পবিত্র কুরআন ইসলামী শরীআতের প্রধানতম উৎস। আর হাদীস হচ্ছে ইসলামী শরীআতের দ্বিতীয় উৎস। প্রকৃতপক্ষে হাদীস কুরআন মজীদেরই ব্যাখ্যা। রিজাল শাস্ত্ৰ মুসলমানদের আবিষ্কৃত ইলমে হাদীসের একটি বিশেষ শাখার নাম। এর মাধ্যমে হাদীস বর্ণনাকারীগণের নাম ও পরিচয় ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া যায়, তাই একে ‘আসমাউর রিজাল’ বলা হয়। একটি হাদীসে দু’টি অংশ থাকে- সনদ ও মতন।
আর সনদ বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সনদে উল্লিখিত সাহাবা, তাবিঈ তথা সকল বর্ণনাকারীর সার্বিক অবস্থা জ্ঞাত
হওয়া যায়। এ কারণে একে হাদীস শাস্ত্রের অর্ধেক বলা হয়ে থাকে। এছাড়া
ইলমে হাদীসের যত শাখা-প্ৰশাখা রয়েছে, তার মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো
রিজাল শাস্ত্র।
জাল হাদীস মূলত রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর
হাদীস নয়; এটি মানুষের মনগড়া কথা। মুহাদিসগণ একে আল-মাওযু নামে অভিহিত
করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর নামে কেউ ইচ্ছাকৃত মিথ্যা কথা বললে তার
জাহান্নাম ছাড়া গত্যন্তর নেই।
এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সা) নিজেই বলেছেন :
“আমার নামে ইচ্ছাপূর্বক কেউ কোন মিথ্যা কথা বললে তার স্থান জাহান্নামে।”
রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সাহাবীগণ তাঁর নামে
জাল হাদীস বর্ণনা করা তো দূরের কথা, জানা সহীহ্ হাদীসও বর্ণনা করতে অত্যন্ত
সতর্কতা অবলম্বন করতেন। এরূপ সতর্কতা অবলম্বনের পরেও কখন থেকে কিভাবে সহীহ
হাদীসের সঙ্গে জাল হাদীসের সংমিশ্রণ ঘটলো এবং মুহাদ্দিসগণ কিভাবে এর
প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে হাদীসের বিশুদ্ধতা রক্ষা করলেন, এ সম্পর্কে
ব্যাপক গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশিষ্ট গবেষক ড. মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন
ব্যাপক গবেষণা করে ‘রিজাল শাস্ত্র ও জাল হাদীসের ইতিবৃত্ত’ শিরোনামের আলোচ্য গ্ৰন্থখানা রচনা করেছেন। এটি প্রকাশ করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
এক নজরে বইটি :
রিজাল শাস্ত্র ও জাল হাদীসের ইতিবৃত্ত
রচনায় : ড. মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন
প্রকাশনায় : ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ
পৃষ্ঠা : ৪৬৮
সাইজ : ১৬ মেগাবাইট
ডাউনলোড করতে নিচের যেকোন একটিতে ক্লিক করুন
(For Mobile User)