মূল লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল ঊছাইমীন (রহঃ)
অনুবাদক: আবদুল্লাহ আল কাফী বিন আব্দুল জলীল
সম্পাদক: মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম আজাদ
পবিত্রতা:
অসুস্থ মানুষের উপর আবশ্যক হল ছোট নাপাকী
থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি দ্বারা ওযু করা এবং বড় নাপাকী থেকে
পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি দ্বারা গোসল করা।
কিন্তু পানি ব্যবহার করতে যদি অপারগ হয় বা
পানি ব্যবহার করলে রোগ বেড়ে যাবে এই আশংকা করে বা আশংকা করে যে সুস্থ হতে
দেরী হয়ে যাবে, তবে এসকল পরিস্থিতিতে তায়াম্মুম করবে।
তায়াম্মুমের পদ্ধতি: তায়াম্মুমের পদ্ধতি হল,
– হাত দুটিকে পবিত্র মাটিতে একবার মারবে।
– তারপর তা দিয়ে সমস্ত মুখ মণ্ডল মাসেহ করবে।
অতঃপর উভয় হাতকে কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করবে। আগে ডান হাত পরে বাম হাত।
রুগী যদি নিজে পবিত্রতা অর্জন করতে অক্ষম হয়, তবে অন্য ব্যক্তি তাকে ওযু বা তায়াম্মুম করিয়ে দিবে।
- ওযু বা গোসলের কোন অঙ্গে যদি জখম থাকে আর পানি দিয়ে ধৌত করলে তাতে ক্ষতির আশংকা থাকে, তবে পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে সে স্থানকে মাসেহ করবে বা মুছে দিবে। এভাবে মুছে দেয়াতেও যদি ক্ষতির আশংকা হয়, তবে তার জন্য তায়াম্মুম করে নিবে।
- ভাঙ্গা-মচকা ইত্যাদি কারণে যদি শরীরের কোন অঙ্গে পট্টি বা ব্যান্ডেজ থাকে তবে সে স্থান ধৌত করার পরিবর্তে পানির মাধ্যমে তার উপর মাসেহ করে নিবে। এক্ষেত্রে তায়াম্মুম করবে না। কেননা মাসেহ ধোয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে।
- পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে। দেয়াল বা অন্য কোন বস্তু যেখানে মাটি লেগে আছে তা দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে। দেয়াল যদি মাটি জাতীয় বস্তু ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা লেপন করা থাকে যেমন রং বা পেইন্ট, তবে সেখানে তায়াম্মুম জায়েয হবে না। কিন্তু যদি উক্ত দেয়ালে মাটি লেগে থাকে তবে তাতে তায়াম্মুম করতে অসুবিধা নেই।
- জমিনের উপর হাত রেখে বা দেয়াল থেকে বা যে বস্তুতে মাটি আছে তা থেকে তায়াম্মুম করা যদি সম্ভব না হয় তবে কোন পাত্র বা রুমালের মধ্যে কিছু মাটি রেখে দিতে পারে। তারপর তা দিয়ে তায়াম্মুম করবে। (বর্তমানে তায়াম্মুমের জন্য বিশেষভাবে তৈরী প্যাডও কিনে পাওয়া যায়)।
- এক ওয়াক্তের সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে তায়াম্মুম করার পর যদি তায়াম্মুম অবশিষ্ট থাকে (অর্থাৎ ওযু ভঙ্গের কোন কারণ না ঘটে) তবে তা দিয়ে আরেক ওয়াক্তের সালাত আদায় করতে পারবে। এক্ষেত্রে পরবর্তী সালাতের জন্য আবার তায়াম্মুম করার দরকার নেই। কেননা সে তো পবিত্রই আছে। আর পবিত্রতা ভঙ্গ হয় এমন কোন কারণও ঘটেনি। অনুরূপভাবে বড় নাপাকী এ ক্ষেত্রে যদি তায়াম্মুম করে তবে পরবর্তী বড় নাপাকীতে লিপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে তায়াম্মুম করতে হবে না। কিন্তু এর মাঝে ছোট নাপাকীতে লিপ্ত হলে তার জন্য তায়াম্মুম করতে হবে।
- অসুস্থ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হল সকল প্রকার নাপাকী থেকে শরীরকে পাক-পবিত্র করা। যদি পাক-পবিত্র হতে সক্ষম না হয়, তবে সংশ্লিষ্ট নাপাকী নিয়েই সালাত আদায় করবে। তার সালাত বিশুদ্ধ হবে এবং পরে তা দোহরাতেও হবে না।
- পাক কাপড় নিয়ে সালাত আদায় করাও অসুস্থ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব। কাপড় নাপাক হয়ে গেলে তা ধৌত করা অথবা তা বদলিয়ে অন্য কাপড় পরিধান করা ওয়াজিব। কিন্তু এরূপ করা যদি সাধ্যাতিত হয় তবে সংশ্লিষ্ট নাপাকী নিয়েই সালাত আদায় করবে। উক্ত সালাত বিশুদ্ধ হবে এবং তা আর ফিরিয়ে পড়তে হবে না।
- পবিত্র স্থান ও পবিত্র বস্তুর উপর সালাত আদায় করাও রুগীর উপর ওয়াজিব। যদি সালাতের স্থান নাপাক হয়ে যায় তবে তা ধৌত করা বা কোন পবিত্র বস্তু দ্বারা পরিবর্তন করা বা সেখানে কোন পবিত্র বস্তু বিছিয়ে দেয়া ওয়াজিব। যদি এর কোনটাই সম্ভব না হয় তবুও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করবে এবং তার সালাত শুদ্ধ হবে। অন্য সময় তা ফিরিয়ে পড়ারও দরকার হবে না।
- পবিত্রতা অর্জন করতে অপারগতার কারণে কোন রুগীর জন্য সালাত পরিত্যাগ করা বা কাযা করা কোন ক্রমেই বৈধ নয়। সাধ্যানুযায়ী সে পবিত্রতা অর্জন করবে। তারপর সময়ের মধ্যেই সালাত আদায় করে নিবে- যদিও তখন তার শরীরে বা কাপড়ে বা সালাতের স্থানে নাপাকী লেগেই থাকে যা দূরীভূত করা তার পক্ষে সম্ভব হয় নি। কেননা আল্লাহ্ তায়ালা বলেন: فاَتَّقُوا اللهَ ماَ اسْتَطَعْتُمْ অর্থ: তোমরা সাধ্যানুযায়ী আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা তাগাবুন-১৬)
বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির পবিত্রতা ও সালাত:
কোন মানুষ যদি বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত
থাকে, তবে সে সালাতের ওয়াক্ত আসার আগে যেন ওযু না করে। যখন সালাতের ওয়াক্ত
আসবে তখন লজ্জাস্থান ধৌত করবে, তারপর উক্ত স্থানে পবিত্র কোন বস্তু (যেমন
কাপড় বা প্যাড ইত্যাদি) বেঁধে দিবে যাতে পেশাব কাপড় বা শরীরে ছড়িয়ে না যায়।
তারপর ওযু করে সালাত আদায় করবে। এরূপ সে প্রত্যেক ফরয সালাতের সময় করবে।
এরূপ করা যদি তার উপর অতিরিক্ত কষ্টকর হয় তবে দু’সালাতকে একত্রে পড়া তার
জন্য জায়েয আছে। যোহর এবং আছর একত্রে এবং মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করে
নিবে। আর ফরয সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নাতের জন্য আলাদা ওযুর দরকার নেই।
তবে অন্য কোন সময় নফল সালাত আদায় করতে চাইলে তাকে ফরযের নিয়মে পবিত্রতা
অর্জন করতে হবে।
অসুস্থ ব্যক্তির সালাত আদায়ের পদ্ধতি:
- অসুস্থ ব্যক্তির উপর আবশ্যক হল- ফরয সালাত দাঁড়িয়েই আদায় করা। যদিও কিছুটা বাঁকা হয়ে দাঁড়াক বা কোন দেয়ালে হেলান দিয়ে বা লাঠিতে ভর করে দাঁড়াক না কেন।
- যদি কোন ভাবেই দণ্ডায়মান হতে সক্ষম না হয় তবে বসে সালাত আদায় করবে। উত্তম হল দাঁড়ানো ও রুকুর অবস্থার ক্ষেত্রে চারজানু হয়ে বসবে।
- যদি বসেও সালাত আদায় করতে সক্ষম না হয় তবে কিবলামুখি হয়ে কাত হয়ে শুয়ে সালাত আদায় করবে। এক্ষেত্রে উত্তম হল ডান কাত হয়ে শোয়া। যদি কিবলামুখি হতে সক্ষম না হয় তবে যে দিকে ইচ্ছা মুখ করে সালাত আদায় করবে। তার সালাত বিশুদ্ধ হবে এবং তা ফিরিয়ে পড়ার দরকার হবে না।
- যদি ডান কাত হয়ে শুতে অক্ষম হয় তবে চিৎ হয়ে শুয়ে সালাত আদায় করবে। সে সময় পা দুটি থাকবে কিবলার দিকে। উত্তম হল (বালিশ ইত্যাদি দিয়ে) মাথা উপরের দিকে কিছুটা উঠাবে যাতে করে কিবলামুখি হতে পারে। যদি পা দুটিকে কিবলামুখি করতে সক্ষম না হয়, তবে পা যে দিকেই থাক ঐভাবেই সালাত আদায় করবে। সালাত বিশুদ্ধ হবে এবং পরে তা ফিরিয়ে পড়তে হবে না।
- রুগীর উপর আবশ্যক হল সালাতে রুকু ও সিজদা করা। যদি তা করতে সামর্থ না হয় তবে মাথা দিয়ে ইশারা করবে।
- এ সময় রুকুর চাইতে সিজদার জন্য মাথাটা একটু বেশী নীচু করবে।
- যদি শুধু রুকু করতে সক্ষম হয় তবে সিজদার জন্য রুকুর চাইতে মাথাটাকে একটু বেশী ঝুকাবে।
- আর যদি সিজদা করতে সক্ষম হয়, রুকু না করতে পারে তবে সিজদার সময় সিজদা করবে আর রুকুর জন্য মাথা দিয়ে ইশারা করবে।
- রুকু সিজদার সময় মাথা নীচু করে যদি ইশারা করতে সক্ষম না হয়, তবে চোখ দিয়ে ইশারা করবে। রুকুর সময় চোখ দুটোকে সামান্য বন্ধ করবে আর সিজদার জন্য বেশী করে বন্ধ করবে। কিন্তু রুকু সিজদার জন্য আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা বিশুদ্ধ নয়। এ ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহ বা বিদ্বানদের থেকে কোন দলীল পাওয়া যায় না।
- যদি মাথা বা চোখের মাধ্যমে ইশারা করতেও সক্ষম না হয়, তবে মনে মনে সালাত আদায় করবে। মুখে তাকবীর পড়বে কিরআত পড়বে এবং দাঁড়ানো, রুকু করা, সিজদা করা, তাশাহহুদে বসা ইত্যাদি মনে মনে নিয়ত করবে। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যার সে নিয়ত করে থাকে।
- রুগীর উপর ওয়াজিব হল প্রত্যেক সালাত সঠিক সময়ে আদায় করা এবং সে সময়ে তার উপর যা যা ওয়াজিব তার সবই সাধ্যানুযায়ী আদায় করা। যদি প্রত্যেক সালাত নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা কষ্টকর হয় তবে দু’সালাতকে একত্রিত আদায় করা জায়েয রয়েছে। যোহর ও আসর দু’সালাত একত্রে যোহরের ওয়াক্তে অথবা দেরী করে আসরের ওয়াক্তে আদায় করবে। এমনিভাবে মাগরিব ও এশা দু’সালাত মাগরিবের ওয়াক্তে একত্রে অথবা দেরী করে এশার ওয়াক্তে একত্রে আদায় করবে। মোটকথা যেভাবে তার জন্য সহজ হয় সেভাবেই আদায় করবে।
- অসুস্থ ব্যক্তি যদি অন্য কোন শহরে চিকিৎসার জন্য সফর করে তবে সে (মুসাফির হিসেবে) চার রাকাআত বিশিষ্ট সালাতকে কসর করে দু’রাকাআত আদায় করবে। অর্থাৎ যোহর, আসর ও এশা দু’রাকাআত করে আদায় করবে। যত দিন নিজ শহরে ফিরে না আসে এরূপই করতে থাকবে। চাই সফরের সময় অল্প হোক বা দীর্ঘায়িত হোক।
– শাইখ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল ঊছাইমীন (রহঃ)
পরিশিষ্ট:
উল্লেখিত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমাদের কাছে এ
বিধান স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, সুস্থ-অসুস্থ সকল মানুষ যতক্ষণ তার হুঁশ থাকবে
এবং সে প্রাপ্তবয়স্ক- তার উপর সালাত ফরয এবং তার আগে পবিত্রতা অর্জন করা
আবশ্যক। অসুখের ওজর দেখিয়ে কোন অবস্থাতেই সালাত ছেড়ে দেয়া বৈধ নয়। কেননা
ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ছেড়ে দেয়া কুফুরী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি (ইচ্ছাকৃতভাবে) সালাত পরিত্যাগ করল সে কুফুরী
করল।” (আহমাদ, নাসাঈ, তিরমিযী প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেন। হাদীছটি সহীহ)
এ কুফুরী থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় একমাত্র
তওবা ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে সম্ভব নয়। অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত সালাত আদায়
করে দিলেও হবে না, তার বিনিময়ে কাফফারা হিসেবে টাকা-পয়সা আদায় করলেও হবে না
বা কুরআন তেলাওয়াত করে বা কোন সৎকাজ করে তার জন্য হাদিয়া দিলেও হবে না।
সুতরাং এ অবস্থায় কেউ যদি (তওবা না করেই) মৃত্যু বরণ করে তবে সে কুফুরী
অবস্থাতেই মৃত্যু বরণ করবে। তার পক্ষ থেকে কোন কাফফারা আদায় করা জায়েয হবে
না। কারণ এরূপ সালাত পরিত্যাগকারী ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা আদায় করার
অনুমতি না কুরআনে আছে না কোন হাদীছে আছে, না সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)-এর আমল
থেকে পাওয়া যায়।
নামাযের কাফফারা দেয়ার শরয়ী ভিত্তি কি?
বর্তমান সমাজে কোন মানুষ মৃত্যু বরণ করলে
তার জানাযার আগে- মৃত্যুপূর্ব বা মুমূর্ষু অবস্থায় অনাদায়কৃত সালাতের
কাফফারা স্বরূপ- কিছু টাকা-পয়সা নির্ধারণ করা হয় এবং তা আদায় না করলে ইমাম
সাহেব জানাযা পড়তে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। ফলে কাফফারা স্বরূপ (সালাতের
সংখ্যা অনুযায়ী) টাকা-পয়সা বা চাউল, গম ইত্যাদি আদায় করা হয়। যা সাধারণ
গরীব মানুষের মাঝে বণ্টন করা হয়, লিল্লাহ বোডিং ফাণ্ডে দেয়া এবং অধিকাংশ
ক্ষেত্রে একটি হিসসা ইমাম সাহেবেরও পকেটে যায়। এই ফতোয়ার শরয়ী ভিত্তি কি?
কোথায় পেলেন তারা এ বিধান?
প্রিয় মুসলিম ভাই! মূলত: কাফফারা আদায় করার
এ বিধানটি কেবল উক্ত ইমাম সাহেবদের পকেটের মাসআলা। তারা তাদের উদর পূর্তি ও
স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এধরনের ফতোয়ার অবতারণা করে থাকেন। কুরআন-সুন্নাহতে
এর কোন ভিত্তি নেই। পরোক্ষভাবে এ ফতোয়ার মাধ্যমে মানুষকে তারা সালাত
ত্যাগের প্রতি উৎসাহিত করে থাকেন, কিন্তু তোরা তা মোটেও টের পান না। কারণ
পয়সা দিলেই তো সালাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, সুতরাং কি দরকার আছে এত কষ্ট
স্বীকার করে সালাত আদায় করার…? আল্লাহ্ তাদের হেদায়েত করুন।
আসুন, আমরা সবাই সালাত নামক সর্বাধিক
গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতটির গুরুত্ব ভালভাবে অনুধাবন করি এবং এর খুঁটিনাটি
মাসআলা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করি। সহীহ তরীকায় ইবাদত করে আল্লাহর খাঁটি
বান্দায় পরিণত হই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফীক দিন। আমীন।।
———————
كيف يتطهر المريض ويصلي
للشيخ/ محمد بن صالح العثيمين رحمه الله
অসুস্থ ব্যক্তির পবিত্রতা ও সালাতের পদ্ধতি:
শাইখ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল ঊছাইমীন (রহঃ)
অনুবাদক: আবদুল্লাহ আল কাফী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব