প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলাম
নবী করীম (স.) বলেন, যে ব্যক্তি আযান
শোনে অতঃপর সে (অসুখ বা ভয় প্রভৃতি) কোন ওযর ছাড়া নামাজে হাজির হয় না (ঘরে
পড়ে) তার নামাজ হয় না (দারাকুতনী, মেশকাত)। এই হাদীস দ্বারা মসজিদের
গুরুত্ব প্রমাণিত হয়। সুতরাং এবার মসজিদের কথা শুনুন। রাসূলুলস্নাহ
সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, আলস্নাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়
জায়গা মসজিদ এবং সবচেয়ে ঘৃণিত জায়গা হাট-বাজার (মুসলিম, মেশকাত, ৬৮ পৃঃ)।
রাসূলুলস্নাহ বলেন, যে ব্যক্তি আলস্নাহর ওয়াস্তে মসজিদ বানায় তার জন্য
আলস্নাহ জান্নাতে ঘর বানান (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুলস্নাহ (স.) আমাদেরকে মহলস্নায় মহলস্নায় মসজিদ বানাবার এবং সেগুলোকে পাকসাফ রাখবার ও খোশবু দিয়ে সুবাসিত করার হুকুম দিয়েছেন (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মেশকাত)।
মসজিদে নামাজের সওয়াব: রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, একজন লোক ঘরে নামাজ পড়লে একটি নেকী পায়, সে অক্তিয়া মসজিদে পড়লে ২৫ গুণ, জুমুআ মসজিদে পড়লে পাঁচশ গুণ, মসজিদে আকসায় পড়লে পঞ্চাশ হাজার গুণ, আমার মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে পড়লে পঞ্চাশ হাজার গুণ এবং মসজিদুল হারাম বা কাবার ঘরে পড়লে এক লাখ গুণ সওয়াব পাবে (ইবনে মাজাহ, মেশকাত)।
মসজিদে কি কি করা নিষেধ: রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, পিঁয়াজ ও রসূন (কাঁচা) খেয়ে মসজিদের কাছে এসো না। কারণ এতে ফেরেশতারা কষ্ট পায় (বুখারী, মুসলিম)। তিনি (স.) বলেন, মসজিদে থুথু ফেল না (ঐ)। যদি কোন নামাজীকে নামাজ পড়া অবস্থায় থুথু ফেলতে হয় তাহলে সে যেন তার সামনে না ফেলে। কারণ সে ঐ সময় আলস্নাহর সাথে চুপে চুপে কথা বলে এবং সে যেন ডানদিকেও না ফেলে কারণ তার ডানদিকে ফেরেশতা থাকে। অতএব হয় সে বামদিকে ফেলবে কিংবা পায়ের নীচে ফেলবে। পরে সেটাকে মুছে দেবে (ঐ)। তিনি (স.) মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করতে, বেচাকেনা করতে ও জুমুআর দিনে নামাযের আগে গোল হয়ে বসে চক্র বানাতে নিষেধ করেছেন (আবু দাউদ, তিরমিযী)। তিনি বলেন, এমন একটা যুগ আসবে যখন মানুষ মসজিদে বসে দুনিয়ার কথা বলবে, তখন তুমি তাদের সাথে বসবে না (বায়হাকী)। তিনি মসজিদে কেসাস (খুনের প্রতিশোধ) নিতে এবং হদ (শরীয়াতী শাস্তি) দিতে নিষেধ করেছেন (আবু দাউদ, মেশকাত)।
সাত জায়গায় নামাজ পড়তে নিষেধ: রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এই সাত জায়গায় নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন। যথা ১. জঞ্জাল ফেলার জায়গায় ২. যবেহ করার জায়গায় ৩. কবরখানায় ৪. রাস্তায় ৫. গোসলখানায় ৬. উট বাধার জায়গায় ৭. কা'বার ছাদের উপর (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মেশকাত)। রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, গোরস্থান, গোসলখানা ও অপবিত্র জায়গা ছাড়া সমস্ত জমিনটাই মসজিদ (আবু দাউদ, তিরমিযী, দারেমী মেশকাত)।
ঘরেও মসজিদ বানাও: রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, তোমাদের কিছু নামাজ (অর্থাৎ সুন্নত ও নফল নামাজগুলো) নিজেদের ঘরে পড় এবং (ঘরে ঐসব নামাজ না পড়ে) সেটাকে কবরে পরিণত করো না (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত, ৬৯ পৃঃ)।
যায়দ ইবনে সাবেত (রা.) বলেন, রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম তাঁর ঘরে নামাজের জন্য একটি খাস হুজরা করে রেখেছিলেন। অনেক লোক তাঁর কাছে আসতো এবং তাতে নামাজ পড়তো। তিনি (সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম) বলেন, ফরয ছাড়া পুরুষের অন্যান্য সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে পড়া উত্তম (বুখারী, মুসলিম, বুলুগুল মারাম)।
মসজিদে ঢোকার ও বের হবার দোআ: রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে ঢুকবে তখন এই দোআ পড়বে, আলস্নাহুম্মাফ তাহ্লী আব-ওয়া-বা রহমাতিকা। অর্থাৎ হে আলস্নাহ! তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দরজাগুলো খুলে দাও। যখন বের হবে তখন এই দোআ পড়বে, আলস্নাহুম্মা ইন্নী আস আলুকা মিন ফাদলিকা। অর্থাৎ হে আলস্নাহ আমি তোমার কাছে তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি (মুসলিম, মেশকাত)। মসজিদে ঢোকার সময় নবী সালস্নালস্নাইহি ওয়া সালস্নাম প্রথমে ডান পা রাখতেন (তাবারানী)। বের হবার সময় প্রথমে বাম পা বের করতে হবে (হাকেম, ১ম খন্ড ২১৮)।
মসজিদে যাবার ও ঢোকার পর করণীয়: রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘর থেকে অযু করে ফরজ নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে যায় সে ব্যক্তি একজন এহরামওয়ালা হজ্ব সমাধাকারীর নেকী পায় (আহমাদ, আবু দাউদ, মেশকাত)। রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, যখন তোমরা কেউ মসজিদে ঢুকবে তখন বসার আগে দু'রাকআত নামাজ পড়ে নেবে (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)। রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, যখন তোমরা জান্নাতের বাগানে ঘোরাফেরা করবে তখন কিছু ফলমূল খেয়ে নিও। সাহাবীরা বললেন, জান্নাতের বাগান কোনটা? তিনি বললেন, মসজিদগুলো। তাঁরা বললেন, তার ফল খাওয়া কেমন? তিনি বললেন, এই তসবীগুলো পড়া, সুবহানালস্নাহ, আল হামদুলিলস্নাহ, অলা-ইলাহা, ইলস্নালস্নাহু আলস্নাহু আকবার (তিরমিযী, মেশকাত)।
তরজমা: আলস্নাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আলস্নাহর, আলস্নাহ ছাড়া আর কেউ এবাদতের যোগ্য নয় এবং আলস্নাহ সবচেয়ে বড়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাআতের বিবরণ: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মোট ১৭ রাকআত ১. ফজর ২ রাকাআত ২. যোহর ৪ রাকাআত ৩. আসর ৪ রাকাআত ৪. মাগরিব ৩ রাকাআত ৫. এশা ৪ রাকাআত (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)।
সুন্নাত নামাজ বার রাকাআত রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, যে ব্যক্তি দিনরাতে ১২ রাকাআত নামাজ পড়ে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হয়। রাকআতগুলো এই- যোহরের আগে ৪ রাকাআত এবং পরে ২ রাকআত, মাগরিবের পরে ২ রাকআত, এশার পরে ২ রাকআত ও ফজরের আগে ২ রাকআত (তিরমিযী, মেশকাত)। ফজরের সুন্নত আয়েশা (রা.) বলেন, ফজরের ২ রাকআত সুন্নতের চেয়ে আর কোন নফল নামাজের প্রতি অত গুরুত্ব দিতেন না (বুখারী, মুসলিম)। রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, ফজরের ২ রাকআত সুন্নত দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে সে সবের চেয়ে বেশি উত্তম ও শ্রেয় (মুসলিম, মেশকাত)।
ফজরের সুন্নতের পর ডান কাতে শোয়া সুন্নত নামাজ কেন পড়তে হবে? কোরআনের প্রায় ৮২ জায়গায় আলস্নাহতায়ালা নামাজের কথা বলেছেন এবং মহানবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এই নামাজের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি তাকিদ করেছেন। রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, ইসলামের বুনিয়াদ পাঁচটি জিনিসের উপর তা হলো ১. এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আলস্নাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ নেই এবং মোহাম্মদ (স.) তাঁর দাস ও প্রেরিত দূত। ২. নামাজ কায়েম করা ৩. যাকাত দেয়া ৪. রমযানের রোযা রাখা ৫. হজ্ব করা (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)।
তিনি (স.) বলেন, আলস্নাহর দাস ও অবিশ্বাসীদের কাজের মধ্যে পার্থক্য হল নামাজ না পড়া (মুসলিম)। মুমিন ও অংশিবাদীদের মধ্যে তফাৎ হলো নামাজ ছেড়ে দেওয়া (মুসলিম)। আমাদের ও তাদের মধ্যে যে অঙ্গীকার আছে তা হল নামাজ। অতএব যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয় সে নিশ্চয়ই অস্বীকার করে (আহমাদ, তিরমিযী, নাসায়ী)। যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয় সে ইসলামী মিলস্নাত থেকে বেরিয়ে যায় (তাবারানী)। যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয় সে অংশিবাদী হয়ে যায় (তাবারানী)।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুলস্নাহ (স.) আমাদেরকে মহলস্নায় মহলস্নায় মসজিদ বানাবার এবং সেগুলোকে পাকসাফ রাখবার ও খোশবু দিয়ে সুবাসিত করার হুকুম দিয়েছেন (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মেশকাত)।
মসজিদে নামাজের সওয়াব: রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, একজন লোক ঘরে নামাজ পড়লে একটি নেকী পায়, সে অক্তিয়া মসজিদে পড়লে ২৫ গুণ, জুমুআ মসজিদে পড়লে পাঁচশ গুণ, মসজিদে আকসায় পড়লে পঞ্চাশ হাজার গুণ, আমার মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে পড়লে পঞ্চাশ হাজার গুণ এবং মসজিদুল হারাম বা কাবার ঘরে পড়লে এক লাখ গুণ সওয়াব পাবে (ইবনে মাজাহ, মেশকাত)।
মসজিদে কি কি করা নিষেধ: রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, পিঁয়াজ ও রসূন (কাঁচা) খেয়ে মসজিদের কাছে এসো না। কারণ এতে ফেরেশতারা কষ্ট পায় (বুখারী, মুসলিম)। তিনি (স.) বলেন, মসজিদে থুথু ফেল না (ঐ)। যদি কোন নামাজীকে নামাজ পড়া অবস্থায় থুথু ফেলতে হয় তাহলে সে যেন তার সামনে না ফেলে। কারণ সে ঐ সময় আলস্নাহর সাথে চুপে চুপে কথা বলে এবং সে যেন ডানদিকেও না ফেলে কারণ তার ডানদিকে ফেরেশতা থাকে। অতএব হয় সে বামদিকে ফেলবে কিংবা পায়ের নীচে ফেলবে। পরে সেটাকে মুছে দেবে (ঐ)। তিনি (স.) মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করতে, বেচাকেনা করতে ও জুমুআর দিনে নামাযের আগে গোল হয়ে বসে চক্র বানাতে নিষেধ করেছেন (আবু দাউদ, তিরমিযী)। তিনি বলেন, এমন একটা যুগ আসবে যখন মানুষ মসজিদে বসে দুনিয়ার কথা বলবে, তখন তুমি তাদের সাথে বসবে না (বায়হাকী)। তিনি মসজিদে কেসাস (খুনের প্রতিশোধ) নিতে এবং হদ (শরীয়াতী শাস্তি) দিতে নিষেধ করেছেন (আবু দাউদ, মেশকাত)।
সাত জায়গায় নামাজ পড়তে নিষেধ: রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এই সাত জায়গায় নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন। যথা ১. জঞ্জাল ফেলার জায়গায় ২. যবেহ করার জায়গায় ৩. কবরখানায় ৪. রাস্তায় ৫. গোসলখানায় ৬. উট বাধার জায়গায় ৭. কা'বার ছাদের উপর (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মেশকাত)। রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, গোরস্থান, গোসলখানা ও অপবিত্র জায়গা ছাড়া সমস্ত জমিনটাই মসজিদ (আবু দাউদ, তিরমিযী, দারেমী মেশকাত)।
ঘরেও মসজিদ বানাও: রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, তোমাদের কিছু নামাজ (অর্থাৎ সুন্নত ও নফল নামাজগুলো) নিজেদের ঘরে পড় এবং (ঘরে ঐসব নামাজ না পড়ে) সেটাকে কবরে পরিণত করো না (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত, ৬৯ পৃঃ)।
যায়দ ইবনে সাবেত (রা.) বলেন, রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম তাঁর ঘরে নামাজের জন্য একটি খাস হুজরা করে রেখেছিলেন। অনেক লোক তাঁর কাছে আসতো এবং তাতে নামাজ পড়তো। তিনি (সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম) বলেন, ফরয ছাড়া পুরুষের অন্যান্য সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে পড়া উত্তম (বুখারী, মুসলিম, বুলুগুল মারাম)।
মসজিদে ঢোকার ও বের হবার দোআ: রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে ঢুকবে তখন এই দোআ পড়বে, আলস্নাহুম্মাফ তাহ্লী আব-ওয়া-বা রহমাতিকা। অর্থাৎ হে আলস্নাহ! তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দরজাগুলো খুলে দাও। যখন বের হবে তখন এই দোআ পড়বে, আলস্নাহুম্মা ইন্নী আস আলুকা মিন ফাদলিকা। অর্থাৎ হে আলস্নাহ আমি তোমার কাছে তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি (মুসলিম, মেশকাত)। মসজিদে ঢোকার সময় নবী সালস্নালস্নাইহি ওয়া সালস্নাম প্রথমে ডান পা রাখতেন (তাবারানী)। বের হবার সময় প্রথমে বাম পা বের করতে হবে (হাকেম, ১ম খন্ড ২১৮)।
মসজিদে যাবার ও ঢোকার পর করণীয়: রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘর থেকে অযু করে ফরজ নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে যায় সে ব্যক্তি একজন এহরামওয়ালা হজ্ব সমাধাকারীর নেকী পায় (আহমাদ, আবু দাউদ, মেশকাত)। রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, যখন তোমরা কেউ মসজিদে ঢুকবে তখন বসার আগে দু'রাকআত নামাজ পড়ে নেবে (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)। রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, যখন তোমরা জান্নাতের বাগানে ঘোরাফেরা করবে তখন কিছু ফলমূল খেয়ে নিও। সাহাবীরা বললেন, জান্নাতের বাগান কোনটা? তিনি বললেন, মসজিদগুলো। তাঁরা বললেন, তার ফল খাওয়া কেমন? তিনি বললেন, এই তসবীগুলো পড়া, সুবহানালস্নাহ, আল হামদুলিলস্নাহ, অলা-ইলাহা, ইলস্নালস্নাহু আলস্নাহু আকবার (তিরমিযী, মেশকাত)।
তরজমা: আলস্নাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আলস্নাহর, আলস্নাহ ছাড়া আর কেউ এবাদতের যোগ্য নয় এবং আলস্নাহ সবচেয়ে বড়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাআতের বিবরণ: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মোট ১৭ রাকআত ১. ফজর ২ রাকাআত ২. যোহর ৪ রাকাআত ৩. আসর ৪ রাকাআত ৪. মাগরিব ৩ রাকাআত ৫. এশা ৪ রাকাআত (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)।
সুন্নাত নামাজ বার রাকাআত রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, যে ব্যক্তি দিনরাতে ১২ রাকাআত নামাজ পড়ে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হয়। রাকআতগুলো এই- যোহরের আগে ৪ রাকাআত এবং পরে ২ রাকআত, মাগরিবের পরে ২ রাকআত, এশার পরে ২ রাকআত ও ফজরের আগে ২ রাকআত (তিরমিযী, মেশকাত)। ফজরের সুন্নত আয়েশা (রা.) বলেন, ফজরের ২ রাকআত সুন্নতের চেয়ে আর কোন নফল নামাজের প্রতি অত গুরুত্ব দিতেন না (বুখারী, মুসলিম)। রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, ফজরের ২ রাকআত সুন্নত দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে সে সবের চেয়ে বেশি উত্তম ও শ্রেয় (মুসলিম, মেশকাত)।
ফজরের সুন্নতের পর ডান কাতে শোয়া সুন্নত নামাজ কেন পড়তে হবে? কোরআনের প্রায় ৮২ জায়গায় আলস্নাহতায়ালা নামাজের কথা বলেছেন এবং মহানবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এই নামাজের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি তাকিদ করেছেন। রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, ইসলামের বুনিয়াদ পাঁচটি জিনিসের উপর তা হলো ১. এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আলস্নাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ নেই এবং মোহাম্মদ (স.) তাঁর দাস ও প্রেরিত দূত। ২. নামাজ কায়েম করা ৩. যাকাত দেয়া ৪. রমযানের রোযা রাখা ৫. হজ্ব করা (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)।
তিনি (স.) বলেন, আলস্নাহর দাস ও অবিশ্বাসীদের কাজের মধ্যে পার্থক্য হল নামাজ না পড়া (মুসলিম)। মুমিন ও অংশিবাদীদের মধ্যে তফাৎ হলো নামাজ ছেড়ে দেওয়া (মুসলিম)। আমাদের ও তাদের মধ্যে যে অঙ্গীকার আছে তা হল নামাজ। অতএব যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয় সে নিশ্চয়ই অস্বীকার করে (আহমাদ, তিরমিযী, নাসায়ী)। যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয় সে ইসলামী মিলস্নাত থেকে বেরিয়ে যায় (তাবারানী)। যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয় সে অংশিবাদী হয়ে যায় (তাবারানী)।