খ্রিস্টানদের ঈশ্বর মুখাপেক্ষী
মুসলিমদের আল্লাহ অমুখাপেক্ষী !
মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম আজাদ
খ্রিস্টানদের ঈশ্বর মুখাপেক্ষীঃ
বাইবেলের বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, খ্রিস্টানদের ঈশ্বর/মাবুদ নিজের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য তার আশেপাশে যারা থাকে তাদের পরামর্শের মুখাপেক্ষী! কিভাবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের করবেন তা নির্ধারণ করতে না পেরে খ্রিস্টানদের ঈশ্বর তার আশেপাশে যারা থাকে তাদের কাছে পরামর্শের বা মতামত চান!
বাইবেলের বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, খ্রিস্টানদের ঈশ্বর/মাবুদ/god মুখাপেক্ষী । যে ঈশ্বর অন্যের মুখাপেক্ষী সে কি ভাবে মাবুদ/ঈশ্বর হতে পারেন? যিনি ঈশ্বর/মাবুদ/god হবেন তিনি হবেন অমুখাপেক্ষী । সকল সৃষ্টি হবে তার মুখাপেক্ষী ।
মুসলিমদের আল্লাহ অমুখাপেক্ষীঃ
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। সূরা আল-ইখলাস' ২ আয়াত ।
অর্থাৎ, সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তাঁর মুখাপেক্ষীহীনতার গুণ সবদিক দিয়েই পরিপূর্ণ৷ সারা দুনিয়া তাঁর মুখাপেক্ষী তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন৷ দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিস নিজের অস্তিত্ব স্থায়ীত্ব এবং প্রয়োজন ও অভাব পূরণের জন্য সচেতন ও অবচেতনভাবে তাঁরই শরণাপন্ন হয়৷ তিনিই তাদের সবার প্রয়োজন পূর্ণ করেন৷ তিনি অমর, অজয়, একক, চিস্থায়ী তিনি রিযিক দেন-নেন না৷ তিনি একক-যৌগিক ও মিশ্র নন৷ কাজেই বিভক্তি ও বিশ্লেষণযোগ্য নন৷ সমগ্র বিশ্ব-জাহানের ওপর তাঁর নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত৷ তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ৷ তাই তিনি "সামাদ" নন, এবং "আসসামাদ ৷" অর্থাৎ তিনিই একমাত্র সত্তা যিনি মূলত সামাদ তথা অমুখাপেক্ষিতার গুণাবলীর সাথে পুরোপুরি সংযুক্ত৷
আবার যেহেতু তিনি "আসসামাদ" তাই তাঁর একাকী ও স্বজনবিহীন হওয়া অপরির্হায৷ কারণ এ ধরনের সত্তা একজনই হতে পারেন, যিনি কারো কাছে নিজের অভাব পূরণের জন্য হাত পাতেন না, বরং সবাই নিজেদের অভাব পূরণের জন্য তাঁর মুখাপেক্ষী হয়৷ দুই বা তার চেয়ে বেশী সত্তা সবার প্রতি অমুখাপেক্ষী ও অনির্ভরশীল এবং সবার প্রয়োজন পূরণকারী হতে পারে না৷ তাছাড়া তাঁর "আসসামাদ" হবার কারণে তাঁর একক মাবুদ হবার ব্যাপারটিও অপরিহার্য হয়ে পড়ে৷ কারণ মানুষ যার মুখাপেক্ষী হয় তারই ইবাদাত করে৷ আবার তিনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই, "আসসামাদ" হবার কারণে এটাও অপরিহার্য হয়ে পড়ে৷ কারণ, যে প্রয়োজন পূরণ করার ক্ষমতা ও সামর্থই রাখে না । বরং অন্যের মুখাপেক্ষী হয়, কোন সচেতন ব্যক্তি তার ইবাদাত করতে পারে না৷