সালাতুল জানাযার গুরুত্ব ও পদ্ধতি (১ম পর্ব)
সালাতুল জানাযার গুরুত্ব
পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের পরেই অন্যতম ফরয ইবাদত জানাযার সালাত। অনেকে মনে করেন, যেহেতু ফরযে কেফায়া সেহেতু কেউ পালন করলেই তো হলো। এটি পলায়নী মনোবৃত্তি। মুমিনের এ দৃষ্টিতে দেখা উচিত নয়। মুমিন দেখবেন, এ কর্মে আল্লাহ কত খুশি হবেন এবং কত সাওয়াব ও বরকত আমি লাভ করব।
জানাযার সালাতের জন্য অচিন্তনীয় সাওয়াব ও বরকতের কথা বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। এর একটি কারণ এ ইবাদতটি সৃষ্টির সেবা কেন্দ্রিক, আর আল্লাহ সবচেয়ে বেশি খুশি হন তাঁর সৃষ্টির সেবাতে। আবূ হুরাইরা রাঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন:
مَنِ اتَّبَعَ جَنَازَةَ مُسْلِمٍ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا وَكَانَ مَعَه حَتّى يُصَلّى عَلَيْهَا وَيُفْرَغَ مِنْ دَفْنِهَا فَإِنَّه يَرْجِعُ مِنَ الْأَجْرِ بِقِيرَاطَيْنِ كُلُّ قِيرَاطٍ مِثْلُ أُحُدٍ وَمَنْ صَلّى عَلَيْهَا ثُمَّ رَجَعَ قَبْلَ أَنْ تُدْفَنَ فَإِنَّه يَرْجِعُ بِقِيْرَاطٍ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের জানাযায় ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে অংশগ্রহণ করে, এমনকি তার জানাযার সালাত আদায় করে ক্ববরে দাফন করা পর্যন্ত সাথে থাকে। এমন ব্যক্তি দু’ ক্বীরাত্ব সাওয়াব নিয়ে ঘরে ফেরে। প্রত্যেক ক্বীরাত্ব উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি শুধু জানাযার সালাত আদায় করে দাফন করার আগে ফিরে সে এক ক্বীরাত্ব সাওয়াব নিয়ে ফিরে এলো।১
حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلَامِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيْضِ وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ وَإِجَابَةُ الدَعْوَةِ وَتَشْمِيْتُ الْعَاطِسِ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মুসলিমের ওপর আর এক মুসলিমের পাঁচটি হক বর্তায়। (১) সালামের জবাব দেয়া, (২) রোগ হলে দেখতে যাওয়া, (৩) জানাযায় শামিল হওয়া, (৪) দা‘ওয়াত গ্রহণ করা ও (৫) হাঁচির জবাব দেয়া।২
حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتٌّ . قِيلَ: مَا هُنَّ يَا رَسُولَ اللّهِ؟ قَالَ: إِذَا لَقِيتَه فَسَلِّمْ عَلَيْهِ وَإِذَا دَعَاكَ فَأَجِبْهُ وَإِذَا اسْتَنْصَحَكَ فَانْصَحْ لَه وَإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ اللّهَ فَشَمِّتْهُ وَإِذَا مَرِضَ فَعُدْهُ وَإِذَا مَاتَ فَاتَّبِعْهُ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমের ওপর মুসলিমের ছয়টি হক (অধিকার) আছে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! এ অধিকারগুলো কি কি? জবাবে তিনি বলেন, (১) কোন মুসলিমের সাথে দেখা হলে, সালাম দেবে, (২) তোমাকে কেউ দা‘ওয়াত দিলে, তা কবূল করবে, (৩) তোমার কাছে কেউ কল্যাণ কামনা করলে তাকে কল্যাণের পরামর্শ দেবে, (৪) হাঁচি দিলে তার জবাব ইয়ারহামুকাল্ল-হ বলবে, (৫) কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দেখতে যাবে, (৬) কারো মৃত্যু ঘটলে তার জানাযায় শরীক হবে।৩
ব্যাখ্যা: نَصِيْحَة ‘নাসীহাহ্’ এর নাসীহাত কৃত ব্যক্তির জন্য কল্যাণ কামনা করা তিরমিযী ও নাসায়ীর বর্ণনা এসেছে যে, যখন অনুপস্থিত ও উপস্থিত থাকবে সকল অবস্থায় কল্যাণ কামনা করবে। এ হাদীস পূর্বের হাদীসের বিরোধী নয়, সংখ্যায় অতিরিক্তটি গ্রহণযোগ্য।
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: أَمَرَنَا النَّبِيُّ ﷺ بِسَبْعٍ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ أَمَرَنَا: بِعِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَرَدِّ السَّلَامِ وَإِجَابَةِ الدَّاعِىْ وَإِبْرَارِ الْمُقْسِمِ وَنَصْرِ الْمَظْلُومِ وَنَهَانَا عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ وَعَنِ الْحَرِيرِ والْإِسْتَبْرَقِ وَالدِّيبَاجِ وَالْمِيْثَرَةِ الْحَمْرَاءِ وَالْقَسِّيِّ وَانِيَةِ الْفِضَّةِ وَفِىْ رِوَايَةٍ وَعَنِ الشُّرْبِ فِي الْفِضَّةِ فَإِنَّه مَنْ شَرِبَ فِيهَا فِي الدُّنْيَا لَمْ يَشْرَبْ فِيْهَا فِي الْاخِرَةِ.
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাতটি আদেশ ও সাতটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে আদেশ করেছেন- (১) রোগীর খোঁজ-খবর নিতে, (২) জানাযায় শরীক হতে, (৩) হাঁচির আলহামদুলিল্লা-হ’র জবাবে ইয়ারহামুকাল্ল-হ বলতে, (৪) সালামের জবাব দিতে, (৫) দা‘ওয়াত দিলে তা কবূল করতে, (৬) কসম করলে তা পূর্ণ করতে, (৭) মাযলূমের সাহায্য করতে।
এভাবে তিনি আমাদেরকে (১) সোনার আংটি পরতে, (২) রেশমের পোশাক, (৩) ইস্তিবরাক [মোটা রেশম], (৪) দীবাজ [পাতলা রেশম] পরতে, (৫) লাল নরম গদীতে বসতে, (৬) ক্বাস্সী ও (৭) রূপার পাত্র ব্যবহার করতে। কোন কোন বর্ণনায়, রূপার পাত্রে পান করতে নিষেধ করেছেন। কেননা যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রূপার পাত্রে পান করবে আখিরাতে সে তাতে পান করতে পারবে না।৪
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: أَسْرِعُوا بِالْجَنَازَةِ فَإِنْ تَكُ صَالِحَةً فَخَيْرٌ تُقَدِّمُونَهَا إِلَيْهِ وَإِنْ تَكُ سِوى ذلِكَ فَشَرٌّ تَضَعُوْنَه عَنْ رِقَابِكُ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জানাযার কার্যক্রম সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) তাড়াতাড়ি আদায় কর। কারণ মৃত ব্যক্তি যদি নেক মানুষ হয় তাহলে তার জন্য কল্যাণ। কাজেই তাকে কল্যাণের দিকে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দেবে। সে এরূপ না হলে খারাপ হবে। তাই তাকে তাড়াতাড়ি নিজেদের ঘাড় থেকে নামিয়ে দাও।৫
আবু হুরাইরা রাঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ একদিন বলেন: “তোমাদের মধ্যে আজ কে সিয়ামরত ছিলে? আবু বকর রাঃ বলেন: আমি। রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন: তোমাদের মধ্যে কে আজ জানাযায় শরীক হয়েছ? আবু বকর রাঃ বলেন: আমি। তিনি বলেন: তোমাদের মধ্যে কে আজ দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করেছ? আবু বকর রাঃ বলেন: আমি। তিনি বলেন: আজ তোমাদের কে অসুস্থ কোনো মানুষকে দেখতে গিয়েছ? আবু বকর বলেন: আমি। তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন:
এ কর্মগুলো যদি কোনো মানুষের মধ্যে একত্রিত হয় তাহলে সেই ব্যক্তি অবশই জান্নাতী হবেন।”৬
পাঠক দেখছেন যে, এখানে চারটি ইবাদতের তিনটিই সৃষ্টির সেবা বিষয়ক। আল্লাহ আমাদেরকে এ গুণগুলো একত্রিত করার তাওফীক দিন।
জানাযার সালাতের জন্য অচিন্তনীয় সাওয়াব ও বরকতের কথা বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। এর একটি কারণ এ ইবাদতটি সৃষ্টির সেবা কেন্দ্রিক, আর আল্লাহ সবচেয়ে বেশি খুশি হন তাঁর সৃষ্টির সেবাতে। আবূ হুরাইরা রাঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন:
مَنِ اتَّبَعَ جَنَازَةَ مُسْلِمٍ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا وَكَانَ مَعَه حَتّى يُصَلّى عَلَيْهَا وَيُفْرَغَ مِنْ دَفْنِهَا فَإِنَّه يَرْجِعُ مِنَ الْأَجْرِ بِقِيرَاطَيْنِ كُلُّ قِيرَاطٍ مِثْلُ أُحُدٍ وَمَنْ صَلّى عَلَيْهَا ثُمَّ رَجَعَ قَبْلَ أَنْ تُدْفَنَ فَإِنَّه يَرْجِعُ بِقِيْرَاطٍ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের জানাযায় ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে অংশগ্রহণ করে, এমনকি তার জানাযার সালাত আদায় করে ক্ববরে দাফন করা পর্যন্ত সাথে থাকে। এমন ব্যক্তি দু’ ক্বীরাত্ব সাওয়াব নিয়ে ঘরে ফেরে। প্রত্যেক ক্বীরাত্ব উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি শুধু জানাযার সালাত আদায় করে দাফন করার আগে ফিরে সে এক ক্বীরাত্ব সাওয়াব নিয়ে ফিরে এলো।১
حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلَامِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيْضِ وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ وَإِجَابَةُ الدَعْوَةِ وَتَشْمِيْتُ الْعَاطِسِ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মুসলিমের ওপর আর এক মুসলিমের পাঁচটি হক বর্তায়। (১) সালামের জবাব দেয়া, (২) রোগ হলে দেখতে যাওয়া, (৩) জানাযায় শামিল হওয়া, (৪) দা‘ওয়াত গ্রহণ করা ও (৫) হাঁচির জবাব দেয়া।২
حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتٌّ . قِيلَ: مَا هُنَّ يَا رَسُولَ اللّهِ؟ قَالَ: إِذَا لَقِيتَه فَسَلِّمْ عَلَيْهِ وَإِذَا دَعَاكَ فَأَجِبْهُ وَإِذَا اسْتَنْصَحَكَ فَانْصَحْ لَه وَإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ اللّهَ فَشَمِّتْهُ وَإِذَا مَرِضَ فَعُدْهُ وَإِذَا مَاتَ فَاتَّبِعْهُ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমের ওপর মুসলিমের ছয়টি হক (অধিকার) আছে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! এ অধিকারগুলো কি কি? জবাবে তিনি বলেন, (১) কোন মুসলিমের সাথে দেখা হলে, সালাম দেবে, (২) তোমাকে কেউ দা‘ওয়াত দিলে, তা কবূল করবে, (৩) তোমার কাছে কেউ কল্যাণ কামনা করলে তাকে কল্যাণের পরামর্শ দেবে, (৪) হাঁচি দিলে তার জবাব ইয়ারহামুকাল্ল-হ বলবে, (৫) কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দেখতে যাবে, (৬) কারো মৃত্যু ঘটলে তার জানাযায় শরীক হবে।৩
ব্যাখ্যা: نَصِيْحَة ‘নাসীহাহ্’ এর নাসীহাত কৃত ব্যক্তির জন্য কল্যাণ কামনা করা তিরমিযী ও নাসায়ীর বর্ণনা এসেছে যে, যখন অনুপস্থিত ও উপস্থিত থাকবে সকল অবস্থায় কল্যাণ কামনা করবে। এ হাদীস পূর্বের হাদীসের বিরোধী নয়, সংখ্যায় অতিরিক্তটি গ্রহণযোগ্য।
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: أَمَرَنَا النَّبِيُّ ﷺ بِسَبْعٍ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ أَمَرَنَا: بِعِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَرَدِّ السَّلَامِ وَإِجَابَةِ الدَّاعِىْ وَإِبْرَارِ الْمُقْسِمِ وَنَصْرِ الْمَظْلُومِ وَنَهَانَا عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ وَعَنِ الْحَرِيرِ والْإِسْتَبْرَقِ وَالدِّيبَاجِ وَالْمِيْثَرَةِ الْحَمْرَاءِ وَالْقَسِّيِّ وَانِيَةِ الْفِضَّةِ وَفِىْ رِوَايَةٍ وَعَنِ الشُّرْبِ فِي الْفِضَّةِ فَإِنَّه مَنْ شَرِبَ فِيهَا فِي الدُّنْيَا لَمْ يَشْرَبْ فِيْهَا فِي الْاخِرَةِ.
বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাতটি আদেশ ও সাতটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে আদেশ করেছেন- (১) রোগীর খোঁজ-খবর নিতে, (২) জানাযায় শরীক হতে, (৩) হাঁচির আলহামদুলিল্লা-হ’র জবাবে ইয়ারহামুকাল্ল-হ বলতে, (৪) সালামের জবাব দিতে, (৫) দা‘ওয়াত দিলে তা কবূল করতে, (৬) কসম করলে তা পূর্ণ করতে, (৭) মাযলূমের সাহায্য করতে।
এভাবে তিনি আমাদেরকে (১) সোনার আংটি পরতে, (২) রেশমের পোশাক, (৩) ইস্তিবরাক [মোটা রেশম], (৪) দীবাজ [পাতলা রেশম] পরতে, (৫) লাল নরম গদীতে বসতে, (৬) ক্বাস্সী ও (৭) রূপার পাত্র ব্যবহার করতে। কোন কোন বর্ণনায়, রূপার পাত্রে পান করতে নিষেধ করেছেন। কেননা যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রূপার পাত্রে পান করবে আখিরাতে সে তাতে পান করতে পারবে না।৪
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: أَسْرِعُوا بِالْجَنَازَةِ فَإِنْ تَكُ صَالِحَةً فَخَيْرٌ تُقَدِّمُونَهَا إِلَيْهِ وَإِنْ تَكُ سِوى ذلِكَ فَشَرٌّ تَضَعُوْنَه عَنْ رِقَابِكُ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জানাযার কার্যক্রম সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) তাড়াতাড়ি আদায় কর। কারণ মৃত ব্যক্তি যদি নেক মানুষ হয় তাহলে তার জন্য কল্যাণ। কাজেই তাকে কল্যাণের দিকে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দেবে। সে এরূপ না হলে খারাপ হবে। তাই তাকে তাড়াতাড়ি নিজেদের ঘাড় থেকে নামিয়ে দাও।৫
আবু হুরাইরা রাঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ একদিন বলেন: “তোমাদের মধ্যে আজ কে সিয়ামরত ছিলে? আবু বকর রাঃ বলেন: আমি। রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন: তোমাদের মধ্যে কে আজ জানাযায় শরীক হয়েছ? আবু বকর রাঃ বলেন: আমি। তিনি বলেন: তোমাদের মধ্যে কে আজ দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করেছ? আবু বকর রাঃ বলেন: আমি। তিনি বলেন: আজ তোমাদের কে অসুস্থ কোনো মানুষকে দেখতে গিয়েছ? আবু বকর বলেন: আমি। তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন:
এ কর্মগুলো যদি কোনো মানুষের মধ্যে একত্রিত হয় তাহলে সেই ব্যক্তি অবশই জান্নাতী হবেন।”৬
পাঠক দেখছেন যে, এখানে চারটি ইবাদতের তিনটিই সৃষ্টির সেবা বিষয়ক। আল্লাহ আমাদেরকে এ গুণগুলো একত্রিত করার তাওফীক দিন।
চলবে ইনশাআল্লাহ....................
উৎসঃ
১. বুখারী (২৯-কিতাবুল জানাইয, ৫৭-বাব মান ইনতাযারা) ১/৪৪৫ (ভারতীয় ১/১৭৭); মুসলিম (১১-কিতাবুল জানাইয, ১৭-বাব ফাদলিস সালাত) ২/৬৫২, নং ৯৪৫ (ভারতীয় ১/৩০৭)। (বুখারী, মুসলিম) সহীহ: বুখারী ৪৭, মুসলিম ৯৪৫, নাসায়ীর ৫০৩২, আহমাদ ৯৫৫১, ইবনু হিব্বান ৩০৮০, সহীহ আত্ তারগীব ৩৪৯৮, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৫০১, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৬৫১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২. (বুখারী, মুসলিম) সহীহ: বুখারী ১২৪০, মুসরিম ২১৬২, আহমাদ ১০৯৬৬, সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ৯৯৭৮, আমালুল ইওয়ামে ওয়াল লায়লাহ্ ২২১, ইবনু হিব্বান ২৪১, সহীহ আত্ তারগীব ২১৫৬, সহীহ আল জামি‘ ৩১৫০, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৫২৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৩. (মুসলিম) সহীহ: মুলিম ২১৬২, আহমাদ ৮৮৪৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০৯০৯, শু‘আবুল ঈমান ৮৭৩৭, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৪০৫, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৯৯১, সহীহ আত্ তারগীব ৩৪৯৪, সহীহ আল জামি‘ ৩১৫১, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৫২৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৪. (বুখারী, মুসলিম) সহীহ: বুখারী ১২৩৯, ২৪৪৫, ৫১৭৫, ৫৬৩৫, ৫৬৫০, ৫৮৪৯, ৬২২২, মুসলিম ২০৬৬, আত্ তিরযিমী ২৮০৯, নাসায়ী ১৯৩৯, ৫৩০৯, আহমাদ ১৮৫০৪, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৯২৪, সুনানুল কুবরা লিল নাসায়ী ২০৭৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৮৪৬, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৫২৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৫. (বুখারী, মুসলিম) সহীহ: বুখারী ১৩১৫, মুসলিম ৯৪৪, আবূ দাঊদ ৩১৮১, আত্ তিরমিযী ১০১৫, নাসায়ী ১৯১০, ১৯১১, ইবনু মাজাহ্ ১৪৭৭, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১১২৬৩, আহমাদ ৭২৬৮, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫০৯, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৯৬৪, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৬৪৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৬. মুসলিম (১২ কিতাবুয যাকাত, ২৭- বাব মান জামাআ....) ২/৭১৩, নং ১০২৮ (ভারতীয় ১/৩৩০)
১. বুখারী (২৯-কিতাবুল জানাইয, ৫৭-বাব মান ইনতাযারা) ১/৪৪৫ (ভারতীয় ১/১৭৭); মুসলিম (১১-কিতাবুল জানাইয, ১৭-বাব ফাদলিস সালাত) ২/৬৫২, নং ৯৪৫ (ভারতীয় ১/৩০৭)। (বুখারী, মুসলিম) সহীহ: বুখারী ৪৭, মুসলিম ৯৪৫, নাসায়ীর ৫০৩২, আহমাদ ৯৫৫১, ইবনু হিব্বান ৩০৮০, সহীহ আত্ তারগীব ৩৪৯৮, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৫০১, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৬৫১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২. (বুখারী, মুসলিম) সহীহ: বুখারী ১২৪০, মুসরিম ২১৬২, আহমাদ ১০৯৬৬, সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ৯৯৭৮, আমালুল ইওয়ামে ওয়াল লায়লাহ্ ২২১, ইবনু হিব্বান ২৪১, সহীহ আত্ তারগীব ২১৫৬, সহীহ আল জামি‘ ৩১৫০, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৫২৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৩. (মুসলিম) সহীহ: মুলিম ২১৬২, আহমাদ ৮৮৪৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০৯০৯, শু‘আবুল ঈমান ৮৭৩৭, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৪০৫, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৯৯১, সহীহ আত্ তারগীব ৩৪৯৪, সহীহ আল জামি‘ ৩১৫১, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৫২৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৪. (বুখারী, মুসলিম) সহীহ: বুখারী ১২৩৯, ২৪৪৫, ৫১৭৫, ৫৬৩৫, ৫৬৫০, ৫৮৪৯, ৬২২২, মুসলিম ২০৬৬, আত্ তিরযিমী ২৮০৯, নাসায়ী ১৯৩৯, ৫৩০৯, আহমাদ ১৮৫০৪, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৯২৪, সুনানুল কুবরা লিল নাসায়ী ২০৭৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৮৪৬, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৫২৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৫. (বুখারী, মুসলিম) সহীহ: বুখারী ১৩১৫, মুসলিম ৯৪৪, আবূ দাঊদ ৩১৮১, আত্ তিরমিযী ১০১৫, নাসায়ী ১৯১০, ১৯১১, ইবনু মাজাহ্ ১৪৭৭, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১১২৬৩, আহমাদ ৭২৬৮, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫০৯, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৯৬৪, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৬৪৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৬. মুসলিম (১২ কিতাবুয যাকাত, ২৭- বাব মান জামাআ....) ২/৭১৩, নং ১০২৮ (ভারতীয় ১/৩৩০)