কুর‘আন-সুন্নাহ্ থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ
কুর‘আন-সুন্নাহ্ থেকে নির্বাচিত দো‘আ সমূহ
• কুরআনের
নির্বাচিত দো‘আ:
১- ﴿ رَبَّنَا ظَلَمۡنَآ
أَنفُسَنَا وَإِن لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَتَرۡحَمۡنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ
٢٣ ﴾ [الاعراف: ٢٣]
(১) ‘হে
আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুল্ম করেছি। আর যদি আপনি
আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে রহম না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের
অন্তর্ভুক্ত হব।’[1]
২-
﴿ رَّبِّ ٱغۡفِرۡ
لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ
وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَۢا ٢٨ ﴾ [نوح: ٢٨]
(২) ‘হে আমার রব! আমাকে, আমার
পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং
মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে
দেবেন না।’[2]
৩- ﴿ رَبِّ ٱجۡعَلۡنِي مُقِيمَ ٱلصَّلَوٰةِ
وَمِن ذُرِّيَّتِيۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلۡ دُعَآءِ ٤٠ رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ
وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ ٤١ ﴾ [ابراهيم: ٤٠، ٤١]
(৩) ‘হে
আমার রব, আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের
মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব, আর আমার দো‘আ কবুল করুন। হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব
কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার
পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।’[3]
৪- ﴿ رَّبَّنَا عَلَيۡكَ
تَوَكَّلۡنَا وَإِلَيۡكَ أَنَبۡنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٤ ﴾ [الممتحنة: ٤]
(৪) ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা আপনার ওপরই ভরসা করি, আপনারই অভিমুখী
হই আর প্রত্যাবর্তন তো আপনারই কাছে।’[4]
৫- ﴿ رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا
فِتۡنَةٗ لِّلَّذِينَ كَفَرُواْ وَٱغۡفِرۡ لَنَا رَبَّنَآۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلۡعَزِيزُ
ٱلۡحَكِيمُ ٥ ﴾ [الممتحنة: ٥]
(৫) ‘হে
আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে কাফিরদের উৎপীড়নের পাত্র বানাবেন
না। হে আমাদের রব, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি
মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’[5]
৬-
﴿ قَالَ رَبِّ ٱشۡرَحۡ
لِي صَدۡرِي ٢٥ وَيَسِّرۡ لِيٓ أَمۡرِي ٢٦ وَٱحۡلُلۡ عُقۡدَةٗ مِّن لِّسَانِي ٢٧ ﴾ [طه: ٢٥، ٢٧]
(৬)
‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে
দিন। এবং আমার কাজ সহজ করে দিন। আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন।’[6]
-৭ ﴿ رَبَّنَآ ءَامَنَّا
بِمَآ أَنزَلۡتَ وَٱتَّبَعۡنَا ٱلرَّسُولَ فَٱكۡتُبۡنَا مَعَ ٱلشَّٰهِدِينَ ٥٣ ﴾ [ال عمران: ٥٣]
(৭) ‘হে
আমাদের রব, আপনি যা নাযিল করেছেন তার প্রতি আমরা ঈমান এনেছি
এবং আমরা রাসূলের অনুসরণ করেছি। অতএব, আমাদেরকে
সাক্ষ্যদাতাদের তালিকাভুক্ত করুন।’[7]
৮- ﴿ فَقَالُواْ عَلَى
ٱللَّهِ تَوَكَّلۡنَا رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا فِتۡنَةٗ لِّلۡقَوۡمِ ٱلظَّٰلِمِينَ
٨٥ وَنَجِّنَا بِرَحۡمَتِكَ مِنَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٨٦ ﴾ [يونس: ٨٥، ٨٦]
(৮) ‘তখন
তারা বলল, ‘আমরা আল্লাহর উপরই তাওয়াক্কুল করলাম। হে আমাদের
রব, আপনি আমাদেরকে যালিম কওমের ফিতনার পাত্র বানাবেন না। আর
আমাদেরকে আপনার অনুগ্রহে কাফির কওম থেকে নাজাত দিন।’[8]
৯- ﴿ رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ
لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسۡرَافَنَا فِيٓ أَمۡرِنَا وَثَبِّتۡ أَقۡدَامَنَا وَٱنصُرۡنَا
عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ ١٤٧ ﴾ [ال عمران: ١٤٧]
(৯) ‘হে
আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কর্মে আমাদের সীমালঙ্ঘন
ক্ষমা করুন এবং অবিচল রাখুন আমাদের পদসমূহকে, আর কাফির কওমের
উপর আমাদেরকে সাহায্য করুন’।[9]
-১০ ﴿ رَّبِّ ٱغۡفِرۡ
وَٱرۡحَمۡ وَأَنتَ خَيۡرُ ٱلرَّٰحِمِينَ ١١٨ ﴾ [المؤمنون: ١١٨]
(১০) ‘হে আমাদের রব, আপনি
ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’[10]
১১- ﴿ رَبَّنَآ ءَاتِنَا
فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١
﴾ [البقرة: ٢٠١]
(১১) হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং
আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।[11]
১২- ﴿رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ
إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا
حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ
لَنَا بِهِۦۖ وَٱعۡفُ عَنَّا وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَٱنصُرۡنَا
عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٢٨٦ ﴾ [البقرة: ٢٨٦]
(১২) ‘হে
আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন
আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব, আপনি
আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই।
আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর
আমাদের উপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে
আমাদেরকে সাহায্য করুন।’ [12]
১৩- ﴿ رَبَّنَا لَا تُزِغۡ
قُلُوبَنَا بَعۡدَ إِذۡ هَدَيۡتَنَا وَهَبۡ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحۡمَةًۚ إِنَّكَ أَنتَ
ٱلۡوَهَّابُ ٨ ﴾ [ال عمران: ٨]
(১৩) ‘হে
আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র
করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।’ [13]
১৪- ﴿ وَٱلَّذِينَ يَقُولُونَ
رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ أَزۡوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعۡيُنٖ وَٱجۡعَلۡنَا
لِلۡمُتَّقِينَ إِمَامًا ٧٤ ﴾ [الفرقان: ٧٣]
(১৪) ‘হে
আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন
যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন’।[14]
১৫- ﴿ رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ
لَنَا وَلِإِخۡوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِي قُلُوبِنَا
غِلّٗا لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٞ رَّحِيمٌ ١٠ ﴾ [الحشر: ١٠]
(১৫) ‘হে
আমাদের রব, আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের
পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান
এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন
না; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি দয়াবান, পরম দয়ালু।[15]
১৬-﴿ رَبَّنَآ أَتۡمِمۡ
لَنَا نُورَنَا وَٱغۡفِرۡ لَنَآۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ ٨ ﴾ [التحريم: ٨]
(১৬) ‘হে
আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং
আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।’ [16]
১৭-﴿ رَبَّنَآ إِنَّنَآ
ءَامَنَّا فَٱغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ١٦ ﴾ [ال عمران: ١٦]
(১৭) ‘হে
আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা ঈমান আনলাম। অতএব, আমাদের
পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন’।[17]
১৮-﴿رَبِّ ٱجۡعَلۡ هَٰذَا
ٱلۡبَلَدَ ءَامِنٗا وَٱجۡنُبۡنِي وَبَنِيَّ أَن نَّعۡبُدَ ٱلۡأَصۡنَامَ ٣٥﴾ [ابراهيم: ٣٥]
(১৮) ‘হে
আমার রব, আপনি এ শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন’।[18]
১৯- ﴿ رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا
مَعَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلظَّٰلِمِينَ ٤٧ ﴾ [الاعراف: ٤٧]
(১৯) ‘হে
আমাদের রব, আমাদেরকে যালিম কওমের অন্তর্ভুক্ত করবেন না’।[19]
২০- ﴿ حَسۡبِيَ ٱللَّهُ
لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ عَلَيۡهِ تَوَكَّلۡتُۖ وَهُوَ رَبُّ ٱلۡعَرۡشِ ٱلۡعَظِيمِ
١٢٩ ﴾ [التوبة: ١٢٩]
(২০) ‘আমার
জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি
তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব।’[20]
• হাদীসের নির্বাচিত দো‘আ:
1. «اَللَّهُمَّ أَعِنِّا عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ
عِبَادَتِكَ»
(১) ‘হে আল্লাহ! তোমার যিকর করার, তোমার শুকরিয়া জ্ঞাপন করার এবং তোমার ইবাদত সঠিক ও সুন্দরভাবে
সম্পাদন করার কাজে আমাকে সহায়তা কর।’[21]
2. «اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأُعُوذُ بِكَ
مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ من أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ،
وَأُعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ».
(২) ‘হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি কৃপণতা
থেকে এবং আশ্রয় চাচ্ছি কাপুরুষতা থেকে। আর আশ্রয় চাচ্ছি বার্ধক্যের চরম পর্যায়
থেকে। দুনিয়ার ফিতনা-ফাসাদ ও কবরের আযাব থেকে।’[22]
3. «اَللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْماً كَثِيراً، وَلاَ
يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ،
وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ»
(৩) ‘হে আল্লাহ, আমি
আমার নিজের উপর অনেক বেশি জুলুম করেছি আর তুমি ছাড়া গুনাহ্সমূহ কেউই মাফ করতে পারে
না। সুতরাং তুমি তোমার নিজ গুণে মার্জনা করে দাও এবং আমার প্রতি তুমি রহম কর। তুমি
তো মার্জনাকারী ও দয়ালু।’[23]
4. «اَللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الإِِيمَانَ وَزَيِّنْهُ فِي
قُلُوبِنَا، وَكَرِّهْ إِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ،
وَاجْعَلْنَا مِنَ الرَّاشِدِينَ، اَللَّهُمَّ تَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ وَأَحْيِنَا
مُسْلِمِينَ، وَأَلْحِقْنَا بِالصَّالِحِينَ غَيْرَ خَزَايَا وَلاَ مَفْتُونِينَ».
(৪) ‘হে আল্লাহ! তুমি ঈমানকে আমাদের নিকট
সুপ্রিয় করে দাও এবং তা আমাদের অন্তরে সুশোভিত করে দাও। কুফর, অবাধ্যতা
ও পাপাচারকে আমাদের অন্তরে ঘৃণিত করে দাও, আর আমাদেরকে
হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে নাও। হে আল্লাহ! আমাদেরকে মুসলমান হিসেবে
মৃত্যু দাও। আমাদের মুসলমান হিসেবে বাঁচিয়ে রাখ। লাঞ্ছিত ও বিপর্যস্ত না করে
আমাদেরকে সৎকর্মশীলদের সাথে সম্পৃক্ত কর।[24]
5. «اَللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي
طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ».
(৫) হে আল্লাহ! তোমারই রহমতের আকাঙ্ক্ষী আমি। সুতরাং এক পলকের
জন্যও তুমি আমাকে আমার নিজের ওপর ছেড়ে দিয়ো না। তুমি আমার সমস্ত বিষয় সুন্দর করে
দাও। তুমি ভিন্ন প্রকৃত কোনো মা‘বুদ নেই।[25]
6. «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ الْحَلِيمُ الْعَظِيمُ، لاَ إِلَهَ
إِلاَّ اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ
السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ».
(৬) আল্লাহ ছাড়া কোনো মা‘বুদ নেই, যিনি সহনশীল, মহীয়ান। আল্লাহ ছাড়া কোনো মা‘বুদ নেই, যিনি সুমহান আরশের রব। আল্লাহ ছাড়া
কোনো মা‘বুদ নেই। তিনি আকাশমণ্ডলীর রব, যমিনের
রব এবং সুমহান আরশের রব।[26]
7. «اَللَّهُمَّ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ
الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ، وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ،
وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ، اِقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ
وَأَغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ».
(৭) ‘হে আল্লাহ! তুমিই প্রথম, তোমার
পূর্বে কিছু নেই। তুমিই সর্বশেষ, তোমার পরে কিছু নেই। তুমি
সবার ওপর, তোমার ওপরে কিছুই নেই। তুমি সবচে’ কাছের, তোমার চেয়ে নিকটবর্তী কিছুই নেই; তুমি আমার
ঋণ পরিশোধ করে দাও আমাকে দারিদ্র্যমুক্ত করে অমুখাপেক্ষী কর।’[27]
8. «اَللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي
بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ».
(৮) ‘হে
আল্লাহ! তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল বস্তু দিয়ে আমার প্রয়োজন
মিটিয়ে দাও এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা সমৃদ্ধ করে। তুমি ভিন্ন অন্য সবার থেকে আমাকে
অমুখাপেক্ষী করে দাও।’[28]
9. «اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ،
وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ الْمَسِيحِ
الدَّجَّالِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ».
(৯) ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় চাচ্ছি
জাহান্নামের আযাব হতে, কবরের আযাব হতে, মসিহ
দাজ্জালের অনিষ্ট হতে এবং জীবন মৃত্যুর ফেতনা হতে।’[29]
10.
«اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْاَلُكَ
بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ
الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفْوًا أَحَدٌ».
(১০) ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে চাই; কেননা আমি সাক্ষ্য দিই যে- তুমিই আল্লাহ। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ
নেই। তুমি এক অদ্বিতীয়। সকল কিছুই যার মুখাপেক্ষী। যিনি জন্ম দেননি এবং জন্ম নেননি
এবং যার সমকক্ষ কেউ নেই।’[30]
11.
«اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ جَهْدِ
الْبَلاَءِ، وَسُوءِ الْقَضَاءِ، وَمِنْ دَرَكِ الشَّقَاءِ، وَشَمَاتَةِ
الأَعْدَاءِ».
(১১) ‘হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি
বিপদের কষ্ট, নিয়তির অমঙ্গল, দুর্ভাগ্যের
স্পর্শ ও বিপদে শত্রু উপহাস হতে।’[31]
12. «اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الشِّقَاقِ، وَالنِّفَاقِ،
وَسُوءِ الأَخْلاَقِ».
(১২) ‘হে আল্লাহ! আমি সকল বিরোধ, কপটতা-মুনাফেকি এবং বদ চরিত্র হতে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’[32]
13.
«اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ،
دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَعَلاَنِيَتَهُ وَسِرَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ».
(১৩) ‘হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে
দাও ছোট গুনাহ, বড় গুনাহ, প্রকাশ্য ও
গোপন গুনাহ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ।’[33]
14.
«اَللَّهُمَّ اهْدِنَا فِيمَنْ هَدَيْتَ،
وَعَافِنَا فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنَا فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لَنَا
فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنَا شَرَّ مَا قَضَيْتَ، إِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى
عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ،وَلا يَعزُّ مَن عَادَيتَ,
تَبَارَكْتَ ربَّنَا وَتَعَالَيْتَ».
(১৪) ‘হে
আল্লাহ! তুমি যাদেরকে হেদায়েত করেছ, আমাদেরকে তাদের
অন্তর্ভুক্ত কর। তুমি যাদেরকে নিরাপদ রেখেছ আমাদেরকে তাদের দলভুক্ত কর। তুমি যাদের
অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ, আমাদেরকে তাদের দলভুক্ত করো। তুমি
আমাদেরকে যা দিয়েছ তাতে বরকত দাও। তুমি যে অমঙ্গল নির্দিষ্ট করেছ তা হতে আমাদেরকে
রক্ষা করো। কারণ তুমিই তো ফয়সালা কর। তোমার ওপরে তো কেউ ফয়সালা করার নেই। তুমি যার
অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ, সে কোনো দিন অপমানিত হবে না এবং তুমি
যার সাথে শত্রুতা করেছ, সে কখনো সম্মানিত হতে পাবে না। হে
আমাদের রব! তুমি বরকতময় ও সুমহান।’[34]
15.
«اَللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا، وَفِي
سَمْعِي نُورًا، وَفِي بَصَرِي نُورًا، وَمِنْ بَيْنِ يَدَيَّ نُورًا، وَمِنْ
خَلْفِي نُورًا، وَعَنْ يَمِينِي نُورًا، وَعَنْ شِمَالِي نُورًا، وَمِنْ فَوْقِي
نُورًا، وَمِنْ تَحْتِي نُورًا، وَأَعْظِمْ لِي نُورًا يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ».
(১৫) ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তরে নূর
প্রদান কর। আমার কর্ণে নূর দাও। আমার চোখে নূর দাও। আমার সম্মুখে নূর দাও। আমার
পশ্চাতে নূর দাও। আমার ডানে নূর দাও। আমার বামে নূর দাও। আমার ওপরে নূর দাও। আমার
নিচে নূর দাও। আর হে সৃষ্টিকুলের রব, আমার নূরকে তুমি
প্রশস্ত করে দাও।’[35]
16.
«يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي
عَلَى دِينِكَ».
(১৬) হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী!
তোমার দীনের ওপর আমার অন্তরকে অবিচল রাখ।[36]
[1]. আরাফ ২৩।
[2]. নূহ : ২৮।
[3]. ইবরাহীম : ৪০-৪১।
[4]. মুমতাহিনা : ৪।
[5]. মুমতাহিনা : ৫।
[6]. ত্বা-হা : ২৫-২৭।
[7]. আলে-ইমরান : ৫৩।
[8]. ইউনুস : ৮৬।
[9]. আলে-ইমরান : ১৪৭।
[10]. মুমিনুন : ১১৮।
[11]. বাকারা : ২০১।
[12]. বাকারা : ২৮৬।
[13]. আলে-ইমরান : ৮।
[14]. ফুরকান : ৭৪।
[15]. হাশর : ১০।
[16]. তাহরীম : ৮।
[17]. আলে-ইমরান : ১৬।
[18]. ইবরাহীম : ৩৫।
[19]. আরাফ : ৪৭।
[20]. তওবা : ১২৯।
[21]. হাকিম : ১/৪৯৯।
[22]. বুখারী : ৫৮৮৮।
[23]. বুখারী : ৫৮৫১।
[24]. আহমদ : ১৪৯৪৫।
[25]. আবূ দাউদ : ৪৪২৬।
[26]. আহমদ : ৩২৮৬।
[27]. মুসলিম : ৪৮৮৮।
[28]. তিরমিযী : ৩৪৮৬।
[29]. মুসলিম : ৯৩০।
[30]. তিরমিযী : ৩৩৯৭।
[31]. বুখারী : ৫৮৭১।
[32]. বুখারী : ৫৩৭৬।
[33]. মুসলিম : ৭৪৫।
[34]. তিরমিযী : ৪২৬।
[35]. মুসলিম : ১২৭৯।
[36]. তিরমিযী : ৩৪৪৪।
_________________________________________________________________________________