ড. শাইখ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া (হাফি:) এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

ড. শাইখ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া (হাফি:) এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

ড. শাইখ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ): ইলম ও দাওয়াহ এর ময়দানে এক উজ্জল নাম
▬▬▬▬◢◯◣▬▬▬▬
১৯৬৯ সালে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন ধনুসাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সরকারী মাদ্‌রাসা-ই আলীয়া ঢাকা হতে ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত কামিল (হাদীস) পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
তারপর মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাস্টার্স, এম-ফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি (আকিদাহ) অর্জন করেন।

হাদীস শাস্ত্রের পরিভাষা ও তার পরিচিতি

হাদীস (حَدِيْث) এর শাব্দিক অর্থ:


নতুন, প্রাচীন ও পুরাতন এর বিপরীত বিষয়। এ অর্থে যে সব কথা, কাজ ও বস্ত্ত পূর্বে ছিল না, এখন অস্তিত্ব লাভ করেছে তাই হাদীস। এর আরেক অর্থ হলো: কথা। ফক্বীহগণের পরিভাষায় নাবী কারীম (ﷺ) আল্লাহ্‌র রাসূল হিসেবে যা কিছু বলেছেন, যা কিছু করেছেন এবং যা কিছু বলার বা করার অনুমতি দিয়েছেন অথবা সমর্থন জানিয়েছেন তাকে হাদীস বলা হয়। কিন্তু মুহাদ্দিসগণ এর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সম্পর্কিত বর্ণনা ও তার গুণাবলী সম্পর্কিত বিবরণকেও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করেন। এ হিসেবে হাদীসকে প্রাথমিক পর্যায়ে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:

বন্যার্তদের জন্য সাহায্যের আবেদন

বন্যার্তদের জন্য সাহায্যের আবেদন
ফি সাবিলিল্লাহ এগিয়ে আসুন
সম্মানিত ভাই ও বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
সারা দেশের সাথে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। লাখো মানুষ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বৃহত্তর রংপুর এর অসংখ্য বন্যা কবলিত মানুষ আজ পানিবন্দী। ভিটে-মাটি, সহায় সম্বল সব হারিয়ে দিনের পর দিন আশ্রয়কেন্দ্রে থেকেও তাদের অনেকেই খাবার ও পানিসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ থেকে বঞ্চিত। মহান আল্লাহ্‌ আমাদেরকে একে অন্যের মাধ্যমে পরীক্ষা করছেন।
আসুন! আমাদের যতটুকুই সামর্থ্য আছে তাই নিয়েই আমরা আমাদের বিপদ ও দুর্দশাগ্রস্থ ভাই/বোন দের পাশে দাঁড়াই। বা দাঁড়ানোর চেষ্টাটুকু করি। অন্তত একটি পরিবারের দ্বায়িত্ব নেই!!!
আলহামদুলিল্লাহ্‌ "আদ-দাওয়াহ ট্রাস্ট" এর ব্যাবস্থাপনায় আমরা কজন দ্বীনি ভাই বন্যার্তদের সাহায্যের নিমিত্তে ক্ষুদ্র কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আপনাদের সহযোগিতা এবং দু'য়া একান্ত কাম্য।
প্রতিটি পরিবারের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৫০০ টাকা।
প্রতিটি প্যাকেজে থাকছে......
১. চাল - ৫ কেজি
২. আলু - ২ কেজি
৩. ডাল - ৫০০ গ্রাম
৪. তেল - ৫০০ মিলি
৫. চিড়া - ২ কেজি
৬. গুড় - ৫০০ গ্রাম
৭. স্যালাইন - ১০ টি
৮. মোমবাতি - ৫ টি
৯. ম্যাচ - ৩ টি
১০. পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট
আসুন, আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে যেভাবে সম্ভব, যতটুকু সম্ভব তাদের পাশে দাড়াই। দুমুঠো খাবার আর একটু পানির জন্য তারা আমার, আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু না পারলে অন্তত প্রতিটি নামাজে তাদের জন্য দোআ করি। আল্লাহ সহজ করুন। আমিন।
পরিশেষে রাসুলুল্লাহ (স) এর দুটি হাদিস স্বরণ করিয়ে দিতে চাই.......
মহান আল্লাহ্‌ তার প্রতি দয়া করেন না যে মানুষের প্রতি দয়া করে না। অন্য বর্ণনায় এসেছে আল্লাহ তার বান্দার সাহায্যে ততক্ষণ থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকেন।’ (সহীহ মুসলিম হা/২৬৯৯)।
অংশগ্রহণের জন্য যোগাযোগ করুন............

যোগাযোগঃ
আদ-দাওয়াহ ট্রাস্ট, রংপুর।
ওয়েবসাইটে: addawahtrust.blogspot.com
মোবাইল: ০১৭৪২৩৪৪১০৭
বিকাশ: ০১৭৪২৩৪৪১০৭ (পার্সোনাল)
বি.দ্র : অনুগ্রহ করে আপনার সাহায্য পাঠানোর পূর্বে বা পরে ফোনে কনফার্ম করবেন। 
জাঝাকুমুল্লাহু খইরন আহসানাল জাযা।

মুসলিম উম্মাহর বিপর্যয়! [ করনীয় ও বর্জনীয় ]

❒ মুসলিম উম্মাহর বিপর্যয়! [ করনীয় ও বর্জনীয় ]
--------------------------------------------------------
প্রশ্নঃ
শায়খ আপনি জানেন যে, গোটা মুসলিম উম্মাহ শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে, এই আক্রমন হতে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি?

প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেনঃ আশ শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ।
.
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তার রাসুলের উপর শান্তি ও দয়া বর্ষিত হোক।

মুসলিম উম্মাহর বর্তমান বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় !

❒ মুসলিম উম্মাহর বর্তমান বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় !
-------------------------------------------------------------------
[বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ, ইমাম নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) ইলমে হাদীছে অপরিসীম অবদান রাখার পাশাপাশি বিশুদ্ধ ইসলামের আলোকে মুসলিম জাতিকে সঠিক পথের দিশা দানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে অবস্থার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর প্রদান করেছেন। এলাহী জ্ঞানের গভীরতার কারণে তাঁর বহু বক্তব্য কালোত্তীর্ণ মর্যাদায় আসীন হয়ে রয়েছে। একথা সর্বজন বিদিত যে, বর্তমানে সারা বিশ্বে মুসলিম জাতি বিভিন্ন দিক থেকে দুর্দশার শিকার। বিশেষ করে বেশ কিছু দেশে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর চালানো নির্মম নির্যাতন এবং সে ব্যাপারে তথাকথিত বিশ্ব বিবেকের নিশ্চুপ ও অনৈতিক ভূমিকায় প্রতিটি মুসলিমের হৃদয়ে দুঃখ ও ক্ষোভের আগুন ধূমায়িত হচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় ক্ষমতা ও শক্তি না থাকায় এর প্রতিরোধ বা প্রতিকারের উপায় তারা খুঁজে পাচ্ছে না। অন্যদিকে মুসলিম শাসকরাও প্রায় সকলেই স্ব স্ব ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হীন স্বার্থে এসকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে টু’শব্দটি পর্যন্ত করছেন না। এমতাবস্থায় সাধারণ মুসলমানদের করণীয় কি হ’তে পারে, এ নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এমনই একটি প্রশ্নের জওয়াবে শায়খ আলবানী (রহঃ) যে বক্তব্য প্রদান করেছিলেন, নিম্নে তা ঈষৎ সংক্ষেপায়িত আকারে উপস্থাপন করা হ’ল- অনুবাদক]
❒ প্রশ্ন : হে শায়খ! আপনি জানেন বর্তমানে মুসলমানরা বিশ্বের সর্বত্র নির্যাতিত হচ্ছে। অথচ মুসলিম শাসকদের সে ব্যাপারে কোন মাথাব্যথা বা কোন পদক্ষেপ নেই। এক্ষণে আমাদের করণীয় কি? আমরা কি আমাদের দায়িত্ব পালন না করায় অপরাধী হচ্ছি না?

কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?

 কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?


অনুবাদকের ভূমিকা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন যে, কিয়ামত এর পূর্বে ৩০ এর মত মিথ্যুক লোক নবুওয়াতের দাবী করবে, তাঁর সে ভবিষ্যদ্বাণীর প্রমাণ আমরা দেখতে পাই গোলাম আহম্মেদ কাদিয়ানীর নবুওয়াতের দাবীর মাঝ দিয়ে। আমাদের দেশের আলেমগণ অনেক আগ থেকেই বিভিন্ন ভাবে তার দাবীর অবৈধতা প্রমাণ করেছিলেন, এবং এক সময় আলেমরা সবাই তার বিরুদ্ধে এজমা, বা ঐক্যমত পোষণ করে অমুসলিম ভন্ড নবুওয়াতের দাবীদার বলে তার ফেৎনা কে সাময়িক ভাবে রুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অনেকে তার সাথে বিতর্কে গিয়েছিলেন এবং তাকে বিতর্কেও হারিয়েছিলেন, মনে পড়ে কাজী দানভিল্লা অমৃতসরী সাহেবের সাথে তার তর্কের কথা, ভন্ড তার নবুওয়াতের সমর্থনে দলীল হিসাবে কুরআনে করিমের সূরায় ছফ-এর() শদ্ব দ্বারা দলীল নিলে কাজী সাহেব বললেন তোমার নাম তো গোলাম আহমদ এখানে বলা হয়েছে আহমদ, অর্থাৎ তুমি আহমদের গোলাম, আহমদ নও, তখন সে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ভাবে আরবী ব্যাকরণের নিয়ম অনুসারে নামের প্রথম অংশ যেখানে উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ তা ত্যাগ করে বলে উঠল, আমার নামের শেষাংশই নয়,
কাজী সাহেব দেখলেন তার সাথে তর্কে যাওয়া বৃথা, কারণ সে গোড়ামী করে কুরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা করার পরও প্রমাণ হাজির করতে না পেয়ে আরবী ভাষার ব্যাকরণের বিপরীতে গিয়ে তার নামের দ্বিতীয়াংশ  আহমদ কেই প্রকৃত নাম বলে সাব্যস্ত করতে যাচ্ছে, তখন তিনি সম্পূর্ণ তর্কের খাতিরে বললেন, যদি নামের শেষাংশই উদ্দেশ্য হয় তবে আমার নাম সানাউল্লাহ, আমার নামের শেষাংশ আল্লাহ, তা হলে আমি তোমার আল্লাহ হয়ে তোমার মত খবিসকে কক্ষনো মানুষের জন্য নবী হিসাবে পাঠাই নি।”