭৪৯৯; ও মুসলিম সংক্ষিপ্তাকারে ১/৫৩২, নং ৭৬৯।
[57] সুনানের গ্রন্থাকারগণ ও আহমাদ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদনং ৮৭০; তিরমিযী, নং ২৬২; নাসাঈ, নং ১০০৭; ইবন মাজাহ্‌, নং ৮৯৭; আহমাদ, নং ৩৫১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৮৩। 
[58] বুখারী ১/৯৯নং ৭৯৪; মুসলিম ১/৩৫০, নং ৪৮৪।
[59] মুসলিম ১/৩৫৩নং ৪৭৪; আবূ দাউদ ১/২৩০, নং ৮৭২।
[60] মুসলিম ১/৫৩৪নং ৭৭১; তাছাড়া চার সুনান গ্রন্থকারগণের মধ্যে ইবন মাজাহ ব্যতীত সবাই তা উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদনং ৭৬০, ৭৬১; তিরমিযী, নং ৩৪২১; নাসাঈ, নং ১০৪৯; তবে দুই ব্রাকেটের অংশ ইবন খুযাইমার শব্দ, নং ৬০৭; ইবন হিব্বান, নং ১৯০১।
[61] আবূ দাউদ ১/২৩০নং ৮৭৩; নাসাঈ, নং ১১৩১; আহমাদ, নং ১৩৯৮০। আর তার সনদ হাসান।
[62] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/২৮২, নং ৭৯৬।
[63] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/২৮৪, নং ৭৯৬।
[64] মুসলিম, ১/৩৪৬; নং ৪৭৭।
[65] হাদীসটি সুনানগ্রন্থকারগণ ও ইমাম আহমাদ সংকলন করেছেন। আবূ দাউদহাদীস নং ৮৭০; তিরমিযী, হাদীস নং ২৬২; নাসাঈহাদীস নং ১০০৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৮৯৭; আহমাদ, হাদীস নং ৩৫১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৮৩।
[66] বুখারী, নং ৭৯৪; মুসলিম, নং ৪৮৪; পূর্বে ৩৪ নং তা গত হয়েছে।
[67] মুসলিম ১/৩৫৩নং ৪৮৭; আবূ দাউদ, নং ৮৭২। পূর্বে ৩৫ নং এ গত হয়েছে।
[68] মুসলিম ১/৫৩৪নং ৭৭১ ও অন্যান্যগণ।
[69] আবু দাঊদ ১/২৩০নং ৮৭৩; নাসাঈনং ১১৩১; আহমাদ, নং ২৩৯৮০। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ আবু দাউদে ১/১৬৬ সহীহ বলেছেন। যার তাখরীজ ৩৭ নং এ চলে গেছে।
[70] মুসলিম ১/২৩০, নং ৪৮৩
[71] মুসলিম ১/৩৫২, নং ৪৮৬।
[72] আবূ দাউদ ১/২৩১নং ৮৭৪; ইবন মাজাহ্‌ নং ৮৯৭। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/১৪৮
[73] হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সুনান গ্রন্থগারগণ সবাই সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ১/২৩১, নং ৮৫০; তিরমিযীনং ২৮৪, ২৮৫; ইবন মাজাহ, নং ৮৯৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৯০; সহীহ ইবন মাজাহ ১/১৪৮।
[74] তিরমিযী, ২/৪৭৪, নং ৩৪২৫; আহমাদ ৬/৩০; নং ২৪০২২; হাকিম ও সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী সেটা সমর্থন করেছেন, ১/২২০; আর বাড়তি অংশটুকু তাঁরই। আয়াতটুকু সূরা আল-মুমিনূন এর ১৪ নং আয়াত।
[75] তিরমিযী ২/৪৭৩, নং ৫৭৯; হাকেম ও সহীহ বলেছেন, আর ইমাম যাহাবী সমর্থন করেছেন, ১/২১৯।
[76] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১৩নং ৮৩১; মুসলিম ১/৩০১, নং ৪০২।
[77] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৪০৮, নং ৩৩৭০; মুসলিম, নং ৪০৬।
[78] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৪০৭নং ৩৩৬৯; মুসলিম ১/৩০৬, নং ৪০৭। আর শব্দটি মুসলিমের
[79] বুখারী ২/১০২নং ১৩৭৭; মুসলিম ১/৪১২, নং ৫৮৮। আর শব্দ মুসলিমের
[80] বুখারী ১/২০২নং ৮৩২; মুসলিম ১/৪১২, নং ৫৮৭।
[81] বুখারী ৮/১৬৮নং ৮৩৪; মুসলিম ৪/২০৭৮, নং ২৭০৫।
[82] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭১।
[83] আবূ দাউদ ২/৮৬নং ১৫২২; নাসাঈ ৩/৫৩, নং ২৩০২। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাঊদ ১/২৮৪ এটাকে সহীহ বলেছেন।
[84] বুখারি, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৩৫, নং ২৮২২ ও নং ৬৩৯০।
[85] আবূ দাউদনং ৭৯২; ইবন মাজাহ্‌ নং ৯১০। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ২/৩২৮
[86] নাসাঈ ৩/৫৪৫৫নং ১৩০৪; আহমাদ ৪/৩৬৪, নং ২১৬৬৬। আর শাইখ আলবানী সহীহুন নাসাঈ ১/২৮১ তে একে সহীহ বলেছেন।
[87] নাসাঈ ৩/৫২নং ১৩০০; শব্দ তাঁরই, আহমাদ ৪/৩৩৮, নং ১৮৯৭। আর আলবানী সহীহুন নাসাঈ ১/২৮০ তে একে সহীহ বলেছেন।
[88] হাদীসটি সুনানগ্রন্থকারগণ সকলে সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, নং ১৪৯৫; তিরমিযী, নং ৩৫৪৪; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৫৮; নাসাঈ, নং ১২৯৯। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ২/৩২৯।
[89] আবূ দাউদ ২/৬২নং ১৪৯৩; তিরমিযী ৫/৫১৫, নং ৩৪৭৫; ইবন মাজাহ, ২/১২৬৭, নং ৩৮৫৭; নাসাঈ, নং ১৩০০, আর শব্দ তাঁরই; আহমাদ নং ১৮৯৭৪। আর শাইখ আলবানী সহীহ নাসাঈ ১/২৮০ তে একে সহীহ বলেছেন। তাছাড়া আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ ২/৩২৯; সহীহ আত-তিরমিযী, ৩/১৬৩।
[90] মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯১।
[91] বুখারী ১/২২৫নং ৮৪৪; মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯৩। আর দু ব্রাকেটের মাঝের অংশ বুখারীতে বর্ধিত এসেছে, নং ৬৪৭৩।
[92] মুসলিম ১/৪১৫, নং ৫৯৪
[93] মুসলিম, ১/৪১৮, নং ৫৯৭; আর তাতে রয়েছে, যে ব্যক্তি প্রতি নামাযের পরে সেটা বলবে, তার পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির মত হয়।
[94] আবু দাঊদ ২/৮৬নং ১৫২৩; তিরমিযী, নং ২৯০৩; নাসাঈ ৩/৬৮, নং ১৩৩৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ২/৮। আর উপর্যুক্ত তিনটি সূরাকে ‘আল-মু‘আওয়াযাত’ বলা হয়। দেখুন, ফাতহুল বারী, ৯/৬২।
[95] হাদীসে এসেছে, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পরে এটি পড়বে, তাকে মৃত্যু ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশে আর অন্য কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।” নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, নং ১০০; ইবনুস সুন্নী, নং ১২১। আর শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহুল জামে‘ ৫/৩৩৯ তে এবং সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা ২/৬৯৭, নং ৯৭২ তে সহীহ বলেছেন। আর আয়াতটি দেখুন, সূরা আল-বাকারাহ্‌-২৫৫
[96] তিরমিযী ৫/৫১৫নং ৩৪৭৪; আহমাদ ৪/২২৭, নং ১৭৯৯০। হাদীসটির তাখরীজের জন্য আরও দেখুন, যাদুল মা‘আদ ১/৩০০।
[97] ইবন মাজাহ্‌নং ৯২৫; নাসাঈ, তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ গ্রন্থে, হাদীস নং ১০২ আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/১৫২; মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১১১। তাছাড়া অচিরেই ৯৫ নং হাদীসেও আসবে।
[98] বুখারী, ৭/১৬২, নং ১১৬২।
[99] সূরা আলে-ইমরান: ১৫৯।
[100] আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি হাদীসটিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, “কোনো গোষ্ঠী যারা যিক্‌র করছে, তাদের সাথে ফজরের সালাতের পরে সূর্য উঠা পর্যন্ত সময় বসা আমার কাছে ইসমাঈলের বংশধরদের চার জন্য দাস মুক্তির থেকেও বেশি প্রিয়। অনুরূপভাবে  কোনো গোষ্ঠী যারা যিক্‌র করছে, তাদের সাথে আসরের সালাতের পরে সূর্য ডুবা পর্যন্ত সময় বসা আমার কাছে চার জন্য দাস মুক্তির থেকেও বেশি প্রিয়।” আবূ দাউদ, নং ৩৬৬৭। আর শাইখ আলবানী, সহীহ আবি দাউদ ২/৬৯৮ তে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।
[101] সূরা আল-বাকারাহ্‌, ২৫৫ যে ব্যক্তি সকালে তা বলবে সে বিকাল হওয়া পর্যন্ত জিন শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে, আর যে ব্যক্তি বিকালে তা বলবে সে সকাল হওয়া পর্যন্ত জিন শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে। হাদীসটি হাকিম সংকলন করেছেন, ১/৫৬২। আর শাইখ আলবানী একে সহীহুত তারগীব ওয়াত-তারহীবে সহীহ বলেছেন ১/২৭৩। আর তিনি একে নাসাঈ, তাবারানীর দিকে সম্পর্কযুক্ত করেছেন এবং বলেছেন, তাবারানীর সনদ ‘জাইয়্যেদ’ বা ভালো
[102] হাদীসে এসেছে, রাসূল বললেন, যে ব্যক্তি সকাল ও বিকালে ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস)‘সূরা ফালাক’ ও ‘সূরা নাস’ তিনবার করে বলবেএটাই আপনার সবকিছুর জন্য যথেষ্ট হবে আবূ দাউদ ৪/৩২২নং ৫০৮২; তিরমিযী ৫/৫৬৭, নং ৩৫৭৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮২।
[103] বিকালে বলবে,
 أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ
(আমসাইনা ওয়া আমসাল মুলকু লিল্লাহ) অর্থাৎ “আমরা আল্লাহর জন্য বিকালে উপনীত হয়েছি, আর সকল রাজত্বও তাঁরই অধীনে বিকালে উপনীত হয়েছে।”
[104] আর যখন বিকাল হবে, তখন বলবে,
رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِيْ هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيْ هَذِهِ اللَّيْلَةِ، وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا.
(রাব্বি আসআলুকা খাইরা মা ফী হাযিহিল্লাইলাতি ও খাইরা মা বা‘দাহা, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা ফী হাযিহিল লাইলাতি, ওয়া শাররি মা বা‘দাহা)
“হে রব, আমি আপনার কাছে এ রাতের মাঝে ও এর পরে যে কল্যাণ রয়েছে, তা প্রার্থনা করি। আর এ রাত ও এর পরে যে অকল্যাণ রয়েছে, তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।”
[105] মুসলিম, ৪/২০৮৮, নং ২৭২৩।
[106] আর বিকাল হলে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন:
اَللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوْتُ، وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ.
(আল্লা-হুম্মা বিকা আমসাইনা ওয়াবিকা আসবাহ্‌না ওয়াবিকা নাহ্‌ইয়া ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকাল মাসীর।)
হে আল্লাহ! আমরা আপনার জন্য বিকালে উপনীত হয়েছি এবং আপনারই জন্য আমরা সকালে উপনীত হয়েছি। আর আপনার দ্বারা আমরা জীবিত থাকি, আপনার দ্বারাই আমরা মারা যাব; আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তিত হব।’’
[107] তিরমিযী, ৫/৪৬৬, নং ৩৩৯১। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৪২।
[108] অর্থাৎ আমি স্বীকার করছি ও মেনে নিচ্ছি।
[109] যে ব্যক্তি সকালবেলা অথবা সন্ধ্যাবেলা এটি (সায়্যিদুল ইসতিগফার) অর্থ বুঝে দৃঢ় বিশ্বাসসহকারে পড়বেসে ঐ দিন রাতে বা দিনে মারা গেলে অবশ্যই জান্নাতে যাবে।” বুখারী, ৭/১৫০, নং ৬৩০৬।
[110] আর যখন বিকাল হবে, তখন বলবে, اللهم إِنّيْ أَمْسَيْتُ (আল্লা-হুম্মা ইন্নি আমসাইতু) অর্থাৎ, “হে আল্লাহ আমি বিকালে উপনীত হয়েছি”।
[111] যে ব্যক্তি সকালে অথবা বিকালে তা চারবার বলবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করবেন। আবূ দাউদ ৪/৩১৭নং ৫০৭১; বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ১২০১; নাসাঈ, ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ৯; ইবনুস সুন্নী, নং ৭০। সম্মানিত শাইখ আবদুল আযীয ইবন বায রাহেমাহুল্লাহ তাঁর তুহফাতুল আখইয়ার গ্রন্থের পৃ. ২৩ এ নাসাঈ ও আবূ দাউদের সনদকে হাসান বলেছেন।
[112] আর বিকাল হলে বলবে,اللَّهُمَّ مَا أَمسَى بِي  (আল্লা-হুম্মা মা আমসা বী মিন নি‘মাতিন...) অর্থাৎ হে আল্লাহ! যে নেয়ামত আমার সাথে বিকালে উপনীত হয়েছে...।”
[113] যে ব্যক্তি সকালবেলা উপরোক্ত দোআ পাঠ করলো সে যেনো সেই দিনের শুকরিয়া আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি বিকালবেলা এ দোআ পাঠ করলো সে যেনো রাতের শুকরিয়া আদায় করলো’’। হাদীসটি সংকলন করেছেন, আবূ দাউদ ৪/৩১৮, নং ৫০৭৫; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ৭; ইবনুস সুন্নী, নং ৪১; ইবন হিব্বান, (মাওয়ারিদ) নং ২৩৬১। আর শাইখ ইবন বায তাঁর তুহফাতুল আখইয়ার পৃ. ২৪ এ এর সনদকে হাসান বলেছেন।
[114] আবূ দাউদ ৪/৩২৪নং ৫০৯২; আহমাদ ৫/৪২, নং ২০৪৩০; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, নং ২২; ইবনুস সুন্নী, নং ৬৯; বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৭০১। আর শাইখ আল্লামা ইবন বায রাহিমাহুল্লাহ ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ গ্রন্থের পৃ. ২৬ এ এর সনদকে হাসান বলেছেন।
[115] যে ব্যক্তি দোআটি সকালবেলা সাতবার এবং বিকালবেলা সাতবার বলবে তার দুনিয়া ও আখেরাতের সকল চিন্তাভাবনার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট হবেন। ইবনুস সুন্নী, নং ৭১, মারফূ‘ সনদে; আবূ দাউদ ৪/৩২১; মাওকূফ সনদে, নং ৫০৮১। আর শাইখ শু‘আইব ও আব্দুল কাদের আরনাঊত এর সনদকে সহীহ বলেছেন। দেখুন, যাদুল মা‘আদ ২/৩৭৬।
[116] আবূ দাউদনং ৫০৭৪; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩৮৭১। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্‌ ২/৩৩২।
[117] তিরমিযীনং ৩৩৯২; আবূ দাউদ, নং ৫০৬৭। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৪২।
[118] যে ব্যক্তি সকালে তিনবার এবং বিকালে তিনবার এটি বলবে, কোনো কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না। আবূ দাউদ৪/৩২৩, নং ৫০৮৮; তিরমিযী, ৫/৪৬৫, নং ৩৩৮৮; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৬৯; আহমাদ, নং ৪৪৬। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ২/৩৩২। আর আল্লামা ইবন বায রাহিমাহুল্লাহ তাঁর ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ গ্রন্থের ৩৯ পৃষ্ঠায় এটার সনদকে হাসান বলেছেন।
[119] যে ব্যক্তি এ দো‘আ সকাল ও বিকাল তিনবার করে বলবে, আল্লাহর কাছে তার অধিকার হয়ে যায় তাকে কিয়ামাতের দিন সন্তুষ্ট করা। আহমাদ ৪/৩৩৭; নং ১৮৯৬৭; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ, নং ৪; ইবনুস সুন্নী, নং ৬৮; আবু দাউদ, ৪/৩১৮, নং ১৫৩১; তিরমিযী  ৫/৪৬৫নং ৩৩৮৯। আর ইবন বায রাহিমাহুল্লাহ ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ এর ৩৯ পৃষ্ঠায় একে হাসান বলেছেন।
[120] হাকেম ১/৫৪৫তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, আর যাহাবী তা সমর্থন করেছেন। আরও দেখুন, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব ১/২৭৩।
[121] আর যখন বিকাল হবে, তখন বলবে,
أمسينا وأمسى الملك للَّه ربّ العالمين
(আমসাইনা ওয়া আমসাল মুলকু লিল্লাহি রাব্বিল ‘আলামীন)
আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও বিকালে উপনীত হয়েছে সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্‌র জন্য।”
[122] আর যখন বিকাল হবে, তখন বলবে,
اللَّهم إني أسألك خير هذه الليلةفتحها، ونصرها، ونورها، وبركتها، وهداها، وأعوذ بك من شر ما فيها، وشر ما بعدها.
(আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরা হাযিহিল লাইলাতি: ফাতহাহা ওয়া নাসরাহা, ওয়া নূরাহা, ওয়া বারাকাতাহা, ওয়া হুদাহা, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা ফী-হা, ওয়া শাররি মা বা‘দাহা)
“হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কামনা করি এই রাতের কল্যাণ: বিজয়সাহায্যনূররবকত ও হেদায়াত। আর আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই এ রাতের এবং এ রাতের পরের অকল্যাণ থেকে।
[123] আবূ দাউদ ৪/৩২২, নং ৫০৮৪; আর শু‘আইব ও আবদুল কাদের আরনাঊত যাদুল মাআদের সম্পাদনায় ২/৩৭৩ এর সনদকে হাসান বলেছেন।
[124] যখন বিকাল হবে, তখন বলবে,
أمسينا على فطرة الإسلام.....
(আমসাইনা ‘আলা ফিতরাতিল ইসলাম...)
আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি ইসলামের ফিত্বরাতের উপর”।
[125] আহমাদ ৩/৪০৬৪০৭নং ১৫৩৬০ ও নং ১৫৫৬৩; ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ, নং ৩৪। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘উ ৪/২০৯।
[126] যে ব্যক্তি তা সকালে একশত বার ও বিকালে একশত বার বলবে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশি উৎকৃষ্ট কিছু কেউ নিয়ে আসতে পারবে না, তবে সে ব্যক্তি যে তার মত বলবে, বা তার চেয়ে বেশি আমল করবে। মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯২।
[127] নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ, নং ২৪। আরও দেখুন, সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব, ১/২৭২; ইবন বায, তুহফাতুল আখইয়ার পৃ. ৪৪। এর ফযীলতের ব্যাপারে আরও দেখন, পৃ.     হাদীস নং ২৫৫।
[128] আবূ দাউদ, নং ৫০৭৭; ইবন মাজাহ, নং ৩৭৯৮; আহমাদ নং ৮৭১৯। আরও দেখুন, সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব, ১/২৭০; সহীহ আবি দাউদ ৩/৯৫৭; সহীহ ইবন মাজাহ ২/৩৩১ ও যাদুল মা‘আদ ২/৩৭৭।
[129] যে ব্যক্তি দিনে একশত বার বলবে, সেটা তার জন্য দশটি দাসমুক্তির অনুরূপ হবে, তার জন্য একশত সাওয়াব লিখা হবে, সে দিন বিকাল পর্যন্ত সেটা তার জন্য শয়তান থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে বিবেচিত হবে; আর কেউ তার মত কিছু নিয়ে আসতে পারবে না, হাঁ, সে ব্যক্তি ব্যতীত যে তার চেয়েও বেশি আমল করবে। বুখারী, ৪/৯৫, নং ৩২৯৩; মুসলিম, ৪/২০৭১, নং ২৬৯১।
[130] মুসলিম ৪/২০৯০, নং ২৭২৬।
[131] হাদীসটি সংকলন করেছেন, ইবনুস সুন্নী, নং ৫৪; ইবন মাজাহ, নং ৯২৫। আর আব্দুল কাদের ও শু‘আইব আল-আরনাঊত যাদুল মা‘আদের সম্পাদনায় ২/৩৭৫; এর সনদকে হাসান বলেছেন। আর পূর্ব ৭৩ নং এ ও তা গত হয়েছে।
[132] বুখারী (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১০১নং ৬৩০৭; মুসলিম ৪/২০৭৫, নং ২৭০২।
[133] যে কেউ বিকাল বেলা এ দো‘আটি তিনবার বলবে, সে রাতে কোনো বিষধর প্রাণী তার ক্ষতি করতে পারবে না। আহমাদ ২/২৯০নং ৭৮৯৮; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ৫৯০; ইবনুস সুন্নী, নং ৬৮; আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৮৭; সহীহ ইবন মাজাহ ২/২৬৬; তুহফাতুল আখইয়ার লি ইবন বায, পৃ. ৪৫।
[134] ‘যে কেউ সকাল বেলা আমার উপর দশবার দরুদ পাঠ করবে এবং বিকাল বেলা দশবার দরুদ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ দ্বারা সৌভাগ্যবান হবে।’ তাবরানী হাদীসটি দু’ সনদে সংকলন করেন, যার একটি উত্তম। দেখুন, মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ১০/১২০; সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব ১/২৭৩।
[135] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৯/৬২নং ৫০১৭; মুসলিম ৪/১৭২৩, নং ২১৯২।
[136] সূরা আল-বাকারাহ্‌-২৫৫; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘যে কেউ যখন রাতে আপন বিছানায় যাবে এবং ‘আয়াতুল কুরসী’ পড়বেতখন সে রাতের পুরো সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য হেফাযতকারী থাকবে; আর সকাল হওয়া পর্যন্ত শয়তান তার নিকটেও আসতে পারবে না’। বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ)৪/৪৮৭, নং ২৩১১।
[137] সূরা আল-বাকারা ২৮৫-২৮৬। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি রাতের বেলা সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পড়বেতা তার জন্য যথেষ্ট হবে। বুখারী, ফাতহুল বারীসহ৯/৯৪৪০০৮; মুসলিম ১/৫৫৪, নং ৮০৭।
[138] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমাদের কোনো ব্যক্তি তার বিছানা ত্যাগ করলোআবার ঘুমাতে ফিরে এলো সে যেনো  তার চাদর বা লুঙ্গির আঁচল দিয়ে তিনবার বিছানাটি ঝেড়ে নেয়। আর যেন সে বিসমিল্লাহ পড়ে, (আল্লাহর নাম নেয়); কেননা সে জানে না যেতার চলে যাবার পর এতে কী পতিত হয়েছে। তারপর সে যখন শোয়, তখন যেনো এ দো‘আটি বলে। (হাদীসে বর্ণিত صنفة إزاره শব্দের অর্থ হচ্ছে, চাদরের পার্শ্বদিকস্থ অংশ। এর জন্য দেখুন, নিহায়া ফী গারিবিল হাদীস ওয়াল আসার’ ‘صنف’।)
[139] বুখারী, ফাতহুল বারীসহ ১১/১২৬, নং ৬৩২০; মুসলিম ৪/২০৮৪, নং ২৭১৪।
[140] মুসলিম ৪/২০৮৩নং ২৭১২; আহমাদ, তাঁর শব্দে ২/৭৯, নং ৫৫০২।
[141] “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেনতারপর এ দো‘আটি বলতেন।”
[142] আবূ দাউদ, শব্দ তাঁরই, ৪/৩১১নং ৫০৪৫; তিরমিযী, নং ৩৩৯৮; আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৪৩; সহীহ আবী দাঊদ, ৩/২৪০।
[143] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১১৩, নং ৬৩২৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১।
[144] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী এবং ফতেমাকে বলেন:  আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবেযখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবেতখন তোমরা দুজনে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ৩৩ বার আলহামদু লিল্লাহএবং ৩৪ বার বলবে, যা তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে’’। বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৭/৭১নং ৩৭০৫; মুসলিম ৪/২০৯১, নং ২৭২৬।
[145] মুসলিম ৪/২০৮৪, নং ২৭১৩।
[146] মুসলিম ৪/২০৮৫, নং ২৭১৫।
[147] আবূ দাউদ, ৪/৩১৭, নং ৫০৬৭; তিরমিযী, নং ৩৬২৯; আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৪২।
[148] রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা সাজদা এবং সূরা মুলক না পড়ে ঘুমাতেন না। তিরমিযী, নং ৩৪০৪; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ৭০৭। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪/২৫৫।
[149] রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তুমি বিছানা গ্রহণ করবে, তখন নামাযের মত ওযু করবে, তারপর তোমার ডান পার্শ্বদেশে শুয়ে পড়বে। তারপর বল, ..... আল-হাদীস।
[150] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকে এ দো‘আটি শিক্ষা দিলেন, তাকে বলেন: যদি তুমি ঐ রাতে মারা যাও তবে ‘ফিতরাত’ তথা দীন ইসলামের উপর মারা গেলে। বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১১৩নং ৬৩১৩; মুসলিম ৪/২০৮১, নং ২৭১০।
[151] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে যখন বিছানায় পার্শ্ব পরিবর্তন করতেন তখন তা বলতেন। হাদীসটি  সংকলন করেছেন, হাকেম এবং তিনি তা সহীহ বলেছেন, আর ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন, ১/৫৪০; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলা, নং ২০২; ইবনুস সুন্নী, নং ৭৫৭। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪/২১৩।
[152] আবূ দাঊদ ৪/১২নং ৩৮৯৩; তিরমিযী, নং ৩৫২৮। আরও দেখুন,  সহীহুত তিরমিযী ৩/১৭১।
[153] মুসলিম, ৪/১৭৭২, নং ২২৬১।
[154] মুসলিম, ৪/১৭৭২, ১৭৭৩, নং ২২৬১, ২২৬২।
[155] মুসলিম, ৪/১৭৭২, নং ২২৬১ ও নং ২২৬৩।
[156] মুসলিম, ৪/১৭৭৩, নং ২২৬১।
[157] মুসলিম ৪/১৭৭৩, নং ২২৬৩।
[158] সুনান গ্রন্থকারগণ, আহমাদ, দারামী ও বাইহাকী এ হাদীসটি সংকলন করেছেন। আবূ দাউদনং ১৪২৫; তিরমিযী, নং ৪৬৪; নাসাঈ, নং ১৭৪৪; ইবন মাজাহ, নং ১১৭৮; আহমাদনং ১৭১৮; দারামী, নং ১৫৯২; হাকিম, ৩/১৭২; বাইহাকী, ২/২০৯। আর দু’ ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ বাইহাকীর। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ১/১৪৪সহীহ ইবন মাজাহ্‌, ১/১৯৪; ইরওয়াউল গালীল, লিল আলবানী, ২/১৭২।
[159]  সুনান গ্রন্থকারগণ ও আহমাদ হাদীসটি সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, নং ১৪২৭; তিরমিযী, নং ৩৫৬৬; নাসাঈ, নং ১৭৪৬; ইবন মাজাহ্‌, নং ১১৭৯; আহমাদ, নং ৭৫১। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮০; সহীহ ইবন মাজাহ্‌, ১/১৯৪, আল-ইরওয়া, ২/১৭৫।
[160] হাদীসটি বায়হাকী তাঁর ‘আস-সুনানুল কবরা’ গ্রন্থে সংকলন করেছেন এবং তার সনদ বিশুদ্ধ বলেছেন, ২/২১১। আর শাইখ আলবানী ইরওয়াউল গালীল এর ২/১৭০ এ বলেন, ‘এর সনদ বিশুদ্ধ। আর তা উমর রা. থেকে মওকূফ হাদীসে বর্ণিত।
[161] নাসাঈ, ৩/২৪৪, নং ১৭৩৪; দারা কুতনী, ২/৩১ ও অন্যান্যগণ। আর দুই ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ দারা কুতনীতে ২/৩১, নং ২ বেশি বর্ণিত। যার সনদ বিশুদ্ধ। আরও দেখুন, শু‘আইব আল-আরনাঊত ও আবদুল কাদের আল-আরনাঊত এর ‘যাদুল মা‘আদ’ গ্রন্থের সম্পাদনা ১/৩৩৭।
[162] আহমাদ ১/৩৯১, নং ৩৭১২। আর শাইখ আলবানী তাঁর সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহাহ গ্রন্থে ১/৩৩৭ একে সহীহ বলেছেন।
[163] বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩; সেখানে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আটি বেশি বেশি করতেন। আরও দেখুন, বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১৭৩; আরও দেখুন যা   পৃষ্ঠায় ১৩৭ নং এ বর্ণিত হবে।
[164] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৭/১৫৪নং ৬৩৪৫; মুসলিম ৪/২০৯২, নং ২৭৩০।
[165] আবূ দাউদ৪/৩২৪, নং ৫০৯০আহমাদ ৫/৪২, নং ২০৪৩০। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদ গ্রন্থে ৩/৯৫৯ এটাকে হাসান হাদীস বলেছেন।
[166] তিরমিযী ৫/৫২৯নং ৩৫০৫; হাকেম এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন, যাহাবী সেটা সমর্থন করেছেন, ১/৫০৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৬৮।
[167] হাদীসটি সংকলন করেছেন, আবূদাউদ, ২/৮৭, নং ১৫২৫; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩৮৮২। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্‌, ২/৩৩৫।
[168] আবু দাঊদ ২/৮৯নং ১৫৩৭; আর হাকেম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবী একে সমর্থন করেছেন ২/১৪২।
[169] আবূ দাউদ ৩/৪২, নং ২৬৩২; তিরমিযী ৫/৫৭২, নং ৩৫৮৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮৩।
[170] বুখারী ৫/১৭২, নং ৪৫৬৩।
[171] বুখারী, আল-আদাব আল-মুফরাদ, নং ৭১২। আর শাইখ আলবানী সহীহ আল-আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে, নং ৫৪৫, একে সহীহ বলেছেন।
[172] বুখারী, আল-আদাব আল-মুফরাদ, নং ৭০৮। আর শাইখ আলবানী সহীহ আল-আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে, নং ৫৪৬, একে সহীহ বলেছেন।
[173] মুসলিম, ৩/১৩৬২, নং ১৭৪২।  
[174] মুসলিম ৪/২৩০০, নং ৩০০৫।
[175] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৩৩৬নং ৩২৭৬; মুসলিম ১/১২০, নং ১৩৪।
[176] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৩৩৬নং ৩২৭৬; মুসলিম ১/১২০, ১৩৪।
[177] মুসলিম ১/১১৯-১২০, নং ১৩৪।
[178] সূরা হাদীদ-৩আবূ দাউদ ৪/৩২৯, নং ৫১১০। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদ ৩/৯৬২ একে হাসান বলেছেন।
[179] তিরমিযী ৫/৫৬০, নং ৩৫৬৩। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮০।
[180] বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩। তাছাড়া পূর্বে  পৃষ্ঠায় ১২১ নং এ গত হয়েছে।
[181] মুসলিম ৪/১৭২৯, ২২০৩। সেখানে এসেছে, উসমান ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেনআমি বললামহে আল্লাহর রাসূল! শয়তান আমার ও আমার নামাযের মাঝে অনুপ্রবেশ করে এবং কিরাআতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটা বলার নির্দেশ দেন, তিনি সেটা করার পর আল্লাহ তাঁকে সেটা থেকে মুক্ত করেন।
[182] সহীহ ইবন হিব্বান ২৪২৭, (মাওয়ারিদ); ইবনুস সুন্নী, নং ৩৫১। আর হাফেয (ইবন হাজার) বলেন, এটি সহীহ হাদীস। তাছাড়া আবদুল কাদের আরনাউত ইমাম নওয়াবীর আযকার গ্রন্থের তাখরীজে পৃ. ১০৬, একে সহীহ বলে মত প্রকাশ করেছেন।
[183] আবূ দাউদ ২/৮৬১৫২১; তিরমিযী ২/২৫৭, নং ৪০৬; আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদে ১/২৮৩ একে সহীহ বলে মত প্রকাশ করেছেন।
[184] আবূ দাউদ ১/২০৩, ইবন মাজাহ্‌ ১/২৬৫, নং ৮০৭। আর পূর্বে ৩১ নং হাদীসে এর তাখরীজ চলে গেছে। আরও দেখুন, সূরা আল-মুমিনূন এর ৯৭-৯৮।
[185] মুসলিম ১/২৯১; নং ৩৮৯; বুখারী, ১/১৫১, নং ৬০৮।
[186] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন“তোমরা তোমাদের ঘরসমূহ কবরে পরিণত করুন না। নিশ্চয় শয়তান ঐ ঘর থেকে পলায়ন করে যেখানে সূরা বাকারাহ্‌ পাঠ করা হয়।” মুসলিম ১/৫৩৯, হাদীস নং ৭৮০। তাছাড়া আরও যা শয়তানকে তাড়িয়ে দেয় তা হচ্ছে, সকাল বিকালের যিক্‌রসমূহ, ঘুমের যিক্‌র, জাগ্রত হওয়ার যিক্‌র, ঘরে প্রবেশের ও ঘর থেকে বের হওয়ার যিক্‌রসমূহ, মসজিদে প্রবেশের ও মসজিদ থেকে বের হওয়ার যিক্‌রসমূহ, ইত্যাদী শরী‘আতসম্মত যিক্‌রসমূহ। যেমন, ঘুমের সময় আয়াতুল কুরসী, সূরা আল-বাকারার সর্বশেষ দু’টি আয়াত। তাছাড়া যে ব্যক্তি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর” একশতবার পড়বে, সেটা তার জন্য সে দিনটির জন্য পুরোপুরিই হেফাযতের কাজ দিবে। তদ্রুপ আযান দিলেও শয়তান পলায়ন করে।   
[187] হাদীসে এসেছে, “শক্তিশালী ঈমানদার আল্লাহর নিকট উত্তম ও প্রিয় দুর্বল ঈমানদারের চেয়ে। আর তাদের (ঈমানদারদের) প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমার যা কাজে লাগবে সেটা করার ব্যাপারে সচেষ্ট হও আর আল্লাহর সাহায্য চাও, অপারগ হয়ে যেও না। আর যদি তোমার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয় উদয় হয়, তখন বলো না যে, ‘যদি আমি এরকম করতাম তাহলে তা এই এই হতো’, বরং বলো, “এটা আল্লাহর ফয়সালা, আর তিনি যা ইচ্ছে করেছেন।” কেননা, ‘যদি’ শয়তানের কাজের সূচনা করে দেয়। মুসলিম, ৪/২০৫২, নং ২৬৬৪।
[188] এটি হাসান বসরী রাহিমাহুল্লাহর বাণী হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে। দেখুন, তুহফাতুল মাওদূদ লি ইবনিল কাইয়্যেম, পৃ. ২০; তিনি একে ইবনুল মুনযির এর আল-আওসাত্ব গ্রন্থের দিকে সম্পর্কযুক্ত করেছেন।
[189] এটি ইমাম নাওয়াবী তার আল-আযকার গ্রন্থে পৃ. ৩৪৯ উল্লেখ করেছেন। আরও দেখুন, সহীহুল আযকার লিন নাওয়াবী, সলীম আল-হিলালী, ২/৭১৩। আর এর বিস্তারিত তাখরীজ দেখার জন্য গ্রন্থকারের ‘আয-যিকর ওয়াদ দো‘আ ওয়াল ‘ইলাজ বির রুকা’ গ্রন্থটি দেখুন, পৃ. ১/৪১৬।
[190] বুখারী ৪/১১৯, নং ৩৩৭১; ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমার হাদীস থেকে।
[191] বুখারী (ফাতহুল বারীসহ) ১০/১১৮, নং ৩৬১৬।
[192] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কেউ মৃত্যু আসন্ন নয় এমন কোনো রোগীকে দেখতে গেলে, সে তার সামনে এই দোআ সাতবার পাঠ করবে, এর ফলে আল্লাহ তাকে (মৃত্যু আসন্ন না হলে) রোগমুক্ত করবেন। এ দোআ সাতবার পড়বে। তিরমিযী, নং ২০৮৩; আবূ দাউদ, নং ৩১০৬। আরও দেখুন, ২/২১০; সহীহুল জামে‘ ৫/১৮০।
[193] তিরমিযী, নং ৯৬৯; ইবন মাজাহ্‌, নং ১৪৪২; আহমাদ, নং ৯৭৫। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/২৪৪; সহীহুত তিরমিযী, ১/২৮৬। তাছাড়া শাইখ আহমাদ শাকেরও হাদীসটি বিশুদ্ধ বলেছেন।
[194] বুখারী ৭/১০নং ৪৪৩৫; মুসলিম ৪/১৮৯৩, নং ২৪৪৪।
[195] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ), ৮/১৪৪, নং ৪৪৪৯; তবে হাদীসে মিসওয়াকের উল্লেখও এসেছে।
[196] হাদীসটি ইমাম তিরমিযী সংকলন করেছেন, নং ৩৪৩০; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩৭৯৪; আর শাইখ আলবানী একে সহীহ বলেছেন। দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫২; সহীহ ইবন মাজাহ ২/৩১৭।
[197] আবূ দাউদ ৩/১৯০, নং ৩১১৬; আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৫/৪৩২।
[198] মুসলিম ২/৬৩২, নং ৯১৮।
[199] মুসলিম ২/৬৩৪, নং ৯২০।
[200] মুসলিম ২/৬৬৩, নং ৯৬৩।
[201] আবূ দাঊদ, নং ৩২০১; তিরমিযী, নং ১০২৪; নাসাঈ, নং ১৯৮৫; ইবন মাজাহ, ১/৪৮০, নং ১৪৯৮; আহমাদ ২/৩৬৮, নং ৮৮০৯। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্‌ ১/২৫১।
[202] ইবন মাজাহ্‌, নং ১৪৯৯। দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ ১/২৫১। তাছাড়া হাদীসটি আবূ দাউদও বর্ণনা করেছেন, ৩/২১১, নং ৩২০২।
[203] হাদীসটি সংকলণ করেন, হাকেম তাঁর মুস্তাদরাকে এবং সহীহ বলেছেন, ১/৩৫৯; আর যাহাবী সেটা সমর্থন করেছেন। আরও দেখুন, আলবানী, আহকামুল জানায়েয, পৃ. ১২৫। 
[204] সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব বলেন, আমি আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুর পিছনে একটি শিশুর জানাযার সালাত আদায় করেছি, যে শিশু কখনও কোনো গুনাহ করে নি, তখন আমি তাকে (উপরোক্ত দো‘আটি) বলতে শুনলাম....। হাদীসটি ইমাম মালেক তার মুওয়াত্তা গ্রন্থে সংকলন করেন, ১/২৮৮; ইবন আবী শাইবাহ তার মুসান্নাফ গ্রন্থে, ৩/২১৭; বাইহাকী, ৪/৯। আর শাইখ শু‘আইব আল-আরনাউত শারহুস সুন্নাহ লিল বাগভীর তাহকীকে ৫/৩৫৭, এটার সনদকে সহীহ বলেছেন।
[205] দেখুন, আল-মুগনী, লি ইবন কুদামা, ৩/৪১৬; আরও দেখুন, আদ-দুরুসুল মুহিম্মাহ লি ‘আম্মাতিল উম্মাহ, লিশ শাইখ আবদিল আযীয ইবন আব্দিল্লাহ ইবন বায, রাহেমাহুল্লাহ, পৃ. ১৫।
[206] হাসান বসরী রাহেমাহুল্লাহ যখন ছোট শিশুদের জানাযা পড়তেন তখন তার উপর সূরা ফাতেহা পড়তেন এবং উপরোক্ত দো‘আ বলতেন। হাদীসটি ইমাম বাগভী তার শারহুস সুন্নাহ ৫/৩৫৭ এ বর্ণনা করেছেন। আরও বর্ণনা করেছেন, আব্দুর রায্‌যাক তার মুসান্নাফে, নং ৬৫ ৮৮। তাছাড়া ইমাম বুখারী, কিতাবুল জানায়েয এর, ৬৫, বাবু কিরাআতি ফাতিহাতিল কিতাব আলাল জানাযাত ২/১১৩; ১৩৩৫ নং হাদীসের পূর্বে এটাকে তা‘লীক বা সনদ ব্যতীত বর্ণনা করেছেন।
[207] বুখারী, ২/৮০, নং ১২৮৪; মুসলিম, ২/৬৩৬, নং ৯২৩।
[208] আল-আযকার লিন নাওয়াওয়ী, পৃ. ১২৬।
[209]  আবূ দাউদ ৩/৩১৪, নং ৩২১৫ সহীহ সনদে; অনুরূপভাবে আহমাদ, নং ৫২৩৪; আর ৪৮১২ এর শব্দ হচ্ছে, ‘বিসমিল্লাহ ওয়া আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ’ অর্থাৎ ‘আল্লাহর নামে এবং রাসূলুল্লাহর মিল্লাতের উপর।’ তার সনদও বিশুদ্ধ।
[210] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর কবরের পাশে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর তার জন্য দৃঢ়তা চাও। কেননা এখনই তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। আবু্দাউদ ৩/৩১৫নং ৩২২৩; হাকেম এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন, আর যাহাবী সমর্থন করেছেন, ১/৩৭০।
[211] মুসলিম ২/৬৭১নং ৯৭৫; ইবন মাজাহ্‌, ১/৪৯৪, আর শব্দ তাঁরই, নং ১৫৪৭; বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে। আর দু ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীস থেকে, যা সংকলন করেছেন, মুসলিম, ২/৬৭১, নং ৯৭৫।
[212] আবূ দাউদ ৪/৩২৬নং ৫০৯৯; ইবন মাজাহ্‌ ২/১২২৮, নং ৩৭২৭। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্‌ ২/৩০৫।
[213] মুসলিম, আর শব্দ তাঁরই, ২/৬১৬, নং ৮৯৯; বুখারী, ৪/৭৬, নং ৩২০৬ ও ৪৮২৯।
[214] ‘‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা মেঘের গর্জন শুনলে কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং এই দোআ পড়তেন...। মুওয়াত্তা ইমাম মালেক ২/৯৯২। আর আলবানী তাঁর সহীহুল কালেমিত তাইয়্যেব গ্রন্থে পৃ. ১৫৭, বলেন, “এর সনদটি মওকূফ সহীহ”।
[215] আবূ দাউদ, ১/৩০৩, নং ১১৭১। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদে একে সহীহ বলেছেন, ১/২১৬।
[216] বুখারী ১/২২৪নং ১০১৪; মুসলিম ২/৬১৩, নং ৮৯৭।
[217] আবূ দাউদ ১/৩০৫নং ১১৭৮। আর শাইখ আলবানী তাঁর সহীহ আবি দাউদে একে হাসান বলেছেন, ১/২১৮।
[218] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/৫১৮, নং ১০৩২।
[219] বুখারী ১/২০৫নং ৮৪৬; মুসলিম ১/৮৩, নং ৭১।
[220] বুখারী ১/২২৪নং ৯৩৩; মুসলিম ২/৬১৪, নং ৮৯৭।
[221] তিরমিযী ৫/৫০৪, নং ৩৪৫১; আদ-দারিমী, শব্দ তাঁরই, ১/৩৩৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৭।
[222] হাদীসটি সংকলন করেছেন আবূ দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯ ও অন্যান্য। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪/২০৯।
[223] হাদীসটি সংকলন করেছেন, ইবন মাজাহ্‌ ১/৫৫৭, নং ১৭৫৩; যা মূলত আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমার দো‘আ। আর হাফেয ইবন হাজার তাঁর তাখরীজুল আযকারে এটার সনদকে হাসান বলেছেন। শরহুল আযকার, ৪/৩৪২।
[224] হাদীসটি সংকলন করেছেন আবূ দাঊদ ৩/৩৪৭, নং ৩৭৬৭; তিরমিযী, ৪/২৮৮, নং ১৮৫৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ২/১৬৭।
[225] তিরমিযী ৫/৫০৬, নং ৩৪৫৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৮।
[226] হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সকল সুনান গ্রন্থকারগণ সংকলন করেছেন। আবূ দাউদনং ৪০২৫; তিরমিযী, নং ৩৪৫৮; ইবন মাজাহ, নং ৩২৮৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫৯।
[227] বুখারী ৬/২১৪হাদীস নং ৫৪৫৮; তিরমিযী, আর শব্দটি তাঁরই, ৫/৫০৭, নং ৩৪৫৬।
[228] মুসলিম ৩/১৬১৫, নং ২০৪২।
[229] মুসলিম ৩/১৬২৬, নং ২০৫৫।
[230] সুনান আবি দাউদ ৩/৩৬৭, নং ৩৮৫৬; ইবন মাজাহ ১/৫৫৬, নং ১৭৪৭; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ২৯৬-২৯৮; আর সেখানে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তার পরিবারের কাছে ইফতার করতেন তখন তা বলতেন। আর শাইখ আলবানী তাঁর সহীহ আবি দাউদে একে সহীহ বলেছেন, ২/৭৩০।
[231] মুসলিম, ২/১০৫৪, নং ১১৫০।
[232] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৪/১০৩, নং ১৮৯৪; মুসলিম, ২/৮০৬, নং ১১৫১।
[233] মুসলিম, ২/১০০০, নং ১৩৭৩।
[234] বুখারী ৭/১২৫, নং ৫৮৭০।
[235] তিরমিযী ৫/৮২নং ২৭৪১; আহমাদ ৪/৪০০, নং ১৯৫৮৬; আবু দাউদ, ৪/৩০৮, নং ৫০৪০। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ২/৩৫৪।
[236] হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সকল সুনানগ্রন্থকারগণই সংকলন করেছেন। আবু দাঊদ, নং ২১৩০; তিরমিযী, নং ১০৯১; ইবন মাজাহ, নং ১৯০৫; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ, নং ২৫৯। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ১/৩১৬।
[237] আবু দাঊদ-২/২৪৮নং ২১৬০; ইবন মাজাহ্‌ ১/৬১৭, নং ১৯১৮। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/৩২৪।
[238]  বুখারী ৬/১৪১নং ১৪১; মুসলিম ২/১০২৮, নং ১৪৩৪।
[239] বুখারী ৭/৯৯, নং ৩২৮২; মুসলিম ৪/২০১৫, নং ২৬১০।
[240] তিরমিযী ৫/৪৯৪, ৫/৪৯৩, নং ৩৪৩২। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৩।
[241] তিরমিযী, নং ৩৪৩৪; ইবন মাজাহ, নং ৩৮১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৩; সহীহু ইবনি মাজাহ, ২/৩২১। আর শব্দটি তিরমিযীর।
[242] হাদীসটি সুনান গ্রন্থকারগণ সবাই সংকলন করেছেন। আবু দাঊদনং ৪৮৫৮; তিরমিযী, নং ৩৪৩৩; নাসাঈনং ১৩৪৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫৩। তাছাড়া এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোনো মজলিসে বসেছেন, অথবা কুরআন তেলাওয়াত করেছেন, অথবা সালাত আদায় করেছেন, তখনই একে কিছু বাক্যের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন। ...। হাদীসটি নাসাঈ তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ গ্রন্থে নং ৩০৮ এ বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে আহমাদ, ৬/৭৭, নং ২৪৪৮৬। আর ড. ফারূক হাম্মাদাহ, ইমাম নাসাঈ এর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ গ্রন্থের তাহকীকের সময় এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। পৃ. ২৭৩।
[243] আহমাদ ৫/৮২, নং ২০৭৭৮; আন-নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, পৃ. ২১৮, নং ৪২১। তাহকীক, ড. ফারূক হাম্মাদাহ।
[244] তিরমিযীহাদিস নং ২০৩৫। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৬২৪৪; সহীহুত তিরমিযী, ২/২০০।
[245] মুসলিম ১/৫৫৫, নং ৮০৯; অন্য বর্ণনায় এসেছে, সূরা কাহাফের শেষাংশ, ১/৫৫৬, নং ৮০৯।
[246] দেখুন, এ গ্রন্থের হাদীস নং ৫৫, ও হাদীস নং ৫৬, পৃ.   ।
[247] হাদীসটি সংকলন করেছেন, আবু দাঊদ ৪/৩৩৩, নং ৫১২৫। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ আবি দাউদে হাসান বলেছেন, ৩/৯৬৫।
[248] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৪/২৮৮, হাদীস নং ২০৪৯।
[249] হাদীসটি সংকলন করেছেন, নাসাঈ, তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ গ্রন্থে, পৃ. ৩০০; ইবন মাজাহ, ২/৮০৯, নং ২৪২৪। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ২/৫৫।
[250]  আহমাদ ৪/৪০৩নং ১৯৬০৬; ইমাম বুখারীর আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৭১৬। আরও দেখুন, সহীহ আল জামে ৩/২৩৩; সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব লিল আলবানী, ১/১৯।
[251] হাদীসটি ইবনুস সুন্নী সংকলন করেছেন, পৃ. ১৩৮, নং ২৭৮। আরও দেখুন, ইবনুল কাইয়্যেমের আল-ওয়াবিলুস সাইয়্যেব, পৃ. ৩০৪। তাহকীক, বশীর মুহাম্মাদ উয়ূন।
[252] আহমাদ ২/২২০নং ৭০৪৫ইবনুস সুন্নীহাদীস নং ২৯২। আর শাইখ আলবানী তাঁর সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহায় ৩/৫৪, নং ১০৬৫, একে সহীহ বলেছেন। তবে সুলক্ষণ নেওয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করতেন। সে জন্য যখন তিনি কোনো মানুষ থেকে কোনো ভালো বাক্য বা সুবচন শুনতেন, তখন সেটা তাঁর কাছে ভালো লাগত এবং বলতেন, “তোমার মুখ থেকে তোমার সুলক্ষণ গ্রহণ করেছি”। আবু দাউদ, নং ৩৭১৯; আহমাদ, নং ৯০৪০। আর শাইখ আলবানী তাঁর সিলসিলাতুস সহীহায় একে সহীহ বলেছেন, ২/৩৬৩; আবুশ শাইখ, আখলাকুন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, পৃ. ২৭০।
[253] আবু দাঊদ ৩/৩৪২৬০২; তিরমিযী ৫/৫০১, নং ৩৪৪৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫৬। আর আয়াত দু’টি হচ্ছে, সূরা আয-যুখরুফের ১৩-১৪।
[254] মুসলিম ২/৯৭৮, হাদীস নং ১৩৪২।
[255] হাকেম, আর তিনি একে সহীহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবী সেটা সমর্থন করেছেন ২/১০০; ইবনুস সুন্নী, নং ৫২৪। তাছাড়া হাফেয ইবন হাজার তাঁর তাখরীজুল আযকার ৫/১৫৪, একে হাসান বলেছেন। আল্লামা ইবন বায রাহেমাহুল্লাহ বলেন, ‘হাদীসটি নাসাঈ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।’ দেখুন, তুহফাতুল আখইয়ার, পৃ. ৩৭।
[256] তিরমিযী, নং ৩৪২৮; ইবন মাজাহ, ৫/২৯১, নং ৩৮৬০; হাকেম ১/৫৩৮। আর শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ ইবন মাজাহ্‌ ২/২১; সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫২ হাসান হাদীস বলেছেন।
[257] আবূ দাউদ, ৪/২৯৬, নং ৪৯৮২। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ বলেছেন, সহীহ আবি দাউদে, ৩/৯৪১।
[258] আহমাদ ২/৪০৩নং ৯২৩০; ইবন মাজাহ্‌, ২/৯৪৩, নং ২৮২৫। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্‌ ২/১৩৩।
[259] আহমাদ ২/৭৪৫২৪, তিরমিযী ৫/৪৯৯, নং ৩৪৪৩। আর শাইখ আলবানী একে সহীহু সুনানিত তিরমিযীতে ৩/৪১৯ সহীহ হাদীস বলেছেন।
[260] তিরমিযী, নং ৩৪৪৪; আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৫।
[261] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/১৩৫, নং ২৯৯৩।
[262] মুসলিম, ৪/২০৮৬, নং ২৭১৮। আর হাদীসে ব্যবহৃত سَمِعَ سامِعٌ শব্দের অর্থ, ‘একজন সাক্ষ্যদাতা সাক্ষ্য প্রদান করুন যে, আমরা আল্লাহর প্রশংসা করেছি তার যাবতীয় নেয়ামতের উপর, তাঁর উত্তম দান-দয়ার উপর।’ আর যদি হাদীসে ব্যবহৃত শব্দটিকে سَمَّعَ سامِعٌ ধরা হয়, তখন অর্থ হবে, ‘একজন শ্রোতা আমার এ কথা শুনে তা অন্যের কাছে পৌঁছে দিক।’ আর এ-কথাটি তিনি বলেছেন শেষ রাত্রির দো‘আ ও যিকর সম্পর্কে সচেতন করার জন্য। শারহুন নাওয়াওয়ী ‘আলা সহীহ মুসলিম, ১৭/৩৯।
[263] মুসলিম, ৪/২০৮০, নং ২৭০৯। 
[264] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো যুদ্ধ অথবা হজ্জ থেকে ফিরতেন, তখন এগুলো বলতেন। বুখারী, ৭/১৬৩, নং ১৭৯৭; মুসলিম, ২/৯৮০, নং ১৩৪৪।
[265] হাদীসটি সংকলন করেছেন, ইবনুস সুন্নীআমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ, নং ৩৭৭; হাকেম এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন, ১/৪৯৯। আর শাইখ আলবানী তাঁর সহীহুল জামে‘ ৪/২০১।
[266] হাদীসটি সংকলন করেছেন, মুসলিম ১/২৮৮, নং ৩৮৪।
[267] আবূ দাউদ ২/২১৮নং ২০৪৪; আহমাদ ২/৩৬৭, নং ৮৮০৪। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ আবি দাঊদে ২/৩৮৩, সহীহ বলেছেন।
[268] তিরমিযী৫/৫৫১, নং ৩৫৪৬, ইত্যাদি। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৩/২৫; সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৭৭।
[269] নাসাঈ৩/৪৩, নং ১২৮২; হাকেম, ২/৪২১। আর শাইখ আলবানী একে সহীহুন নাসাঈ ১/২৭৪, সহীহ বলেছেন।
[270] আবূ দাউদ, নং ২০৪১। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদে ১/৩৮৩, একে হাসান হাদীস বলেছেন।
[271] মুসলিম ১/৭৪, নং ৫৪; আহমাদ, নং ১৪৩০; আর শব্দ তাঁরই। মুসলিমের শব্দ হচ্ছে, “লা তাদখুলূনা...” ‘তোমরা প্রবেশ করবে না...’।
[272] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১/৮২নং ২৮; আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মাওকূফ ও মু‘আল্লাক হিসেবে।
[273] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১/৫৫নং ১২; মুসলিম ১/৬৫, নং ৩৯।
[274] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/৪২নং ৬২৫৮; মুসলিম ৪/১৭০৫, নং ২১৬৩।
[275] বুখারী (ফাতহুল বারীসহ), ৬/৩৫০, নং ৩৩০৩; মুসলিম, ৪/২০৯২, নং ২৭২৯।
[276] আবূ দাঊদ ৪/৩২৭, নং ৫১০৫; আহমাদ ৩/৩০৬, নং ১৪২৮৩। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ আবি দাউদে ৩/৯৬১, সহীহ বলেছেন।
[277] বুখারী (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১৭১নং ৬৩৬১; মুসলিম ৪/২০০৭, নং ৩৯৬, আর তার শব্দ হচ্ছে, “ফাজ‘আলহা লাহূ যাকাতান ও রাহমাতান”। অর্থাৎ ‘সেটা তার জন্য পবিত্রতা ও রহমত বানিয়ে দিন’।
[278] মুসলিম, ৪/২২৯৬, নং ৩০০০।
[279] বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৭৬১। আর শাইখ আলবানী তাঁর সহীহুল আদাবিল মুফরাদ গ্রন্থে নং ৫৮৫, সেটার সনদকে সহীহ বলেছেন। আর দু’ ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ বাইহাকীর শু‘আবুল ঈমান গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে, ৪/২২৮, যা অন্য পদ্ধতিতে এসেছে।
[280] বুখারী ৩/৪০৮নং ১৫৪৯; মুসলিম ২/৮৪১, নং ১১৮৪।
[281] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৩/৪৭৬, নং ১৬১৩। আর ‘কোনো কিছু’ বলে এখানে বাঁকা লাঠি বোঝানো হয়েছে। দেখুন, বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ), ৩/৪৭২।
[282] আবূ দাউদ ২/১৭৯, নং ১৮৯৪; মুসনাদে আহমাদ ৩/৪১১, নং ১৫৩৯৮; আল-বাগভী ফী শারহিস সুন্নাহ, ৭/১২৮। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদে ১/৩৫৪ একে সহীহ বলেছেন। আয়াতটি সূরা আল-বাকারাহ্‌র আয়াত নং ২০১।
[283] মুসলিম ২/৮৮৮, নং ১২১৮; আর আয়াতটি সূরা আল-বাকারার আয়াত নং ১৫৮।
[284] তিরমিযী নং ৩৫৮৫; আর শাইখুল আলবানী সহীহুত তিরমিযীতে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, ৩/১৮৪; অনুরূপভাবে সিলসিলা সহীহায় ৪/৬।
[285] মুসলিম ২/৮৯১, নং ১২১৮।
[286] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৩/৫৮৩, নং ১৭৫১; সেখানে তার শব্দ দেখুন, আরও দেখুন,  বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৩/৫৮৩৩/৫৮৪, ৩/৫৮১ নং ১৭৫৩; অনুরূপ মুসলিম নং ১২১৮।
[287]  বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১/২১০৩৯০৪১৪নং ১১৫, ৩৫৯৯, ৬২১৮; মুসলিম ৪/১৮৫৭, নং ১৬৭৪।
[288] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৮/৪৪১, নং ৪৭৪১; তিরমিযী নং ২১৮০; আন- নাসাঈ ফিল কুবরা, নং ১১১৮৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ২/১০৩, ২/২৩৫, আহমাদ-৫/২১৮, নং ২১৯০০।
[289] হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত অপরাপর সুনান গ্রন্থকারগণ উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ নং ২৭৭৪; তিরমিযী নং ১৫৭৮; ইবন মাজাহ্‌ ১৩৯৪। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ ১/২৩৩; ইরওয়াউল গালীল, ২/২২৬।
[290] মুসলিম ৪/১৭২৮নং ২২০২।
[291] মুসনাদে আহমাদ ৪/৪৪৭, নং ১৫৭০০; ইবন মাজাহ্, নং ৩৫০৮; মালেক ৩/১১৮-১১৯। আর শাইখুল আলবানী, সহীহুল জামে‘ গ্রন্থে সহীহ বলেছেন, ১/২১২; আরও দেখুন, আরনাঊতের এর যাদুল মা‘আদ এর তাহকীক ৪/১৭০।
[292] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৩৮১, নং ৩৩৪৬; মুসলিম ৪/২২০৮, নং ২৮৮০।
[293] মুসলিম ৩/১৫৫৭নং ১৯৬৭; বায়হাকী ৯/২৮৭, দু ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ বাইহাকী থেকে, ৯/২৮৭, ইত্যাদি। তবে সর্বশেষ বাক্যটি ইমাম মুসলিমের বর্ণনা থেকে অর্থ হিসেবে গৃহীত।
[294] আহমাদ ৩/৪১৯, নং ১৫৪৬১, সহীহ সনদে। আর ইবনুস সুন্নী, নং ৬৩৭; আরনাঊত তার ত্বাহাভীয়ার তাখরীজে এর সনদকে বিশুদ্ধ বলেছেন, পৃ.১৩৩। আরও দেখুন, মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ১০/১২৭।
[295] বুখারী, ফাতহুল বারীসহ, ১১/১০১, নং ৬৩০৭।
[296] মুসলিম, ৪/২০৭৬, নং ২৭০২।
[297] আবূ দাউদ ২/৮৫নং ১৫১৭; তিরমিযী ৫/৫৬৯, নং ৩৫৭৭; আল-হাকিম এবং সহীহ বলেছেন, তার সাথে ইমাম যাহাবী ঐকমত্য পোষণ করেছেন, ১/৫১১, আর শাইখুল আলবানীও সহীহ বলেছেন। দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৮২, জামেউল উসূল লি আহাদীসির রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৪/৩৮৯-৩৯০, আরনাঊত এর সম্পাদনাসহ।
[298] তিরমিযী নং ৩৫৭৯, নাসায়ী, ১/২৭৯ নং ৫৭২; হাকেম ১/৩০৯। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮৩; জামে‘উল উসূল, আরনাউতের তাহকীকসহ ৪/১৪৪।
[299] মুসলিম, ১/৩৫০; নং ৪৮২।
[300] মুসলিম, ৪/২০৭৫, নং ২৭০২। ইবনুল আসীর বলেন, «ليُغان على قلبي» এর অর্থ হচ্ছে, ঢাকা পড়ে যায়, পর্দাবৃত হয়ে যায়। উদ্দেশ্য ভুলে যাওয়া; কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা যিক্‌র, নৈকট্য ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকতেন। তাই যখন কোনো সময় এ ব্যাপারে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটত অথবা ভুলে যেতেন, তখনি তিনি এটাকে নিজের জন্য গুনাহ মনে করতেন, সাথে সাথে তিনি ইস্তেগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনার দিকে দ্রুত ধাবিত হতেন। দেখুন, জামে‘উল উসূল ৪/৩৮৬।
[301] বুখারী ৭/১৬৮নং ৬৪০৫; মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১; তাছাড়া এ কিতাবের ### পৃষ্ঠায় যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধায় একশতবার পড়বে, তার যে ফযিলত বর্ণিত হয়েছে তা দেখুন।
[302] বুখারী ৭/৬৭ নং ৬৪০৪; মুসলিম, তার শব্দে ৪/২০৭১ নং ২৬৯৩; অনুরূপভাবে একশবার বলার ফযীলত দেখুন, ৯৩ নং দো‘আর হাদীস, পৃ. নং ###
[303] বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৪; মুসলিম ৪/২০৭২, নং ২৬৯৪।
[304] মুসলিম, ৪/২০৭২, নং ২৬৯৫।
[305] মুসলিম ৪/২০৭৩, নং ২৬৯৮।
[306] তিরমিযী ৫/১১নং ৩৪৬৪; হাকেম-১/৫০১ এবং এটাকে সহীহ বলেছেন। আর ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত হয়েছেন। দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৫/৫৩১; সহীহুত তিরমিযী ৩/১৬০।
[307] বুখারী, ফাতহুল বারীসহ ১১/২১৩নং ৪২০৬; মুসলিম ৪/২০৭৬, নং ২৭০৪।
[308] মুসলিম ৩/১৬৮৫, নং ২১৩৭।
[309] মুসলিম ৪/২০৭২, নং ২৬৯৬। আর আবূ দাউদ বর্ধিত বর্ণনা করেন, ১/২২০, নং ৮৩২: এরপর যখন বেদুঈন ফিরে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “লোকটি তার হাত কল্যাণে পূর্ণ করে নিল”
[310] মুসলিম ৪/২০৭৩; নং ৩৬৯৭। মুসলিমের অপর বর্ণনায় এসেছে, “এগুলো তোমার জন্য দুনিয়া ও আখেরাত সবকিছুর সমন্বয় ঘটাবে।”
[311] তিরমিযী ৫/৪৬২নং ৩৩৮৩; ইবন মাজাহ্‌ ২/১২৪৯, নং ৩৮০০; আল-হাকিম, ১/৫০৩ এবং সহীহ বলেছেন, আর ইমাম যাহাবী তা সমর্থন করেছেন। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ১/৩৬২। 
[312] মুসনাদে আহমাদ নং ৫১৩; আহমাদ শাকের এর তারতীব অনুসারে, আর তার সনদ বিশুদ্ধ। দেখুন, মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ১/২৯৭; ইবন হাজার বুলুগুল মারাম গ্রন্থে এটাকে আবু সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এর বর্ণনায় ইমাম নাসাঈ (আস-সুনানুল কুবরা, নং ১০৬১৭) নিয়ে এসেছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন এবং বলেছেন যে, হাদীসটিকে ইবন হিব্বান (নং ৮৪০) ও হাকেম (১/৫৪১) সহীহ বলেছেন।
[313] আবূ দাউদ ২/৮১নং ১৫০২; তিরমিযী ৫/৫২১, নং ৩৪৮৬। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪/২৭১, নং ৪৮৬৫, আর শাইখ আলবানী সহীহ সুনান আবি দাউদে (১/৪১১) এটাকে সহীহ বলেছেন।
[314] বুখারী, ফাতহুল বারীসহ, ১০/৮৮; নং ৫৬২৩; মুসলিম, ৩/১৫৯৫, নং ২০১২।
_________________________________________________________________________________
সংকলন: ড. সাঈদ ইব্‌ন আলী ইব্‌ন ওয়াহফ আল-ক্বাহত্বানী 
অনুবাদ ও সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
সূত্র: ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব