খ্রিষ্টান মিশনারীদের অপপ্রচারঃ যে কৌশলে তারা সরলমনা মুসলিমদের ধর্মান্তরিত করে

খ্রিষ্টান মিশনারীদের অপপ্রচারঃ 
যে কৌশলে তারা সরলমনা মুসলিমদের ধর্মান্তরিত করে

‘গুনাহ্‌গারদের জন্য জান্নাতে যাওয়ার পথ’।
একটি বইয়ের নাম। দেখে মনে হয় আগা-গোড়া ইসলামিক বই। বই খুললেও দেখা যায়, জায়গায় জায়গায় পবিত্র কুরআনের আয়াত রয়েছে। মূসা (আ), ঈসা (আ) এর মতো সম্মানিত নবীদের কথা রয়েছে। কিন্তু পড়তে পড়তে এক জায়গায় এসে খটকা লাগবে। তাওরাত-ইঞ্জীল মানার নামে বিকৃত এক আকিদার কথা বলা হয়েছে। লেখা আছে, ঈসা (আ) নাকি আমাদের পাপের জন্য মারা গেছেন। এ বিশ্বাস নিজের মধ্যে রাখতে পারলেই মিলবে নাজাত। গোনাহ থেকে মুক্তি।


শুধু একটি বই নয় এমন অসংখ্য বই খ্রিষ্টান মিশনারীরা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিয়েছে। নিজেদের বিকৃত ধর্মগ্রন্থকে ‘ইঞ্জিল শরীফ’ নাম দিয়ে তারা অনেক শিক্ষিত মানুষকেও ধোঁকা দিচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও পার্বত্য চট্রগ্রামের সহজ-সরল মানুষগুলো তাদের প্রধান টার্গেট। আর এ কাজে তারা অনেক সাফল্যও অর্জন করেছে। এসব জায়গায় গেলে দেখা মেলে এমন সব গ্রামের যেখানে পুরো গ্রামবাসী মুরতাদ হয়ে খ্রিষ্টান হয়ে গিয়েছে।


খ্রিষ্টান মিশনারীরা দাওয়াতের ক্ষেত্রে বেশ কৌশল অবলম্বন করে। তারা বলে, “দেখো! তোমাদের মতোই তো আমরা আল্লাহ-নবীতে বিশ্বাস করি। ইব্রাহীম, মূসা, ঈসা- এদেরকে সম্মান করি। আমাদের কিতাবে উনাদের কথা লেখা আছে। এই যে আমাদের কিতাব ‘ইঞ্জিল শরীফ’। আর পুরোটা পড়তে চাইলে এই যে ‘কিতাবুল মোকাদ্দেস’। কুরআনেও কিন্তু ইঞ্জিলকে মানার কথা বলা হয়েছে। আমরা ইঞ্জিলকে মানি। আমরা হচ্ছি ‘ঈসায়ী মুসলিম’।


গ্রামের সহজ-সরল মানুষ তো বটেই, অনেক স্বল্প-শিক্ষিত ইমামরাও তাদের কথায় ধোঁকা খেয়ে যায়। উনাদের কথা বাদ দেই, শহরের অনেক হাইলি এডুকেটেড সো-কল্ড মুসলিমরা বিশ্বাস করে তাদের বলা বিকৃত ইঞ্জিল শরীফ হচ্ছে সেই ইঞ্জিল যা ঈসা (আ) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল।
এই ওয়েবসাইটটিতে একবার ঘুরে আসুনঃ http://www.jibonerkotha.com/। একজন সাধারন মানুষ হয়তো ভাববে এটা কোন মুসলিমদের ওয়েবসাইট। যারা ঈসা মাসীহ (আ) এর জীবনাদর্শ প্রচার করছে। অথচ এটি পুরোটাই খ্রিষ্টান মিশনারীদের ওয়েবসাইট।


ইহুদী-খ্রিষ্টানদের ধর্মগ্রন্থ, সেটা ‘কিতাবুল মোকাদ্দেস’ বা ‘The Holy Bible’- যাই হোক না কেন, তা যে বিকৃত এবং বানোয়াট তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হবার প্রয়োজন নেই। একটু নিরেপেক্ষভাবে বাইবেল পড়লেই অসংখ্য বিপরীতধর্মী কথা ও ভুল চোখে পড়বে। তবে তারা যে দাবী করে, ‘আমরাও তোমাদের মতো আল্লাহ ও নবী-রাসূলে বিশ্বাস করি কিংবা তোমাদের মূসা-ঈসা আর আমাদের মূসা-ঈসা তো একই ব্যক্তি। তাদের বৈশিষ্ট্য তো একইরকম।’- এই ব্যাপারটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন। কারণ গ্রামের অশিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত এমনকি শহরের বহু শিক্ষিত মানুষও এই ধারণা পোষণ করে। অবশ্য তাদের দোষ দেয়ার কিছু নেই। অনেক আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলেমও(!) ইন্টারফেইথের নামে জেনে হোক আর না জেনে হোক, এসব অসত্য কথাকে প্রমোট করেছেন।
আমার এতো কথা বলার উদ্দেশ্য কী? ইহুদি-খ্রিষ্টানরা কি ইব্রাহিম (আ), মূসা (আ)- কে নবী হিসেবে বিশ্বাস করে না? তারা কি স্রষ্টায় বিশ্বাস করে না? হ্যাঁ করে। তো আমরাও কি স্রষ্টায় বিশ্বাস করি না? তাদেরকে (আ) রাসূল হিসেবে বিশ্বাস করি না? হ্যাঁ করি। কিন্তু আমরা তাদের মূসা-ঈসা’তে বিশ্বাস করি না। তাদের ধর্মগ্রন্থে আল্লাহ তায়ালার সম্মানিত রাসূলদের নামে যেসব কথা বলা আছে, আমরা সেগুলো ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। শুধু তাই না, তারা স্রষ্টার সাথে এমন বৈশিষ্ট্য জুড়ে দেয়, যা থেকে আসমান ও জমীনের রব আল্লাহ তায়ালা পবিত্র। এ লেখায় তেমনই কিছু ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব (চাইলে শুধু এই টপিকেই একটি বই লেখা যায়)। যাতে সাধারণ মানুষরা খ্রিষ্টানদের মিথ্যা কথা দ্বারা প্রভাবিত না হন। নিজেদের ঈমান না হারিয়ে ফেলেন।
God / ঈশ্বর
১) ঈশ্বর বিশ্রাম নেনঃ বাইবেলে সৃষ্টি প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে এভাবে-
“এইভাবে আসমান ও জমীন এবং তাদের মধ্যেকার সব কিছু তৈরী করা শেষ হলো। সপ্তম দিনে তিনি কাজ শেষ করলেন এবং বিশ্রাম গ্রহণ করলেন।” [Holy Bible, Genesis (আদিপুস্তক) 2:2]
অর্থাৎ, বাইবেল বলছে, আসমান ও জমীন সৃষ্টি করতে গিয়ে মহান ঈশ্বর ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। তাই তাকে বিশ্রাম নিতে হয়েছিল। অথচ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“আমি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এগুলির মধ্যস্থিত সব কিছু সৃষ্টি করেছি ছয় দিনে। আমাকে কোন ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।” [আল কুরআন, সূরা ক্বা-ফ ৫০:৩৮]
২) ঈশ্বর অনুশোচনায় ভোগেনঃ বাইবেলের ঈশ্বর ভেবেছিলেন মানুষ সৃষ্টি করে তিনি ভুল করেছিলেন। যার কারণে তিনি অনুশোচনায় ভুগেছিলেন-
“পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করার জন্য প্রভুর অনুশোচনা হলো। তাঁর হৃদয় বেদনায় পূর্ণ হলো।” [Holy Bible, Genesis (আদিপুস্তক) 6:7]
তবে আমাদের মালিক আল্লাহ তায়ালা প্রজ্ঞাময়। তিনি ভূত-ভবিষ্যৎ সবকিছুই জানেন। তাঁর সকল কাজই নিখুঁত-
“প্রশংসা আল্লাহর যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছুরই মালিক। আখিরাতেও প্রশংসা তাঁরই। তিনি প্রজ্ঞাময়। সব বিষয়ে অবহিত।” [আল কুরআন, সূরা সাবা ৩৪:১]
৩) ঈশ্বর নিদ্রা গ্রহণ করেনঃ বাইবেলে বর্ণিত ঈশ্বর কখনো কখনো ঘুমিয়ে পড়েন। তার খবর থাকে না। ডাকলে সাড়া পাওয়া যায় না।
“হে মালিক, জাগো, কেন তুমি ঘুমাচ্ছো?
ওঠো, চিরকালের জন্য আমাদের ত্যাগ করো না।” [Holy Bible, Book of Psalms (গীতসংহিতা) 44:23]
কিন্তু আমাদের রব মহান আল্লাহ তায়ালা কখনো ঘুমান না-
“আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না।” [আল কুরআন, সূরা বাকারা ২:২৫৫]
৪) ঈশ্বর মানুষের সাথে বক্সিং করেন এবং হেরে যানঃ বাইবেলের ঈশ্বর, নবী ইয়াকুব (আ) এর সাথে যুদ্ধ করেন। অনেক চেষ্টা করার পরেও হেরে যান।
“লোকটি বললেন, “তুমি ঈশ্বর ও মানুষের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছ বলে তোমার নাম আর ইয়াকুব থাকবে না, তোমার নাম হবে ইসরাইল।” [Holy Bible, Genesis (আদিপুস্তক) 32:28]
আমাদের মালিক আল্লাহ তায়ালা সর্বশক্তিমান। পুরো পৃথিবী এক হলেও তাঁর সামনে দাঁড়াতে পারবে না।
“তারা আল্লাহকে যথাযথ মর্যাদা দেয় না। নিশ্চয় আল্লাহ মহাক্ষমতাবান। মহাপরাক্রমশালী।” [আল কুরআন, সূরা হাজ্জ্ ২২:৭৪]
৫) ঈশ্বরের উদ্ভট বর্ণনাঃ বাইবেলে বলা আছে, ঈশ্বরের নাক থেকে ধোঁয়া বের হয়। তাঁর বহন হচ্ছে চেরুব (কম বয়সী ডানাওয়ালা মেয়ে)।
তাঁর নাক থেকে ধোঁয়া উপরে উঠলো। তাঁর মুখ থেকে ধ্বংসকারী আগুন বেরিয়ে আসলো। তাঁর মুখের আগুনে কয়লা জ্বলে উঠলো। তিনি আকাশ নুইয়ে নেমে আসলেন। তাঁর পায়ের নীচে ছিল ঘন কালো মেঘ। তিনি কারুবীতে (চেরুবে) চড়ে উড়ে আসলেন। দেখা দিলেন বাতাসের ডানায় ভর করে।” [Holy Bible, 2 Samuel (২ শমূয়েল) 22:9-11]
মহান আল্লাহ তায়ালা এসব নোংরা বিষয়ের সাথে সম্পর্কহীন-
“তারা যা বলে তা হতে আল্লাহ পবিত্র, মহান।” [আল কুরআন, সূরা আস-সাফফাত ৩৭:১৫৯]
ছবিঃ ভ্যাটিকান সিটিতে অবস্থিত চেরুবের মূর্তি। ঈশ্বর নাকি এর উপর চড়ে ঘুরে বেরান!
নবী-রাসূলদের ব্যাপারে ধারণাঃ
এটা সত্যি যে, ইহুদি-খ্রিষ্টান ও আমরা মুসলিমরা নবী-রাসূলদের ধারণায় বিশ্বাস করি। তবে আমাদের আকিদার সাথে তাদের আকিদায় ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, নবী-রাসূলগণ নিষ্পাপ (মাসুম) ছিলেন। হ্যাঁ! তাঁদের দ্বারা ছোট-খাট ভুল হতে পারে। তবে তাঁরা কখনোই বড় কোন গুনাহে লিপ্ত হবেন না। যেমনঃ চুরি করা, ব্যভিচার করা। এটা কীভাবে সম্ভব যারা মানবজাতিকে সরল পথের দিকে আহ্বান করেছেন, তারা এসব বড় গুনাহে লিপ্ত হবেন? [IslamQA: Did the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) commit sin? https://islamqa.info/en/7208/]
ইহুদী-খ্রিষ্টানরা বিশ্বাস করে নবী-রাসূলরা কাবীরা গুনাহ করতে পারেন। এমনকি তাঁরা এমন সব গুনাহে লিপ্ত হতে পারেন, যা হয়তো আমাদের মতো গোনাহগাররাও চিন্তা করতে পারে না।
Noah / নূহ (আ)
বাইবেলে বলা আছে, একবার নূহ (আ) মদ খেয়ে মাতাল হয়ে সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় ছিলেন। তাঁর ছেলে হাম এ অবস্থা দেখে তার ভাইদের জানান। পরে এ কথা জানতে পেরে নূহ (আ) হামের ছেলে কেনানকে অভিশাপ দেন। কী অদ্ভুত তাই না! একে তো নিজেই মদ খেয়ে উলঙ্গ হয়ে থাকেন। তার উপর যে ছেলে ভুল করেছে তাকে অভিশাপ না দিয়ে নিজের নাতনীকে অভিশাপ দিয়ে বসলেন তিনি-
“নূহ্‌ চাষ-আবাদ করতে শুরু করলেন এবং একটা আঙ্গুর ক্ষেত করলেন। তিনি একদিন আঙ্গুর-রস খেয়ে মাতাল হলেন এবং নিজের তাবুর মধ্যে উলঙ্গ হয়ে পড়ে রইলেন। কেনানের পিতা হাম তাঁর পিতার এই অবস্থা দেখলেন এবং বাইরে গিয়ে তাঁর দুই ভাইকে তা জানিয়ে দিলেন। কিন্তু সাম আর ইয়াফস নিজেদের কাঁধের উপরে একটা কাপড় নিলেন এবং পিছু হেঁটে গিয়ে তাঁদের পিতাকে ঢেকে দিয়ে আসলেন।
তাঁদের মুখ উল্টাদিকে ফিরানো ছিল বলে পিতার উলঙ্গ অবস্থা তাঁদের চোখে পড়ল না। নেশা কেটে গেলে পর নূহ্‌ তাঁর ছোট ছেলের ব্যবহারের কথা জানতে পারলেন। তখন তিনি বললেন, “কেনানের উপর বদদোয়া পড়ুক। সে তার ভাইদের সবচেয়ে নীচু ধরনের গোলাম হোক।” [Holy Bible, Genesis (আদিপুস্তক) 9:20-25]
কুরআন নূহ (আ) কে বর্ণিত করছে একজন অনুগত বান্দা হিসবে। যিনি আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেছিলেন। নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেছিলেন-
“(নূহ বলল) তারপরও যদি বিমুখ হও, তবে আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার বিনিময় রয়েছে আল্লাহর দায়িত্বে। আর আমার প্রতি নির্দেশ রয়েছে আনুগত্য অবলম্বন করার।” [আল কুরআন, সূরা ইউনুস ১০:৭২]
Lot / লূত (আ)
বাইবেলে বর্ণিত আছে, লূত (আ) নিজের মেয়ের সাথে যৌনাচারে (অজাচার) লিপ্ত হয়েছিলেন-
তারা তাদের পিতাকে আঙ্গুর-রস খাইয়ে মাতাল করলো। তারপর বড় মেয়েটি তার পিতার সঙ্গে শুতে গেলো। কিন্তু কখন সে শুলো আর কখনই বা উঠে গেল লূত তা টেরও পেলেন না। পরের দিন বড়টি ছোটটিকে বলল, ‘দেখ, কাল রাতে আমি বাবার সংগে শুয়েছিলাম। চল! আজ রাতেও তাঁকে তেমনি করে মাতাল করি। তারপর তুমি গিয়ে তাঁর সঙ্গে শোবে। তাহলে বাবার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বংশ রক্ষা করতে পারব।
এইভাবে তারা সেই রাতেও তাদের পিতাকে আঙ্গুর-রস খাইয়ে মাতাল করলো এবং ছোট মেয়েটি বাবার সঙ্গে শুতে গেল। মেয়েটি কখন যে তাঁর কাছে শুলো এবং কখনই বা উঠে গেল তিনি তা টেরও পেলেন না। এইভাবে লুতের দুই মেয়েই তাদের পিতার দ্বারা গর্ভবতী হলো। পরে বড় মেয়েটির একটি ছেলে হলে সে তার নাম রাখল মোয়াব (যার মানে ‘বাবার কাছ থেকে’)।” [Holy Bible, Genesis (আদিপুস্তক) 19:33-37]
বাইবেলে বর্ণিত, লূত (আ) কে আমরা চিনি না। আমরা তো তাঁর কথা জানি যাকে আল্লাহ তায়ালা অশ্লীল কাজে লিপ্ত জাতির হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। এটা কী করে সম্ভব যে তিনি নিজেই এমন অশ্লীল কাজে লিপ্ত হবেন?
“আর লূতকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান। তাঁকে উদ্ধার করেছিলাম এমন এক জনপদ হতে যার অধিবাসীরা লিপ্ত ছিল অশ্লীল কাজে। তারা ছিল এক মন্দ ও পাপাচারী জাতি। আর আমি তাকে আমার রহমতের মধ্যে শামিল করে নিয়েছিলাম। সে ছিল সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।” [ সূরা আল-আম্বিয়া ২১:৭৪-৭৫]
Moses / মূসা (আ)
বাইবেলে মূসা (আ) এর অনেক গুণের কথা বলা আছে। কিন্তু একই সাথে এটাও বলা হয়েছে, তিনি ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না। তিনি ঈশ্বরের পবিত্রতা বজায় রাখেননি-
“(হে মূসা!) তোমার ভাই হারুন যেমন হোর পাহাড়ে মারা গিয়ে তার পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেছে, তেমনি করে তুমিও নবো পাহাড়ে উঠে মারা যাবে এবং তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবে। এর কারণ হলো, সীন মরুভূমিতে কাদেশের মরীবার পানির কাছে বনি-ইসরাইলদের সামনে তোমরা আমার প্রতি অবিশ্বস্ততার কাজ করেছিলে এবং বনি-ইসরাইলদের সামনে আমাকে পবিত্র বলে মান্য করোনি।
তাই দেশটা আমি বনি-ইসরাইলদের দিতে যাচ্ছি। আর তা তুমি কেবল দূর থেকে দেখতে পাবে কিন্তু সেখানে তোমার ঢোকা হবে না।” [Holy Bible, Deuteronomy (দ্বিতীয় বিবরণ) 32:50-52]
তারা মূসা (আ) সম্পর্কে যে মিথ্যা কথা বলে কুরআন তা নাকচ করে দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে মূসা (আ) এর নির্দোষ হবার কথা ঘোষণা করেছেন-
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা মূসাকে কষ্ট দিয়েছিল। আর তারা যা বলেছিল, তা থেকে আল্লাহ তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। আর সে ছিল আল্লাহর নিকট মর্যাদাবান।” [আল কুরআন, সূরা আহযাব ৩৩:৬৯]
Aaron / হারুন (আ)
মূসা (আ) তূর পাহাড়ে তাওরাতের আইন গ্রহণ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর ফিরতে দেরি হবার কারণে বনি-ইসরাইলের লোকজন অধৈর্য হয়ে মূর্তি-পূজা শুরু করে। বাইবেল অনুযায়ী, সে পূজায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মূসার (আ) ভাই হারুন (আ)। তিনি নিজেও একজন নবী ছিলেন-
“পাহাড় থেকে নেমে আসতে মূসার দেরি হচ্ছে দেখে লোকেরা হারুনের চারপাশে জড়ো হয়ে বলল, ‘পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আপনি আমাদের দেব-দেবী তৈরী করে দিন। কারণ ঐ মূসা, যে আমাদের মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছে, তার কি হয়েছে আমরা জানি না।’ জবাবে হারুন তাদের বললেন, ‘তোমাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের কানের সোনার গয়না খুলে এনে আমাকে দাও।’
তাতে সকলে তাদের কানের গয়না খুলে এনে হারুনকে দিল। লোকেরা হারুনকে যা দিল তা গলিয়ে ছাঁচে ফেলে যন্ত্রপাতির সাহায্যে তিনি বাছুরের আকারে একটা মূর্তি তৈরী করলেন।
সেটা দেখে বনি-ইসরাইলরা বলল, “ভাইয়েরা, এর মধ্যে রয়েছে তোমাদের দেব-দেবী। মিশর দেশ থেকে এই দেব-দেবীই তোমাদের বের করে এনেছেন।” [Holy Bible, Exodus (যাত্রাপুস্তক) 32:3-4]
অথচ কুরআন বলছে মূর্তিপূজা দূরে থাক, তিনি বারবার বনি-ইসরাইলের লোকদের মূর্তিপূজা থেকে বিরত হতে আদেশ করছিলেন-
“হারূন তাদেরকে পূর্বেই বলেছিলঃ হে আমার সম্প্রদায়! এটা দ্বারা তো শুধু তোমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে। তোমাদের রব দয়াময়। সুতরাং তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং আমার আদেশ মেনে চল।” [আল কুরআন, সূরা ত্ব-হা ২০:৯০]
David / দাউদ (আ)
বাইবেল বলছে, রাজা দাউদ (আ) সুন্দর দেহের অধিকারী বাতসেবাকে নগ্ন অবস্থায় গোসল করতে দেখে তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। বাতসেবার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হন। পরবর্তীতে বাতসেবার স্বামীকে হত্যা করে বাতসেবাকে নিজের কাছে নিয়ে নেন-
“একদিন বিকাল বেলায় দাউদ তাঁর বিছানা থেকে উঠে রাজবাড়ীর ছাদে বেড়াচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি ছাদের উপর থেকে একজন স্ত্রীলোককে গোসল করতে দেখলেন। স্ত্রীলোকটি দেখতে ছিল খুব সুন্দরী। দাউদ স্ত্রীলোকটির খোঁজ নেবার জন্য লোক পাঠিয়ে দিলেন। একজন লোক বলল, “সে তো ইলিয়ামের মেয়ে! হিট্টীয় উরিয়ার স্ত্রী বাতসেবা।
দাউদ তাকে নিয়ে আসবার জন্য লোক পাঠালেন। সে কাছে আসার পর দাউদ তার সাথে সহবাস করলেন।” [Holy Bible, 2 Samuel (২ শমূয়েল) 11:2-4]
কুরআনে বর্ণিত দাউদ (আ) এর দ্বারাও ভুল হয়। কিন্তু সেটা এমন জঘন্য পাপ না। ক্ষুদ্র মানবীয় ভুল-
“যখন তারা দাউদের কাছে প্রবেশ করল, তখন সে তাদের দেখে ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল ‘আপনি ভয় করবেন না, আমরা বিবদমান দু’পক্ষ। আমরা একে অন্যের উপর সীমালঙ্ঘন করেছি। আপনি আমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করুন। অবিচার করবেন না। আর আমাদেরকে সরল পথের নির্দেশনা দিন।’
‘এ আমার ভাই। তার নিরানব্বইটি ভেড়ী আছে, আর আমার আছে মাত্র একটা ভেড়ী। তবুও সে বলে, ‘এ ভেড়ীটিও আমার তত্ত্বাবধানে দিয়ে দাও’, আর তর্কে সে আমার উপর প্রাধান্য বিস্তার করেছে।’
দাউদ বলল, ‘তোমার ভেড়ীকে তার ভেড়ীর পালের সাথে যুক্ত করার দাবী করে সে তোমার প্রতি যুলম করেছে। আর শরীকদের অনেকেই একে অন্যের উপর সীমলঙ্ঘন করে থাকে। তবে কেবল তারাই এরূপ করে না যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে। আর এরা সংখ্যায় খুবই কম।’ আর দাউদ জানতে পারল যে, আমি তাকে পরীক্ষা করেছি। তারপর সে তার রবের কাছে ক্ষমা চাইল, সিজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং তাঁর অভিমুখী হলো।”
তখন আমি তাকে তা ক্ষমা করে দিলাম। আমার নিকট তার জন্য রয়েছে উচ্চ মর্যাদা ও শুভ পরিণাম।” [আল কুরআন, সূরা সোয়াদ ৩৮: ২২-২৫]
শুধু এক পক্ষের কথা শুনে রায় দেয়ার কারণে দাউদ (আ) বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাঁর দ্বারা ভুল হয়ে গেছে। বোঝার সাথে সাথেই তিনি সিজদায় লুটিয়ে পড়েছিলেন। সামান্য মানবীয় ভুল করেই যিনি এতোটা অনুশোচনায় ভোগেন, তাঁর উপর কি নির্লজ্জভাবেই না ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ করা হয়েছে বাইবেলে। নিশ্চয়ই দাউদ (আ) এসব থেকে পবিত্র ছিলেন।
Solomon / সুলাইমান (আ)
বাইবেলের ভাষ্য অনুযায়ী, শেষ বয়সে এসে সুলাইমান (আ) স্ত্রীদের পাল্লায় পড়ে মূর্তিপূজা শুরু করেন। কুফরীতে লিপ্ত হয়ে পড়েন-
“তাঁর (সুলাইমানের) সাতশো স্ত্রী ছিল। তারা ছিল রাজপরিবারের মেয়ে। এছাড়া তাঁর তিনশো উপপত্নী ছিল। তাঁর স্ত্রীরা তাঁকে বিপথে নিয়ে গিয়েছিল। সুলাইমানের বুড়ো বয়সে স্ত্রীরা তাঁর মন দেব-দেবীদের দিকে টেনে নিয়েছিল। তার ফলে তাঁর বাবা দাউদের মত মন তাঁর ঈশ্বরের প্রতি ভয়ে পূর্ণ ছিল না। তিনি সিডনীয়দের দেবী অষ্টোরতের ও অম্মোনীয়দের জঘন্য দেবতা মিল্‌কমের সেবা করতে লাগলেন।” [Holy Bible, 1 Kings (১ রাজাবলি) 11:3-5]
কুরআন বলছে, সুলাইমান (আ) কখনো কুফরীতে লিপ্ত হননি-
“তারা অনুসরণ করেছে, যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বে পাঠ করত। আর সুলাইমান কুফরী করেনি; বরং শয়তানরা কুফরী করেছে।” [আল কুরআন, সূরা বাকারা ২:১০২]
Job / আইয়ুব (আ)
কুরআন এবং বাইবেল দুই জায়গাতেই বলা হয়েছে, আইয়ুব (আ) এর জীবনে প্রচণ্ড দুঃখ-কষ্ট এসেছিল। আমরা হয়তো এমন কষ্টের জীবনের কথা চিন্তাও করতে পারি না। এমন কষ্টে আইয়ুব (আ) কি পেরেছিলেন স্রষ্টার প্রতি তাঁর আনুগত্য ধরে রাখতে? বাইবেল বলছে কষ্ট সইতে না পেরে তিনি ঈশ্বরের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। বলেছিলেন-
ঈশ্বর আমার প্রতি অন্যায় করেছেন। নিজের জালে তিনিই আমাকে ঘিরেছেন। আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে বলে চিৎকার করলেও আমি কোন জবাব পাই না। কান্নাকাটি করলেও কোন বিচার পাই না।” [Holy Bible, Job (ইয়োব) 19:6-7]
আর কুরআনে বর্ণিত আইয়ুব (আ)? শত কষ্টেও তিনি ধৈর্য ধরেছেন। বুক ভরা আবেগ নিয়ে আল্লাহর কাছে করেছিলেন তাঁর বিখ্যাত দু’আ-
أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
“(হে আমার রব!) আমি দুঃখ কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।” [আল কুরআন, আল-আম্বিয়া ২১:৮৩]
মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর ধৈর্যশীল বান্দার দু’আর জবাব দিয়েছিলেন। তাঁর দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিলেন।
Ezekiel / যুলকিফল
“দুই বোন ছিল। তারা ছিল একই মায়ের মেয়ে। মিশরে যৌবন কালেই তারা পতিতা হয়ে উঠল। মিশরেই তারা প্রথম প্রেম করলো। পুরুষদের দিয়ে তারা তাদের চুচুক টেপাত ও স্তন ধরতে দিতো। বড় মেয়ের নাম ছিল অহলা আর তার বোনের নাম ছিল অহলীবা।... অহলীবা আমার প্রতি অবিশ্বস্ত হয়েই চলল। বাবিলে সে দেওয়ালে খোদিত পুরুষের আকৃতি দেখল আর অহলীবা তাদের চাইলো। সে বাবিলে তাদের কাছে দূত পাঠালো। তাই ঐসব বাবিলের পুরুষরা তার প্রেম শয্যার পাশে এসে তার সাথে সহবাস করলো। তারা তাকে ব্যবহার করে এতো নোংরা করলো যে সে তাদের প্রতি বিরক্ত হয়ে উঠল।
প্রত্যেকেই দেখল যে অহলীবা অবিশ্বস্ত। তার নগ্ন দেহকে সে এত জনকে উপভোগ করতে দিল যে আমি তার প্রতি বিরক্ত হয়ে উঠলাম, যেমন তার বোনের প্রতি হয়েছিলাম। বার বার অহলীবা আমার প্রতি অবিশ্বস্ত হল। তারপর সে মিশরে তার যৌবন কালের প্রেমের কথা মনে করলো। সে গাধার মত শিশ্ন ও ঘোড়ার মত ভাসিয়ে দেয়া বীর্য সম্পন্ন প্রেমিকদের কথা স্মরণ করলো।”
মাফ করবেন! লেখার মধ্যে কোন অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ গল্প ঢুকিয়ে পাঠককে বিব্রত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। উপরে যে গল্পটা পড়লেন তা আসলে বাইবেল থেকে নেয়া! [Holy Bible, Ezekiel (যিহিস্কেল) 23: 2-3, 14-20]
বাইবেল গবেষকদের দাবী এই অশ্লীল গল্পটি ঈশ্বর নবী ইজিকিলকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিলেন। যে গল্প কিনা কোন সভ্য মানুষ তার বাবা-মা, সন্তান এমনকি স্ত্রীর সামনেও পড়তে পারবে না (যদি সে নারী ভদ্র হয়)। অথচ সে গল্প কিনা ঈশ্বরের এক বার্তাবাহক লিখেছেন!
কারো কারো মতে বাইবেলে বর্ণিত ইজিকিল আর কুরআনে বর্ণিত যুলকিফল (আ) একই ব্যক্তি ছিলেন। ইবনে কাসির (রহ) এর মতে, যুলকিফল (আ) একজন নবী ছিলেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত তাফসীর ইবনে কাসির, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা-৩৩৩]
আমরা মুসলিমরা কখনোই বিশ্বাস করতে পারব না যে, মহান আল্লাহর কোন বার্তাবাহক এমন অশ্লীল গল্প প্রচার করেছেন। আল্লাহ তায়ালা যুলফিকল (আ) সম্পর্কে বলেন-
“আর স্মরণ কর ইসমাঈল, ইদরীস এবং যুলকিফল- এর কথা। তাদের প্রত্যেকেই ছিল ধৈর্যশীল। আর তাদেরকে আমি আমার রহমতে শামিল করেছিলাম। তারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ।” [আল কুরআন, সূরা আল আম্বিয়া ২১:৮৫-৮৬]
Jesus / ঈসা (আ)
মরিয়াম (আ) এর ছেলে ঈসা (আ)। সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে তাঁকেই সবচেয়ে ভুলভাবে জানা হয়েছে। ভুলভাবে মানা হয়েছে। ইহুদীরা তাকে বলে মুরতাদ। অন্যদিকে খ্রিষ্টানরা দিয়ে বসেছে ঈশ্বরের মর্যাদা। আমরা মুসলিমরা আছি সবচেয়ে ব্যালেন্সড পজিশনে। আমরা তাঁকে আল্লাহ তায়ালার একজন দাস ও সম্মানিত রাসূল মনে করি।
বিকৃত বাইবেলে তাঁকে অতিরিক্ত সম্মান দেয়ার চেষ্টা করা হলেও কিছু কিছু জায়গায় তার এমন চরিত্র ফুটে উঠেছে, যা নবী হিসেবে শোভনীয় নয়। একটা উদাহারণ দেই। বাইবেল অনুসারে, তিনি নিজের মাকে অভদ্রের মতো করে ‘মহিলা’ বলে ডাকতেন-
এই মহিলা! তুমি আমায় কেন বলছ যে, আমার কী করা উচিত! আমার সময় তো এখনো আসেনি।” [Holy Bible, Gospel of John (যোহনের সুসমাচার) 2:4]
কুরআন বলছে, ঈসা (আ) মায়ের প্রতি কোমল ছিলেন। মায়ের অনুগত ছিলেন-
“(ঈসা বললেন) আর (আল্লাহ) আমাকে মায়ের প্রতি অনুগত করেছেন এবং তিনি আমাকে অহঙ্কারী, অবাধ্য করেননি।” [আল কুরআন, সূরা মারইয়াম ১৯:৩২]
গত দেড়শ বছরের ইতিহাসে যে মানুষটার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি বই লেখা হয়েছে, তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা)। এই বইগুলোর অধিকাংশই লিখেছে খ্রিষ্টান মিশনারীরা। তারা আমাদের রাসূল (সা) এর উপর অনেক মিথ্যা ও জঘন্য অপবাদ দিয়েছে। মজার ব্যাপার, মিথ্যা সে অপবাদগুলোও জঘন্যতার মাত্রা অনুযায়ী তাদের ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত নবীদের ধারে-কাছেও নেই। মুসলিম হিসেবে আমরা নূহ (আ), লূত (আ), মুসা (আ), হারুন (আ), দাউদ (আ), সুলাইমান (আ), আইয়ুব (আ), ঈসা (আ) ও মুহাম্মদ (সা)- সবাইকেই সম্মান করি। আমরা অন্তর থেকে তাঁদের ভালোবাসি। তাঁদের নাম উচ্চারিত হলেই ভক্তিভরে বলি- আলাইহিস সালাম। কিন্তু একইসাথে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি তাঁদের নামে ছড়ানো বিকৃত গল্পগুলোকে।
“তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে তা তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করতে পারে। সুতরাং তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস।” [আল কুরআন, সূরা বাকারা ২:৭৯]
 
লেখকঃ শিহাব আহমেদ তুহিন